৯ রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স প্রদান

uberস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

উবারসহ ৯টি রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

বৃহস্পতিবার উবার অনুমোদন পায়। এর আগে বিভিন্ন সময়ে পাঠাও, সহজসহ ৮টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়া আরও তিনটি অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

একটি প্রতিষ্ঠান পর্যাপ্ত কাগজপত্র না দেয়ায় সেটিকে বিবেচনা করছে না বিআরটিএ। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএ চেয়ারম্যান ড. কামরুল ইসলাম বলেন, ৯টি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তিনটিকে প্রাথমিক অনুমোদন দেয়া হয়েছে। একটি আবেদন বাতিল করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করব। আমরা বাহন নিরাপদ করতে চাই।

যেসব প্রতিষ্ঠান অনুমোদন পেয়েছে সেগুলো হচ্ছে- পিকমি, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম, ওভাই সলিউশনস, চালডাল, পাঠাও, আকাশ টেকনোলজি, সেজেস্টো, সহজ ও উবার।

এছাড়া বাডি লিমিটেড, আকিজ অনলাইন লিমিটেড ও ইজিয়ার টেকনোলজিস লিমিটেডের আবেদন প্রক্রিয়াধীন। প্রবাহন লিমিটেড নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান বিআরটিএর সার্ভিস পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করে। তারা প্রাথমিক অনুমোদনও পায়নি।

চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তিতে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোক পরবর্তী এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছ থেকে এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট নিতে বলা হয়েছিল।

জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই সনদ না নিলে সংশ্লিষ্ট সার্ভিসদাতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ১৫ জানুয়ারি শর্ত সাপেক্ষ অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং পরিবহন সেবার অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১১ শর্তে এ অনুমোদন পায় রাইড শেয়ারিং সেবাটি। নীতিমালায় আটটি অনুচ্ছেদ এবং ১১টি শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালের জুনে এ নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়। একই বছর অক্টোবরে হয় প্রথম খসড়া।

নীতিমালায় প্রণীত বিধানগুলো :

১. অ্যাপভিত্তিক পরিবহন সেবা দিতে বিআরটিএর অনুমোদন বা নিবন্ধন লাগবে।

২. কোম্পানিগুলোর ঢাকায় কমপক্ষে ১০০টি, চট্টগ্রামে ৫০টি এবং অন্যান্য এলাকায় ২০টি যানবাহন থাকতে হবে।

৩. নিবন্ধন ফি ১ লাখ টাকা। প্রতি বছর নবায়নে ১০ হাজার টাকা।

৪. ব্যক্তি মালিকানায় একজন একটির বেশি গাড়ি এই সেবায় দিতে পারবেন না। গাড়ি এই সেবায় দিলে আলাদা ফি দিতে হবে। প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজিতে বছরে ১ হাজার টাকা আর মোটরসাইকেলে ৫০০ টাকা।

৫. একসঙ্গে একাধিক অ্যাপে সেবা দেয়া যাবে না। অ্যাপ পরিবর্তন করতে চাইলে দুই মাস পরে করতে হবে।

৬. ভাড়া সরকার নির্ধারিত ট্যাক্সি ক্যাবের চেয়ে বেশি নেয়া যাবে না। ট্যাক্সিক্যাবে বেইজ বা যাত্রা শুরুর ভাড়া ৫০ টাকা আর প্রতি কিলোমিটারে ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া আছে। সিএনজিতে এটি বেইজ ৪০ টাকা ও প্রতি কিলোমিটার ১২ টাকা রয়েছে। মোটরসাইকেলের ভাড়া এখনও নির্ধারিত নেই।

৭. কোম্পানিগুলোকে যাত্রীর ভ্রমণের বিস্তারিত তথ্য কমপক্ষে ৩ মাস সংরক্ষণ করতে হবে।

৮. সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে যাত্রীর বিআরটিএ’তেও অভিযোগ জানাতে পারবেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *