হঠাৎ করে বেড়েছে আটা-ময়দা ও চালের দাম

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাজারে হঠাৎ করে বেড়েছে আটা-ময়দার দাম। পাশাপাশি নতুন করে বেড়েছে চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে সরু ও মাঝারি আকারের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ২-৩ টাকা।

এছাড়াও ব্রয়লার মুরগি, চিনি ও ভোজ্যতেল এখনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। যদিও গত সপ্তাহ খানেক ধরে ধীরে ধীরে কমছে পেঁয়াজের দাম। আজকের বাজারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়।

বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, প্রতি কেজি সরু চাল সপ্তাহের ব্যবধানে ২ দশমিক ৪৮ শতাংশ বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি প্যাকেটজাত আটার দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। প্যাকেটজাত ময়দা বেড়েছে ২ দশমিক ১১ শতাংশ। প্রতি লিটার ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ, আলু ১১ দশমিক ১১ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের নোয়াখালি রাইস এসেন্সির মালিক ও খুচরা চাল বিক্রেতা মো. আমজাদ মিয়া বলেন, ‘এসময় কিন্তু চালের দাম বাড়ার কথা নয়। কিন্তু মিল মালিকরা চালের দাম বাড়ানোর কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়ে চালের দাম বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রতি কেজি সরু চাল আগে সর্বনিম্ন ৫৬ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৫৮-৫৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ খানেক আগে সর্বোচ্চ ৬৬ টাকার চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকা। এছাড়া মাঝারি আকারের চাল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫৭ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকা করে।

রাজধানীর হাতিরপুল বাজার ও নিউমার্কেটের খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার (২৫ অক্টোবর) প্রতি কেজি প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪২ টাকা; যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৩৫-৪০ টাকা। আর প্রতি কেজি প্যাকেটজাত ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগেও ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা, যা সপ্তাহখানেক আগে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৭৩০ টাকা, যা আগে ৬৯০-৭২০ টাকা ছিল। এক লিটার পাম অয়েল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, যা আগে ছিল ১৩৫ টাকা।

হাতিরপুল বাজারে কেনাকাটা করতে আসা সাইফুল আলম বলেন, ‘সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি। তেল-চিনি-মুরগী-সবজীর পাশাপাশি নতুন করে চালের দামে বেড়েছে। এমন হলে আমাদের মতো মানুষদের বেঁচে থাকা মুশকিল হয়ে যাবে। বাজার তদারকি করা জরুরি। তা না হলে ক্রেতাদের ভোগান্তি আরও বাড়বে।’

হঠাৎ করে বাজারে বিভিন্ন পণ‌্যের মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে জানতে চাইলে, বাজার তদারকি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উপ-পরিচালক বলেন, ‘বাজারে পণ্যের দাম ভোক্তাবান্ধব রাখতে অধিদপ্তরের পক্ষ থকে সার্বিকভাবে বাজার তদারকি করা হচ্ছে। অনিয়ম সামনে এলেই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। তারপরও বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে, আশা করি দাম কমে আসবে।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *