লাইসেন্স ফিরে পাওয়ায় তেজীভাব স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স

standard-smbdনিজস্ব প্রতিবেদক:

স্থগিত করা লাইসেন্স ফিরে পাওয়ায় শেয়ারের লেনদেনে তেজীভাব এসেছে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল এই ইন্স্যুরেন্স। সপ্তাহজুড়ে এ শেয়ারের দর বেড়েছে ২২ দশমিক ২২ শতাংশ। গত সপ্তাহে এ কোম্পানির মোট ১ কোটি ৫১ লাখ ১৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।

জানা যায়, বীমা ব্যবসার লাইসেন্স ফিরে পেয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ফলে নতুন বীমা পলিসি বিক্রিতে আর কোনো বাধা থাকল না সাধারণ বীমা খাতের তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির। মূলত এ কারণেই গত সপ্তাহে কোম্পানিটি দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানির আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের বীমা ব্যবসার লাইসেন্স ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

পুনঃবীমা-সংক্রান্ত অনিয়মের কারণে ২০১৫ সালের নভেম্বরে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের লাইসেন্স স্থগিত করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এতে পুরনো ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারলেও নতুন কোনো পলিসি বিক্রি করতে পারছিল না কোম্পানিটি।
পাল্টাপাল্টি আপিলের পর শেষ পর্যন্ত আইডিআরএর সিদ্ধান্তই বহাল থাকে। পরবর্তীতে কোম্পানি অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে আপিল করে। গ্রাহক-শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ বিবেচনা করে সরকার কোম্পানিটির ব্যবসার লাইসেন্স ফিরিয়ে দেয়।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে গত সপ্তাহে এ শেয়ারের সর্বশেষ দর ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ বা ৫০ পয়সা কমে দাঁড়ায় ১৮ টাকা ৩০ পয়সায়। দিনভর দর ১৮ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১৯ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। সমাপনী দর ছিল ১৮ টাকা ৭০ পয়সায়, যা এর আগের কার্যদিবসে ছিল ১৮ টাকা ৮০ পয়সায়। এদিন ৬১ বারে এ কোম্পানির মোট ৪৬ হাজার ৪৮১টি শেয়ারের লেনদেন হয়।

সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারহোল্ডাররা। সে বছর কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২ টাকা ৬৬ পয়সা, ২০১৩ সালে যা ছিল ৩ টাকা ৫ পয়সা।
২০১৩ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়। ওই সময় ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৫ পয়সা, এনএভি ১৬ টাকা ৮৬ পয়সা ও নিট মুনাফা ৬ কোটি ৫৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

এদিকে ২০১৫ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয় ১ টাকা ৮৩ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৬ পয়সা। সর্বশেষ অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুসারে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ১৭ টাকা ১৩ পয়সা।

২০০৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ২৯ কোটি ৫৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভ ১৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৯৫ লাখ ৭২ হাজার ১৫৭টি। এর মধ্যে ৫২ দশমিক ৪ শতাংশ এর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রতিষ্ঠান ৯ দশমিক ৮ ও বাকি ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *