‘বিশ্ব শেয়ারবাজারে এ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ শেয়ারবাজার’

khairulখুলনা প্রতিনিধি :

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খায়রুল হোসেন বলেন, আইন সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার বিশ্বশেয়ারবাজারের এ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। এ ক্যাটাগরিতে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের শেয়ারবাজার রয়েছে। আমরা শেয়ারবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছি।

শুক্রবার খুলনায় দিনব্যাপী বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা সম্মেলন এবং বিনিয়োগ শিক্ষামেলার মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি প্রোগ্রামের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আইন সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার বিশ্ব শেয়ারবাজারের এ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। এ ক্যাটাগরিতে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের শেয়ারবাজার রয়েছে। আমরা শেয়ারবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছি। বর্তমানে বাজার একটি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। তবে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের আগেই সবাইকে আর্থিক জ্ঞান নিতে হবে। লোভে পড়ে কারসাজির কবল থেকে বাঁচার উপায় বিনিয়োগকারীকেই গ্রহণ করতে হব। এজন্য বিনিয়োগ শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।

খুলনার বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ভবিষ্যত্ অর্থনীতির চিন্তা করেই প্রথম মেলার জন্য খুলনাকে বেচে নেয়া হয়েছে। আপনাদের টাকা দিতে আমরা আসিনি। আমরা এসেছি বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিনিয়োগের প্রাথমিক ধারণা দিতে। বিনিয়োগ করার আগে আপনাকে প্রাথমিক ধারণা নিতে হবে। এজন্য বিনিয়োগের অ আ শিখতে হবে। আপনার কষ্টার্জিত অর্থ যাতে নিরাপদ থাকে, সেজন্য এ সম্মেলন ও শিক্ষামেলার আয়োজন করা হয়েছে। শিগগিরই আমরা ঢাকায় এ ধরনের সম্মেলনের আয়োজন করব, যেখানে নিরাপদ বিনিয়োগ বিষয়ে শিক্ষা নেয়া যাবে।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ব্যাংকের চেয়ে লাভজনক উল্লেখ করে ড. খায়রুল হোসেন বলেন, শেয়ারবাজারে একটু জেনে বুঝে বিনিয়োগ করলেই ব্যাংকের চেয়ে বেশি মুনাফা পাওয়া যায়। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা যায়। এরই মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ আধুনিক লেনদেন পদ্ধতির প্রবর্তন করেছে। ইন্টানেট ও মোবাইলে ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে সহজে লেনদেন করা যাচ্ছে। প্রযুক্তি বিস্তারের কারণে মোবাইল বা ফোন নম্বর থাকলে লেনদেনের সব তথ্য বিনিয়োগকারীদের হাতের কাছে থাকছে। ফলে শেয়ারবাজার ও বিনিয়োগ নিয়ে এখন আর ভয়ের কারণ নেই।

দুই সেশনের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সেমিনারের পাশাপাশি শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, প্রশিক্ষক, বিচারক, সাংবাদিক, আইনজীবী, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, স্কুল, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী-পেশার বিনিয়োগকারীরা প্রশ্ন ও উত্তরের সুযোগ পান।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *