হামিদ ফ্যাব্রিকসের দর বাড়ল ৬১.৭১%

hamid-fabrics-ltdস্টকমার্কেট ডেস্ক :

তালিকাভুক্তির পর প্রথম কার্যদিবস গতকাল দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বস্ত্র খাতের কোম্পানি হামিদ ফ্যাব্রিকসের শেয়ারদর ৬১ দশমিক ৭১ শতাংশ বেড়েছে। এদিন লেনদেনের শেষ সময়ে এ শেয়ারের বড় ক্রয় চাপ আসে। সাম্প্রতিক সময়ে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক দেখা গেছে।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ডিএসইতে ৩৫ টাকা দর নিয়ে এ শেয়ারের কেনাবেচা শুরু হয়। দর বাড়ে ৬১ দশমিক ৭১ শতাংশ বা ২১ টাকা ৬০ পয়সা। দিনভর দর ৫৫ টাকা থেকে ৬৯ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। সর্বশেষ লেনদেন হয় ৫৬ টাকা ৬০ পয়সায়, যা সমন্বয় শেষে দাঁড়ায় ৫৬ টাকা ১০ পয়সায়। এদিন ৩৪ হাজার ৩৫৫ বারে এর ৮১ লাখ ৮৬ হাজার ২০০ শেয়ার লেনদেন হয়।

এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নেট মুনাফা প্রায় ৪ শতাংশ কমেছে। এ তিন মাসে মুনাফা হয়েছে ৬ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১ টাকা ২৬ পয়সা।

তবে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে মুনাফা হয়েছে ৬ কোটি ৩৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও ইপিএস ১ টাকা ৩১ পয়সা। ইপিএস হিসাব করা হয়েছে আইপিও-পূর্ববর্তী পরিশোধিত শেয়ারসংখ্যার ভিত্তিতে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এআর

ব্রোকারেজ হাউসে সুবিধা পাচ্ছেন না প্রবাসীরা : স্টেকহোল্ডার

brokerage-houseনিজস্ব প্রতিবেদক :

বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব (এফসি অ্যাকাউন্ট) সংক্রান্ত জটিলতার কারণে দেশের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতো আইপিও আবেদনে প্রবাসীদের একই সুবিধা দেয়া অসম্ভব বলে জানিয়েছেন স্টেকহোল্ডাররা। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এমন মত দিয়েছেন তারা।

তারা জানান, ব্রোকার হাউসের মাধ্যমে কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) প্রবাসী বাংলাদেশীদের (এনআরবি) আবেদন বিষয়ে কোনো গ্রহণযোগ্য সমাধান পায়নি স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ।

ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক স্বপন কুমার বালার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়ালি-উল-মারূফ মতিন ছাড়াও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি লিমিটেড (সিডিবিএল), বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

জানা যায়, ব্রোকার হাউসের মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আইপিওর চাঁদা সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় প্রবাসী ও বিদেশীদের অন্তর্ভুক্ত করে স্টক এক্সচেঞ্জকে নতুন প্রস্তাব দেয়ার নির্দেশনা দেয় বিএসইসি। এরই অংশ হিসেবে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে ডিএসই।  বৈঠকে বর্তমানের প্রচলিত পদ্ধতি অর্থাত্ ব্যাংকের মাধ্যমে এনআরবি বিনিয়োগকারীদের আইপিও আবেদনের অর্থ জমা দেয়ার বিধান অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

ব্রোকার হাউসের মাধমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতো প্রবাসীদের আইপিও আবেদনের ফি জমা দেয়ার সুবিধা দেয়া যাবে না বলে বৈঠকে স্টেকহোল্ডাররা জানিয়েছেন।

বৈঠকে ট্রেকহোল্ডাররা আইপিওর চাঁদা সংগ্রহে তাদের কমিশন পাঁচ গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। বর্তমানে সংগৃহীত চাঁদার দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ টাকা কমিশন হিসেবে পেয়ে থাকে ব্রোকার হাউস। এটি বাড়িয়ে সংগৃহীত অর্থের দশমিক ২৫ শতাংশ অথবা প্রতি আবেদনে ১০ টাকা কমিশনের দাবি জানিয়েছেন তারা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এআর

শেয়ারবাজার উন্নয়নে একত্রে কাজ করবে ডিএসই ও সিএসই

dse cseনিজস্ব প্রতিবেদক :

বিনিয়োগকারীদের উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এবং বাজার উন্নয়নে কৌশলগত কারণে সমন্বিত উদ্যোগ ও নীতি গ্রহণে কাজ করবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। উভয় এক্সচেঞ্জের শীর্ষ কর্মকর্তারা গতকাল এক সমন্বয় বৈঠকে একত্রে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কার্যালয়ে গতকাল এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ডিএসইর পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক স্বপন কুমার বালা এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পক্ষে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওয়ালি-উল-মারূফ মতিন নেতৃত্ব দেন। মারূফ মতিন সিএসইর এমডি পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের মধ্যে প্রথম বৈঠক।

বৈঠক সূত্র জানায়, যৌথ মালিকানায় শেয়ার লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য স্বতন্ত্র ক্লিয়ারিং করপোরেশন ও কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একই নীতি অনুসরণের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ। এছাড়া সেটেলমেন্ট গ্যারান্টি ফান্ড ও ইনভেস্টর প্রটেকশন ফান্ড গঠন নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

এছাড়া শেয়ার কারসাজি প্রতিরোধে পারস্পরিক তথ্য বিনিময়, আগের এ ধরনের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, দুই স্টক এক্সচেঞ্জের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন এবং সমন্বয় বৃদ্ধির জন্য নিয়মিতভাবে বৈঠক করার বিষয়েও একমত হয়েছেন ডিএসই ও সিএসইর শীর্ষ কর্মকর্তারা।

ডিএসইর এমডি বলেন, শেয়ারবাজারের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের মধ্যে সমন্বয় থাকা খুবই জরুরি। যদিও উভয়ের ব্যবসানীতি আলাদা। তবে শেয়ারবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে উভয়কেই একটি নির্দিষ্ট নীতি অনুসরণ জরুরি।

সিএসইর এমডি ওয়ালি-উল-মারূফ মতিন বলেন, শেয়ারবাজারের উন্নয়নে সবক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ সমন্বিত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আমরা একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছি। ডিএসইর সঙ্গে বৈঠকে সেটেলমেন্ট গ্যারান্টি ফান্ড, স্বতন্ত্র ক্লিয়ারিং করপোরেশন ও কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠায় একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের শেয়ার লেনদেনে সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠক সূত্র জানায়, শেয়ারবাজারে সব ধরনের লেনদেনে এবং প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য আইন ও নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ; বিশেষত এসব বিষয়ে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আইন বা নীতি প্রণয়নে কোনো সুপারিশ প্রদানের প্রয়োজন হলে পারস্পরিক আলোচনাসাপেক্ষে তা প্রদান করা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এআর