স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :
মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সরকার দেশজুড়ে লকডাউন দিলেও ব্যাংক খোলা থাকলেই শেয়ারবাজারের লেনদেন হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আগেই ঘোষণা দেয় যে, কোভিড-১৯ মহামারিকালসহ যেকোনো সময় ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে শেয়ারবাজারের সকল লেনলেন চালু থাকবে। এ ব্যাপারে বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের গুজবে কান না দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।
শনিবার (৩ এপ্রিল) সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় আগামী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার।
এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করার পরই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। যদি ব্যাংক খোলা থাকে, তাহলে লকডাউনের মধ্যে শেয়ারবাজারেও লেনদেন চলবে। এদিকে ব্যাংক খোলার রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামীকাল বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিবে।
তবে শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারীরা চান যেন লক ডাউনে শেয়ারবাজার বন্ধ না থাকুক। স্বল্প পরিসরে হলেও দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই লেনদেনের পক্ষে বিনিয়োগকারীরা। এবিষয়ে একাধিক বিনিয়োগকারী স্টকমার্কেটবিডি.কমকে বলেন, শেয়ারবাজারে সবকিছুই অটোমেটেড। লেনদেন করার জন্য বিনিয়োগকারীদের ব্রোকারেজ হাউসে যাওয়ার দরকার নেই। সুতরাং লেনদেন বন্ধ না করে শেয়ারবাজার চালু রাখা উচিত।
দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও এ কথা বলা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, দ্রুত ছড়াতে থাকা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার দুই-তিন দিনের মধ্যে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
ফরহাদ হোসেন বলেছেন, ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউনে যাচ্ছে সরকার। তবে শিল্প কলকারখানা খোলা থাকবে এবং সেগুলোতে শিফটিং ডিউটি চলবে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/