বিশ্ববাজারে আবার বাড়তে শুরু করেছে সোনার দাম। গতকাল বুধবার আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স (৩১.১০৩ গ্রাম) সোনা বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৩৩৮ মার্কিন ডলারে। গত জুলাইয়ে আউন্সপ্রতি সোনার দাম ছিল ১ হাজার ২০০ ডলারের কিছু বেশি। আর গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রতি আউন্স সোনার দাম ১ হাজার ৩০০ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে আবার সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে মূল্যবান এ ধাতুর দাম।
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন ডলারের অব্যাহত দরপতন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড, উত্তর কোরিয়ার অব্যাহত যুদ্ধের হুমকির মতো বেশ কিছু নেতিবাচক বিষয়ের কারণে সোনার দাম বাড়ছে। তবে মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকস বলছে, মূল্যবৃদ্ধির এ প্রবণতা অস্থায়ী। চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ সোনার দাম ১ হাজার ২৫০ ডলারে নেমে আসবে।
গোল্ডম্যান স্যাকস বলছে, ইউরো, ব্রিটিশ পাউন্ডের মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্য গত চার মাসের মধ্যে এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে আছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে নিম্ন মূল্যস্ফীতির কারণে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ বা ফেড সুদ হার বাড়ানোর নীতি থেকে আপাতত সরে এসেছে। এসব বিষয় বাজারে প্রভাব ফেলেছে। কারণ, বিপদের সময় সোনার প্রতি মানুষের নির্ভরতা সব সময়ই বেড়ে যায়।
সোনার বাজারের অস্থিরতা রুপা, প্লাটিনামের মতো অন্য মূল্যবান ধাতুর বাজারে তেমন একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেনি। গতকাল প্রতি আউন্স রুপা ও প্লাটিনামের দাম দশমিক ১ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। তবে দাম কিছুটা বেড়েছে প্যালাডিয়ামের।
এদিকে বিশ্ববাজারের প্রভাবে সর্বশেষ গত ১৩ আগস্ট দেশের বাজারে সোনার দাম বেড়েছে। সে সময় প্রতি ভরি সোনার দাম মানভেদে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫১৬ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে দুই দফা মূল্যবৃদ্ধির পর গত ৮ মে সোনার ভরি ১ হাজার ১৬৭ টাকা পর্যন্ত কমিয়েছিল সমিতি।
বর্তমানে দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেট সোনা ৪৮ হাজার ৬৩৯ টাকা, ২১ ক্যারেট ৪৬ হাজার ৪৮১ টাকা এবং ১৮ ক্যারেট সোনা বিক্রি হচ্ছে ৪০ হাজার ৮২৪ টাকায়। আর সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরি বিক্রি হচ্ছে ২৬ হাজার ২৪৪ টাকায়।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/শুভ