সরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডিরা প্রায়ই একসঙ্গে বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। এতে পরিচালনা পর্ষদে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। বিদেশ সফরের বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানানোর নিয়ম থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে তাও করছেন না চেয়ারম্যান-এমডিরা। তাই চেয়ারম্যান-এমডির একসঙ্গে বিদেশ সফরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। গত বুধবার আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে নিষেধাজ্ঞার পরিপত্র জারি করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা বিভিন্ন সময়ে একই সঙ্গে বিদেশ সফরে যান। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় অবস্থান করেন। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে বর্ণিত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলেও তা মন্ত্রণালয়কে যথাসময়ে অবহিত করা হয় না। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে জিওর কপিও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় না।
এতে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক দুজন একসঙ্গে বিদেশে অবস্থান করলে ব্যাংকের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডসহ জরুরি প্রয়োজনে আর্থিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যেসব কর্মসূচিতে চেয়ারম্যান কিংবা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অংশগ্রহণের বাধ্যবাধকতা নেই সেখানে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক বা যথোপযুক্ত পর্যায়ের অধীনস্ত কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
পরিপত্রে বলা হয়, বর্ণিত অবস্থায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে যথাসম্ভব একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকা এবং প্রয়োজনে অধীনস্ত সিনিয়র কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে বিদেশে কার্যসম্পাদন করার নির্দেশ দেওয়া হলো।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/জে