রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকে মূলধন ভর্তুকি বাবদ যে ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, তা দিয়েই ৫ লাখ হতদরিদ্র মানুষকে দারিদ্র্যসীমার বাইরে নিয়ে আসা যেত। আজ বুধবার ‘জাতীয় বাজেট ২০১৭-১৮: প্রত্যাশা প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় ব্র্যাকের গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল বায়েস এ কথা বলেন।
আবদুল বায়েস বলেন, জনগণের করের টাকায় এ ধরনের রুগ্ণ ব্যাংক ও শিল্পকে টিকিয়ে রাখার কোনো মানে নেই। এর মাধ্যমে অদক্ষতাকেই পুরস্কৃত করা হচ্ছে।
আজ বুধবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ব্র্যাক ও ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইআইডি)।
সভায় বক্তারা বলেন, এ বছর শিক্ষা খাতে বরাদ্দ জিডিপির অনুপাতে খুব কম হয়েছে। বাজেটে রাজস্ব আদায়ে নির্ভর করা হয়েছে মধ্যবিত্তের ওপর, যা মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তকে চাপে ফেলবে।
অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে বাজেট বাস্তবায়ন একটা বড় সমস্যা। প্রতিবছরই বাজেট বাস্তবায়নের মাত্রা কমছে। এর কারণ হলো প্রশাসনিক দক্ষতার অভাব। তিনি বলেন, বাংলাদেশে দক্ষ কর্মকর্তাদের পুরস্কারের কোনো ব্যবস্থা নেই। আবার যাঁরা দুর্নীতিবাজ ও অদক্ষ, তাঁদেরও শাস্তির কোনো ব্যবস্থা নেই।
অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের মাইক্রোফাইন্যান্স বিভাগের পরিচালক শামেরান আবেদ, ব্র্যাকের শিক্ষা কর্মসূচির পরিচালক শফিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য কর্মসূচির পরিচালক আরিফুল আলম, কমিউনিটি এমপাওয়ারমেন্ট কর্মসূচির পরিচালক ফারহানা হাফিজ, আইআইডির নির্বাহী পরিচালক সাঈদ আহমেদ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ব্র্যাকের যোগাযোগ বিভাগের ঊর্ধ্বতন পরিচালক আসিফ সালেহ।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ