রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য পূরণে রাজস্ব খাতে বড় ধরনের সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও ফরেন চেম্বারের নেতারা। তাঁরা বলছেন, সময় এসেছে রাজস্ব নীতি গ্রহণ ও রাজস্ব আদায়—এ দুটি কাজ পৃথকভাবে দুটি সংস্থার মাধ্যমে করার।
২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়া জানাতে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স বা অ্যামচেম আয়োজিত মধ্যাহ্ন ভোজসভায় এ পরামর্শ দেওয়া হয়। আজ রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এ ভোজসভায় অতিথি আলোচক ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর ও ফরেন চেম্বারের সভাপতি শেহজাদ মুনিম। ভোজসভাটি সঞ্চালনা করেন অ্যামচেমের সভাপতি নুরুল ইসলাম।
সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিজেরাই নীতি প্রণয়ন করছে, আবার নিজেরাই রাজস্ব আদায়ের কাজ করছে। ফলে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য পূরণে তারা সহজ পথ বেছে নিচ্ছে। এতে করে বিদ্যমান করদাতার ওপর করের বোঝা বাড়ছে।
এ ছাড়া বক্তারা বেসরকারি ও বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিকে অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে অভিহিত করেন। বাজেটে টেলিযোগাযোগ খাতে শুল্ক ও কর বৃদ্ধি, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির রিটেইনড আর্নিংস বা রিজার্ভের ওপর করারোপ, ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি, প্রভাব মূল্যায়ন ছাড়া বিভিন্ন খাতে করারোপের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা হয়।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/জেড