ব্যাংক খাতের উল্লেখযোগ্য সংস্কারসহ সব ধরনের শর্ত প্রতিপালন হচ্ছে কিনা -তা খতিয়ে দেখতে ‘সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইনের খসড়া চেয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। পাশাপাশি খেলাপি ঋণ নিয়ে সংস্থাটি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে জানতে চেয়েছে বর্তমান রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের সর্বশেষ অবস্থা। বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দলের বৈঠকে উঠে আসে এসব বিষয়।
সেখানে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর (এমওইউ) করার পরামর্শ দিয়েছে এ দাতা সংস্থাটি।
সূত্রমতে, দুপুর সাড়ে ১২টায় আইএমএফ প্রতিনিধি দল বৈঠক করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্যাহর সঙ্গে। বৈঠকে আইএমএফ প্রতিনিধির সামনে ২০২২ সালের খেলাপি ঋণের একটি চিত্র তুলে ধরে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এতে দেখা গেছে, বিদায়ি বছরের (২০২২) ডিসেম্বরে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। এটি মোট ঋণের ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।
আগের বছরে (২০২১) ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ২৭৩ হাজার কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। সার্বিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তুলনামূলক ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা। এই চিত্র দেখে প্রতিনিধি দল কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সংস্থাটি বলেছে, কেন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী খেলাপি ঋণ নামিয়ে আনা যাচ্ছে না। তাদের উত্তরে বলা হয়, স্বাভাবিকভাবে লক্ষ্যমাত্রা প্রকৃত বাস্তব অবস্থা থেকে একটু বাড়িয়ে ধরা হয়। কারণ ব্যাংকগুলোকে চাপে রাখতেই এ কৌশল নেওয়া হচ্ছে। তবে খেলাপি ঋণ পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনা হবে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম////