সামিট একিভূতকরণ ইস্যুতে চেয়ারম্যান-এমডিদের তলব

summitনিজস্ব প্রতিবেদক :

নন-কমপ্লায়েন্স অব সিকিউরিটিজ রুলস লঙ্ঘন করায় দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান-এমডিসহ সিআরও এবং লিস্টিং বিভাগের প্রধানকে তলব করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিএসইসির ডেপুটি পরিচালক হোসেন খান স্বাক্ষরিত ‘শোকজ কাম নোটিশ ফর হেয়ারিং’ শিরোনামে একটি চিঠিতে বলা হয়, সামিট পাওয়ারের তিনটি কোম্পানির একিভূতকরণ ইস্যুতে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ, প্রধান রেগুলেটরি আফিসার (সিআরও) একেএম জিয়াউল হাসান খান এবং লিস্টিং বিভাগের প্রধান শফিকুল ইসলাম ভূইয়াকে শোকজ করা হয়েছে।

আলাদা আরেক চিঠিতে একই ইস্যুতে সিএসইর চেয়ারম্যান-এমডিসহ, প্রধান রেগুলেটরি আফিসার (সিআরও) এবং লিস্টিং বিভাগের প্রধানকে শোকজ করেছে বিএসইসি।

একিভূতকরণের পাশাপাশি কোম্পানির তালিকাচ্যুতি বিষয়ে উদ্ভুত সমস্যা সমাধানে ডিএসই ও সিএসইর কর্মকর্তাদের ১৫ ডিসেম্বর সকালে শুনানিতে উপস্থিত হয়ে তার জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে সিএসইর এমডি সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, কমিশনের এনফোর্সমেন্ট বিভাগ থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। একই চিঠি ডিএসইকে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মূলত ডিএসই ও সিএসই’র সিআরও এবং লিস্টিং বিভাগের প্রধানকে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়োছে। আর পর্ষদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, সামিট পাওয়ার লিমিটেডের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বর্তমানে বিএসইসি এনফোর্সমেন্ট বিভাগে রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এনফোর্সমেন্ট বিভাগ দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের শুনানিতে ডাকে বিএসইসি। শুনানির পর বিষয়টি আবারও বিএসইসির কমিশন সভায় উঠানো হবে। সবদিক দেখে কমিশন সিদ্ধান্ত নিবে।

সামিট পাওয়ারের সঙ্গে এ গ্রুপের তিন কোম্পানি একীভূতকরণ ইস্যুকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া জটিলতায় উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ কোম্পানির লেনদেন বন্ধ করে। তবে এরপর ৯ অক্টোবর থেকে লেনদেন শুরু হয়েছে।

বিএসইসির অভিযোগ, কোম্পানিটি একীভূতকরণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধিবিধান সঠিকভাবে অনুসরণ করেনি। বিশেষ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে কোম্পানিটি মূলধন বাড়ানোর অনুমতি নেয়নি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *