মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের সঞ্চিতি সংরক্ষণের সময় বাড়লো

bsecনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ থেকে সম্ভাব্য ক্ষতির বিপরীতে সঞ্চিতি (প্রভিশন) সংরক্ষণে আরো এক বছর সময় পাচ্ছে দেশের মার্চেন্ট ব্যাংক, স্টক ডিলার ও ব্রোকারেজ হাউজগুলো। আগের ঘোষণা অনুযায়ী শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

গতকাল ৫৯৪তম কমিশন সভা শেষে বিএসইসি সঞ্চিতি সংরক্ষণের মেয়াদ বাড়ানোর তথ্য জানায়। কমিশনের এ সিদ্ধান্তের ফলে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট পাঁচটি প্রান্তিকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ থেকে সম্ভাব্য ক্ষতির বিপরীতে সঞ্চিতি (প্রভিশন) সংরক্ষণের সময় পাবে স্টক ব্রোকার, ডিলার ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো। একই সঙ্গে তাদের গ্রাহকদের অনুকূলে মার্জিন ঋণের ক্ষেত্রে মার্চেন্ট ব্যাংকের যে ক্ষতি হয়েছে, তার জন্যও একই ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে।

বিএসইসি জানিয়েছে, স্টক ব্রোকার বা স্টক ডিলার ও মার্চেন্ট ব্যাংকারদের নিজস্ব ও গ্রাহকদের পোর্টফোলিওতে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরে উদ্ভূত পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিত সঞ্চিতি সংরক্ষণের মেয়াদ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসির আগের জারীকৃত এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা ৮ ডিসেম্বর ২০১৫-এর মতো সঞ্চিতি সংরক্ষণের সময় বাড়ানোর অতিরিক্ত সুবিধা দেয়া হয়েছে। তবে এটি এককালীন সংরক্ষণের পরিবর্তে চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচটি ত্রৈমাসিক সমান অংশে অর্থাত্ ২০ শতাংশ হারে সংরক্ষণ করা যাবে।

বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ সুযোগের সময়সীমা আরো বাড়ানোর জন্য আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আবেদন করি। আশা করছি, কমিশনের এ সিদ্ধান্ত বাজারের সব পক্ষই উপকৃত হবে বলে মনে করছেন ট্রেকহোল্ডাররা।

জানা গেছে, বর্তমানে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর জন্য ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ধাপে ধাপে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ থেকে সম্ভাব্য ক্ষতির বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণের সময় রয়েছে।

এদিকে সম্প্রতি গ্রাহক হিসাবে থাকা অনাদায়ী মার্জিন ঋণের বিপরীতে সঞ্চিতি রাখার মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বিএমবিএ। এছাড়া নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগের লোকসান এবং গ্রাহকের অনাদায়ী মার্জিন ঋণের বিপরীতে সঞ্চিতি রাখার ক্ষেত্রে বিদ্যমান ছাড়ের মেয়াদ বাড়ানোরও অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এক্ষেত্রে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর নিজস্ব পোর্টফোলিওর ক্ষতির বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ২০ শতাংশ হারে প্রান্তিক ভিত্তিতে পাঁচটি সমান কিস্তিতে সংরক্ষণের সুযোগ দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ সঞ্চিতি সংরক্ষণের বিষয়টি নিয়ন্ত্রক সংস্থার কেস টু কেস ভিত্তিতে বিবেচনা করা উচিত বলে চিঠিতে মত দেয় প্রতিষ্ঠানগুলো। এর আগে দেয়া সুবিধা অনুযায়ী চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মার্চেন্ট ব্যাংকের নিজস্ব পোর্টফোলিওর বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যদিও অধিকাংশ মার্চেন্ট ব্যাংকই সঞ্চিতি সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো দেশের মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকার-ডিলারদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ থেকে সম্ভাব্য ক্ষতির বিপরীতে ধাপে ধাপে সঞ্চিতি সংরক্ষণের সুবিধা দেয় বিএসইসি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *