ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব আয় কমেছে ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। ডিএসই উৎসে কর কর্তন করে গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সরকারি কোষাগারে জমা দেয় ১৫৮ কোটি ৪ লাখ টাকা, যা এর আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা কম।
শেয়ার কেনাবেচা এবং উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার হস্তান্তর প্রযোজ্য কর বাবদ উৎসে কর কর্তন করেছিল স্টক এক্সচেঞ্জটি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছিল ১৭৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
ডিএসইর এক কর্মকর্তা জানান, গত অর্থবছরে ডিএসইতে ২৪৭ কর্মদিবসে মোট এক লাখ ৭ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়। এর আগের অর্থবছরের ২৩৮ কার্যদিবসে এক লাখ ১২ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল। শেয়ারবাজারে লেনদেনের ওপর শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ হারে উৎসে কর আদায় করে ডিএসই।
ডিএসই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ডিএসইর সদস্য ব্রোকারেজ হাউসগুলো থেকে রাজস্ব আদায় হয় ১০৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর আগের অর্থবছরে অর্থাৎ, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ১১২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। সেই হিসাবে এ স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রোকারেজ হাউসগুলো থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় কমেছে ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা।
এ ছাড়া উদ্যোক্তা-পরিচালক ও প্লেসমেন্ট শেয়ারধারীদের শেয়ার কেনাবেচা থেকে উৎসে কর বাবদ ডিএসই উৎসে কর আদায় করে ৫০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, যা এর আগের বছর ছিল ৬২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে উদ্যোক্তা-পরিচালক ও প্লেসমেন্ট শেয়ারধারীদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় কমেছে ১১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/জেড