ব্রোকার হাউসের বুথ খোলার আবেদন আহবান

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক:

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগাকারীদের সহজে বিনিয়োগে আনতে ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্রোকার হাউসের ডিজিটাল শাখা বা বুথ খোলার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। দেশের যে কোনো স্থানে এই বুথ খোলার জন্য প্রয়োজনীয় আবেদন আহবান করেছে বিএসইসি।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসই) কমিশনের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) ডিজিটাল শাখা খুলতে করণীয় নিয়ে নির্দেশনা জারি করেছেন কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জের সম্মতিক্রমে যেকোনো স্টক ব্রোকার ডিজিটাল শাখার জন্য কমিশনে আবেদন করতে পারবে। ওইসব বুথ স্টক ব্রোকারের প্রধান অফিস দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কোনো ধরনের তৃতীয়পক্ষ দ্বারা পরিচালনা করা যাবে না।

সিটি করপোরেশনের মধ্যে, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ সদর দফতরে ডিজিটাল শাখা খোলা যাবে। এছাড়া দেশের বাইরেও একই জাতীয় স্থানে ডিজিটাল বুথ স্থাপন করা যাবে। দেশের বাইরে খোলার ক্ষেত্রে কমিশনের অনুমোদনের পাশাপাশি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সম্মতি নিতে হবে।

ডিজিটাল শাখা পরিচালনার জন্য স্টক ব্রোকারের প্রয়োজনীয় কাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা, আর্থিক সক্ষমতা ও জনবল থাকতে হবে বলে বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

দেশের ভেতরে প্রতিটি শাখা খোলার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জে এক লাখ টাকা জমা দিতে হবে। তবে দেশের বাইরে খোলার জন্য দিতে হবে ১০ লাখ টাকা।

দেশের বাইরে বুথ খোলার ক্ষেত্রে ব্রোকারকে নন-জুডিশিয়াল ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে অমীমাংসিত দাবি, বৈধ দাবি বা অপরিশোধিত দাবির জন্য এককভাবে দায়বদ্ধ থাকবে বলে লিখিত দিতে হবে। যা ব্রোকার হাউসের পর্ষদের মনোনীত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা যেকোনো পরিচালকের স্বাক্ষরিত হতে হবে।

শাখা চালু করতে চাওয়া ব্রোকার হাউসের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইট থাকতে হবে। এছাড়া প্রতিটি বুথে কাস্টমার সার্ভিসের জন্য একটি ফোন নম্বর, নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক সুবিধা, কমপক্ষে একজন অনুমোদিত প্রতিনিধি, ভার্চ্যুয়াল ট্রেডিং মনিটর বা ডিসপ্লে টিকার ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যবস্থা থাকতে হবে। আর বুথের সামনে সাইনবোর্ড থাকবে, যেখানে স্টক ব্রোকারের নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, স্থানীয় ঠিকানার বিস্তারিত তথ্য, যোগাযোগ নম্বর ও মেইল এড্রেস থাকবে।

প্রতিটি শাখা অ্যাকাউন্ট খোলা ও বন্ধ, ট্রেডিং ইত্যাদি সীমাবদ্ধ হবে। যেখানে একজন গ্রাহক প্রতিদিন গ্রামীণ এলাকায় নগদে ২ লাখ টাকা এবং পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা লেনদেন করতে পারবেন। শাখা থেকে গুজব ছড়ানো প্রতিরোধে ব্রোকার হাউস থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আঞ্চলিক পর্যায়ে শাখার ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করার আগে এক বা একাধিক বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম করতে হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *