ইন্দো-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (আইবিসিসিআই) সভাপতি তাসকিন আহমেদ বলেন, ভারত বাংলাদেশ ও নেপাল নিয়ে একটি বড় অর্থনৈতিক জোন সৃষ্টি হয়েছে। বানিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে এ তিন দেশের মধ্যে ট্রানজিট সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ৩ দিনব্যাপী ইন্দো-বাংলা ট্রেড ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইবিসিসিআইয়ের সভাপতি তাসকিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ও দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ।
তাসকিন আহমেদ, ভারতের ও বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক থাকলে দুই দেশই লাভবান হবে। ভারতের প্রযুক্তি বাংলাদেশে আনা জরুরী। আজ ভারতের যে ওয়ার্ডলুক তা আমাদের দেশ দেখতে পারছে না।
তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশ ১১ বিলিয়ন বিনিয়োগে আগ্রহী। তারা বাংলাদেশ জ্বালানী ও শক্তি খাত এবং অটোমোবাইলস ও হোম এপ্লায়েন্সে বিনিয়োগ করতে চায়। দেশটি বাংলাদেশে কারখানা তৈরি করতে চায়। আর উৎপাদিত দ্রব্যাদি তারা নিজেরাই আমদানি করতে আগ্রহী।
তিনি জানান, বাংলাদেশ ভারতের ভিসা জটিলতা ইতোমধ্যে অনেকটা কাটিয়ে উঠেছে। তরপরও এই ভিসা আরো সহজ করা বা ইজি ভিসা পক্রিয়া চালু করতে হবে।
অনুষ্ঠানে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমাদের রপ্তানি এখন ৩৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। যার মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানিই ২৮ বিলিয়ন ডলার। তবে ভারতের বাজারে এখনও আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানি করা সম্ভব হয়নি। যদিও আমাদের রপ্তানিকারকরা ভারতে তৈরি পোশাক রপ্তানির চেষ্টা করছে।
তোফায়েল জানান, ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা এদেশে বিনিয়োগে খুবই আগ্রহী। ইতিমধ্যেই ভারত এদেশে ১১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বলে ভারতীয় হাইকমিশনার জানিয়েছেন। তাদের জন্য ৩ টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তিন দিন ব্যাপী এই মেলায় ৩০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। যাদের মধ্যে রয়েছে অটোমোবাইল, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হোম অ্যাপলায়েন্স, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল, পেইন্টস, ব্যাংকিং সেবা, পাওয়ার জেনারেশন, ইনসুরেন্স, টেক্সটাইল, সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচার ইত্যাদি বিশেষায়িত খাতের প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/শরীফ