বিড়িতে “সম্পূরক শুল্ক” কমানোর জন্য ৮ দফা দাবি

cigarateস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিড়িতে “সম্পূরক শুল্ক” কমিয়ে বিড়ির দাম ১৪ টাকা থেকে ১০ টাকা করাসহ ৮ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন। রোববার বেলা ১১টা জাতীয় প্রেসক্লাবে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ: হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফেডারেশনের সভাপতি এম কে বাঙ্গালী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সহ-সম্পাদক প্রনব দেনাথ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলু প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রায় অর্ধসহস্রাধিক বিড়ি শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন।

লিখিত বক্তব্যে এম কে বাঙ্গালী বলেন, ‘২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ির ওপর অযৌক্তিকভাবে কম দামি সিগারেটের চেয়ে ৪ গুণ বেশি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। বিড়িতে ২৪.২০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে, অন্যদিকে কম দামি সিগারেটে মাত্র ৫.৭১ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিড়ির সম্পূরক শুল্ক ৩০% থেকে ৩৫% করা হয়েছে অর্থাৎ ৫% বৃদ্ধি করা হয়েছে, অন্যদিকে বহুজাতিক কোম্পানির কমদামী সিগারেট ও বেশি দামি সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা হয় নাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিগত অর্থমন্ত্রী বিড়ি শিল্প বন্ধের জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন ২০৩০ সাল আর সিগারেট শিল্প বন্ধের সময় দিয়েছেন ২০৪০ সাল পর্যন্ত। দেশীয় শিল্প হিসেবে বিড়ি শিল্পের ওপর এধরনের করারোপ অমানবিক।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বিড়িকে কুটির শিল্প হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সুরক্ষা দিচ্ছে। দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের দিকে বিবেচনা করে প্রতিবেশী দেশ ভারতে বিড়ির ওপর শুল্ক সহনীয় মাত্রায় রাখা হয়েছে। ভারতে এক হাজার বিড়িতে যেখানে শুল্ক দিতে হয় ১৪ টাকা সেখানে বাংলাদেশে ৩১৩ টাকা ৬০ পয়সা করা হয়েছে। যা বিড়ি শিল্প ধ্বংসের পাঁয়তারা।’

সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক নেতারা ৮ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিসমূহ হলো- ১. বিড়ির দাম ১৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০ টাকা করতে হবে।২. “সম্পূরক শুল্ক” কমিয়ে ভারতের ন্যায় প্রতি হাজারে ১৪ টাকা করতে হবে। ৩. কম দামি ও বেশি দামি সিগারেটে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করতে হবে।

৪. বিড়ির ওপর আরোপিত অগ্রিম আয়কর বাতিল করতে হবে। ৫. বঙ্গবন্ধুর চালুকৃত বিড়িকে অবিলম্বে “কুটির শিল্প” ঘোষণা করতে হবে। ৬. নিম্নস্তর ও মধ্যম স্তরের সিগারেট একীভূত করে সমমূল্য করতে হবে। ৭. উচ্চস্তরের সিগারেটের মূল্য ও সম্পূরক শুল্ক অধিক হারে বৃদ্ধি করতে হবে। ৮. শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরী হাজার প্রতি ১০০ টাকা করতে হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *