‘চ্যালেঞ্জ অব সাসটেইনেবল লাইভলিহুড অব হাওড় কমিউনিটিস অব বাংলাদেশ : ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় , হাওড় অঞ্চলকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব উল্লেখ করে পিছিয়ে পড়া হাওড়বাসীর উন্নয়নে পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে অক্সফাম সিএনআরএস ও প্রতীক ও নামে কয়েকটি সংগঠন।
শনিবার (৩০ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় আলোচকরা বলেন, হাওড়াঞ্চলে যেসব মূল্যবান সম্পদ রয়েছে সেগুলো কাজে লাগিয়ে একটি সমৃদ্ধ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা সম্ভব। এছাড়া এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা সম্ভব পর্যটন কেন্দ্র। কিন্তু যথাযথ উদ্যোগের অভাবে এখনও পিছিয়ে আছে হাওড়বাসী। নানা দুর্ভোগ নিয়ে তারা শিক্ষা, চিকিৎসা থেকে অনেক দূর পিছিয়ে রয়েছে। শিক্ষায় পিছিয়ে থাকায় তারা মূলস্রোতধারায় কম আসতে পারছে। এ জন্য প্রয়োজন এই অঞ্চলের মানুষের জন্য বিশেষ প্রকল্পভিত্তিক পরিকল্পনা প্রণয়ন।
তারা বলেন, হাওড়াঞ্চলে পরিকল্পিত কোনো রাস্তা নেই। ফলে রাস্তা ঘাটের অভাবে যোগাযোগ ও ফসল তোলার সময় অনেক ক্ষতি হয়। হাওড়ে উৎপাদিত ফসল ঠিকমতো ঘরে তুলতে পারলে পাল্টে যাবে তাদের অর্থনীতির চেহারা। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে সবদিক থেকে পিছিয়ে আছে হাওড় এলাকা।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমি হাওড়ের মানুষ। আজও পিছিয়ে আছে এ অঞ্চলের মানুষ। স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সব বিষয়ে তারা বৈষম্যের শিকার। পানি থাকার কারণে স্বাভাবিকভাবে হাওড়ে বছরে একটি ফসল হয়। যদি পরিকল্পিতভাবে ২/৩টি ফসল উৎপাদন করা যায়, তাহলে হাওড়াঞ্চল দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
আলোচনা সভায় সিএনআরএসের পরিচালক আনিসুল ইসলাম, হাওড় উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মজিবুর রহমানসহ আয়োজক সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড