মীর আক্তারের শেয়ারে ‘কারসাজি’ ঠেকাতে বিএসইসির পদক্ষেপ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত মীর আক্তার হোসেন লিমিটেডের শেয়ারে কারসাজি ঠেকাতে সন্দেহভাজন দুটি লেনদেন আটকে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

এদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই পদক্ষেপের পর বাজারে মীর আক্তারের শেয়ারের দরপতন হয়েছে বৃহস্পতিবার।

মঙ্গলবার এ শেয়ারের লেনদেন শুরুর পর প্রথম দুদিনে ৫৪ টাকায় তালিকাভুক্ত এ শেয়ারের দাম বেড়ে ১০০ টাকা হয়। বৃহস্পতিবার দাম কমে ৯০ টাকায় নেমে আসে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, “বুধবার লেনদেন শুরুর পরে আমাদের সার্ভেইলেন্সে দেখতে পাই, দুটো বিও অ্যাকাউন্ট থেকে মীর আক্তার হোসেন লিমিটেডের বড় পরিমাণ শেয়ার কেনার অর্ডার দেওয়া হয়েছে, যা কিনা সর্বোচ্চ দামে।

“সেটা দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তখন আমরা প্রাথমিক তদন্ত করি। তদন্ত করে আমাদের মনে হয়েছে বিষয়টি নিয়ে আরা গভীর ভাবে তদন্ত করা দরকার। পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিষয়টি সারজমিনে খতিয়ে দেখতে ব্রোকারেজ হাউজে একটি তদন্ত দল পাঠানো হবে।”

রেজাউল করিম জানান, যে ব্রোকারেজ হাউজের যে প্রতিনিধি ওই কেনার আদেশ দিয়েছিলেন, তাকে আপাতত লেনদেন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

আর যে দুটি বিও অ্যাকাউন্ট থেকে ওই বড় পরিমাণ কেনার অর্ডার দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো থেকেও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।

“তদন্তের পরে এদের বিষয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।”

দুই কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৪৭টি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে শেয়ারবাজার থেকে ১২৫ কোটি টাকা তোলার জন্য মীর আক্তারের আইপিও গত বছেরের শেষভাগে বিএসইসির অনুমোদন পায়। নিলামে দাম নির্ধারণ হয় ৫৪ টাকা।

গত মঙ্গলবার প্রথম দিনের লেনদেনে এ শেয়ারের দাম ৫০ শতাংশ বেড়ে ৮১ টাকা হয়। বর্তমান নিয়মে নতুন শেয়ারের দাম এক দিনে ৫০ শতাংশই বাড়ার সুযোগ আছে।

এরপর বুধবার লেনদেনের শুরুতেই ৫০ শতাংশ বেড়ে যায় মীর আক্তারের শেয়ারের দর। কিন্তু পরে বিএসইসির পদক্ষেপের খবরে দাম কিছুটা কমে।

শেষপর্যন্ত ১৯ টাকা ২০ পয়সা বা ২৪ শতাংশ বেড়ে ১০০ টাকায় দিন শেষ করে এই শেয়ার।

আর বৃহস্পতিবার সকালে তা ১০ শতাংশ কমে ৯০ টাকায় নেমে আসে। বর্তমান নিয়মে কোনো শেয়ারের দাম এক দিনে ১০ শতাংশের বেশি কমার সুযোগ নেই।

অভিযোগ আছে, শেয়ারের কৃত্রিম চাহিদা দেখিয়ে বাড়ানো হয় শেয়ারের দাম। যখন বেশি দামে বিনিয়োগকারীরা কিনতে শুরু করেন, সে সময় শেয়ার বিক্রি করে বের হয়ে যান কারসাজিতে জড়িতরা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *