লোকসান ও উৎপাদন সক্ষমতা হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে ইমাম বাটন

imamস্টকমার্কেট প্রতিবেদক :

পুঞ্জীভূত লোকসান ও উৎপাদন সক্ষমতার সদ্ব্যবহার করতে না পারায় অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে রসায়ন খাতের কোম্পানি ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ধারাবাহিকভাবে কোম্পানিটির দেনা পরিশোধের সক্ষমতা কমছে। এ অবস্থায় কোম্পানিটির ভবিষ্যৎ নিয়ে আবারো শঙ্কা জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৬-১৭ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে নিরীক্ষক জানিয়েছেন, সর্বশেষ হিসাব বছরে উৎপাদন সক্ষমতার মাত্র ২৬ শতাংশ ব্যবহার করতে পেরেছে ইমাম বাটন। কারখানার যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে যাওয়া, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, চাহিদা বাড়াতে না পারার কারণে বছরজুড়েই কোম্পানির উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে নিরীক্ষক জানায়, কোম্পানিটির লোকসান এখন ৩ কোটি ৩০ লাখ ১৬ হাজার টাকায় ঠেকেছে। এ অবস্থায় অবকাঠামোগত ও পরিচালন সমস্যার সমাধান, আর্থিক অবস্থা ও উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো না হলে ভবিষ্যতে এ কোম্পানির টিকে থাকাই কঠিন হবে।

নিরীক্ষকের পর্যবেক্ষণে আরো জানা যায়, ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত কোম্পানিটির ১ টাকা দায়ের বিপরীতে সম্পদের পরিমাণ ৪৫ পয়সায় দাঁড়িয়েছে; এর আগে ৩০ জুন ২০১৬ সময়ে যা ছিল ১ টাকার বিপরীতে ৭১ পয়সা। সম্পদ কমে যাওয়ার ফলে পাওনাদাররা টাকা চাইলে তা পরিশোধ করার মতো সামর্থ্য নেই ইমাম বাটনের। এ ধরনের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে অদূরভবিষ্যতে কোম্পানিটির ব্যবসায়িক অবস্থা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক।

কোম্পানিটির কর্মকর্তারা বলছেন, যন্ত্রপাতি পুরনো হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সংস্কার ও আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েও আর্থিক দুর্বলতার কারণে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া ক্রেতা কমে যাওয়ার কারণে সংকট আরো বেড়েছে।

ইমাম বাটনের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত পাঁচ বছরের ব্যবধানে ইমাম বাটনের উৎপাদন অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে। ২০১০-১১ হিসাব বছরে ইমাম বাটনের বিক্রি ছিল ৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা; সর্বশেষ ২০১৪-১৫ হিসাব বছরে যা ৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকায় নেমে এসেছে। তাছাড়া ২০১১-১২ হিসাব বছরে কোম্পানির লোকসানের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ২৯ লাখ টাকা, যা ২০১৫-১৬ হিসাব বছরে এসে ৭৭ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এছাড়া সর্বশেষ ২০১৬-১৭ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ৩৮ পয়সা, যেখানে আগের হিসাব বছরে লোকসান ছিল ১ টাকা।

এদিকে পুঞ্জীভূত লোকসানের কারণে ২০১০ সালের পর থেকে শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি ইমাম বাটন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *