বেসিক ব্যাংকে ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে এক হাজার ১৭৩ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত চেয়ে হাইকোর্ট আবেদন জানানো হয়েছে। আজ রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাইতাস হিল্লোল রেমা।
এর আগে রবিবার সকালে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদন দাখিলের অনুমতি নেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত গণমাধ্যমে গত ২৯ নভেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে আবেদনকারী আইনজীবী।
তিনি জানান, বেসিক ব্যাংকে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স, লিখিত-মৌখিক পরীক্ষা, নিয়োগ সংক্রান্ত বিধি-বিধান কোনো কিছুই মানা হয়নি। রাষ্ট্রায়াত্ত এ ব্যাংকের নিয়োগে যেগ্য ও মেধাবীদের স্থান হয়নি।
আবেদনে বলা হয়, শেখ আবদুল হাই বাচ্চু বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকার সময় ক্ষমতার অপব্যবহার, নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি করে এক হাজার ১৭৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর প্রমাণ উঠে এসেছে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) নিরীক্ষা প্রতিবেদনে। সেখানে এ নিয়োগ-দুর্নীতির ঘটনাকে ‘নজিরবিহীন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বেতন-ভাতার নামে বাড়তি অর্থ আত্মসাতের প্রমাণাদির তুলে ধরা হয়েছে নিরীক্ষা প্রতিবেদনে।
আইনজীবী তাইতাস হিল্লোল রেমা পরে সাংবাদিকদের বলেন, বেসিক ব্যাংকে নিয়োগ নিয়ে এমন অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে তলবের জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট সাতজনকে প্রতিপক্ষ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সিএজির নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বেসিক ব্যাংকের অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ তদন্ত করলেও নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করছে না। এ কারণেই জনস্বার্থে এই রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড