২০১৬-১৭ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে বিবেচনা করা না হলেও চূড়ান্ত বাজেটে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এর প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করার দাবি জানানো হয়েছে।
রবিবার (৫ জুন) মতিঝিলে সিএসই’র অফিসে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাজেট প্রতিক্রিয়ার বক্তব্যে এ দাবি জানান সিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার।
তিনি প্রথমে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের ক্যাপাসিটি তৈরিতে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি নিবন্ধন থাকায় তাকে ধন্য্বাদ জানান। তিনি বলেন, শেয়ারবাজারের ক্রান্তিকাল উত্তরনে বাজেটে ৯টি বিষয়ে প্রস্তাব করে সিএসই। যা ঘোষিত বাজেট প্রতিফলন হয়নি। বিষয়গুলো চূড়ান্ত বাজেটে পুনবিবেচনার জন্য দাবি জানান।
সিএসই’র দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-সিএসইকে ৫ বছর সম্পূর্ণ কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া, তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও স্টক এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে জুলাই-জুন হিসাব বছর করার বাধ্যবাধকতা থেকে বাহিরে রাখা, স্টক এক্সচেঞ্জ এর ট্রেকহোল্ডারদের কাছ থেকে আদায়কৃত ০.০৫ শতাংশ উৎসে কর হার কমিয়ে ০.০১৫ শতাংশ করা, লভ্যাংশ আয়ের উপর দ্বৈত কর হার নীতি পরিহার করা, মূলধনী লাভের উপর সম্পূর্ন কর প্রত্যাহার, তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট কর হার কমানো, ব্যাক্তিগত করদাতাদের কর মুক্ত আয় সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ করা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ন্যায় ট্রেকহোল্ডারদের মওকুফকৃত যে কোন পরিমান মার্জিণ ঋণ ও সুদ কর আওতার বাহিরে রাখা ও অভিবাসী ব্যাক্তিদের কারিগরি সেবা পরিশোধের ক্ষেত্রে উৎসে কর ১০ শতাংশে কমিয়ে আনা।
সিএসই’র চেয়ারম্যান ড, আব্দুল মজিদ বলেন, বাজেট পেশ হওয়া মানেই চূড়ান্ত না। এখনো পরিবর্তন বা সংশোধনের সুযোগ আছে। তাই সিএসই’র দাবি বাস্তবায়ন নিয়ে আশাবাদি। বাজেটটি এ মাস জুড়ে জরিপ হবে। তারপর শেষের দিকে তা সংসদে পাশ হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সিএসই’র চেয়ারম্যান ড, আব্দুল মজিদ, পরিচালক খায়রুল আনাম চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত চীফ রেগুলেটর অফিসার মোঃ সামসুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এলকে