হারুনুর রশিদ-আকবর আলীকে নিয়ে বোর্ড গঠন : সদস্য আজিজুর

dseনিজস্ব প্রতিবেদক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোকার এ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ও আপীল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তিন সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন হারুন সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ। আর আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে আলী সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান সাবেক সাংসদ এম আকবর আলীকে। গ্লোব সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুর রহমানকে রাখা হয়েছে কমিশনের সদস্য হিসাবে।

সম্প্রতি এ কমিশন গঠন করা হয়। ডিএসই ব্রোকার এ্যাসোসিয়েশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কমিশনের অন্য দুই সদস্য হলেন- গ্লোব সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুর রহমান ও এমএ্যান্ডজেড সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ। আর আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে আলী সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান এম আকবর আলীকে।

তিন সদস্যবিশিষ্ট আপীল বোর্ডের বাকি দুই সদস্য হলেন- মার্চেন্ট সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম কামাল উদ্দিন ও ফনিক্স সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কাদের চৌধুরী। এ নির্বাচনে ডিএসইর ২৫০ জন সদস্য তাদের ভোট প্রদান করবেন।

তাদের ভোটে ১৫ জন সদস্য নির্বাচিত হবেন। যে ১৫ জন নির্বাচিত হবেন তাদের ভোটে সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচন করা হবে। সংগঠন হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পর প্রথম নির্বাচন হবে এটি। স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশনের (ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথকীকরণ) কিছুদিন পর ডিএসই ব্রোকার এ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়। তখন থেকে ডিএসইর সাবেক সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এ

আইডিআরএ’র ১৫৫ জনের জনবল-কাঠামো চূড়ান্ত

idr-smbdনিজস্ব প্রতিবেদক :

চার বছর ঝুলে থাকার পর বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) ১৫৫ জনের জনবল-কাঠামো শেষ পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সম্প্রতি এ অনুমোদনের কথা জানিয়ে আইডিআরএর চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদকে চিঠি পাঠিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১০ অনুযায়ী ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে একজন চেয়ারম্যান ও চারজন সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে আইডিআরএ। কিন্তু জনবল-কাঠামো না থাকায় সংস্থাটি কোনো লোক নিয়োগ করতে পারছিল না।

জানতে চাইলে আইডিআরএ চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদ বলেন, ‘চিঠি পেয়েছি। এখন নিয়োগ-প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেব।’ দেরি হলেও জনবল-কাঠামোটি শেষ পর্যন্ত হয়েছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন আইডিআরএর চেয়ারম্যান।

জনবল-কাঠামোতে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বাইরে মোট পদ করা হয়েছে ১৫৫টি। এর মধ্যে নির্বাহী পরিচালক ৪, পরিচালক ৭, উপপরিচালক ১৫, সহকারী পরিচালক ২৫ ও কর্মকর্তার পদ রয়েছে ২৮টি।

এ ছাড়া রয়েছে প্রোগ্রামার ১, নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ১, চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব ১, প্রোগ্রাম অপারেটর ৫, কম্পিউটার অপারেটর ১০, চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সহকারী ৫, ডেটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর ২০, গাড়িচালক ১০, অফিস সহায়ক ২০, ক্লিনার ২ এবং ইলেকট্রিশিয়ানের ১টি পদ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত জনবল-কাঠামোতে ১০ অতিরিক্ত পরিচালকের পদ থাকলেও অর্থ মন্ত্রণালয় তা একেবারেই বাদ দিয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এ

ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে ৭৫%

untitled-1_226995নিজস্ব প্রতিবেদক :

চলতি বছরের প্রথমার্ধে ব্র্যাক ব্যাংকের নিট মুনাফা হয়েছে ১৭৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা বা প্রায় ৭৫ শতাংশ বেশি। সম্প্রতি অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদনের ওপর এক পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) পারভেজ সাজ্জাদ। রাজধানীর তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোডের অনিক টাওয়ারে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ব্যাংকের এমডি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন সুদৃঢ় করার মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক কেবল মুনাফায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিই নয়, ব্যাংকিং সেবা কার্যক্রমে গ্রাহকদের কাছ থেকে ব্যাপক আস্থা ও সুনাম অর্জন করেছে। ব্যাংকটির মুনাফা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে অর্থায়ন থেকে পাওয়া ব্যবসা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।

সেলিম আর এফ হোসেন আরও বলেন, ২০১৬ সালের প্রথম ছয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংক লক্ষ্যণীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। আগামী বছরগুলোতে প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে তারা বিশ্বাস করেন।

শেয়ারবাজারে ব্যাংকের কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অনাদায়ী মার্জিন ঋণের বিপরীতে পর্যাপ্ত মূলধন সংরক্ষণ করা হবে।

পারভেজ সাজ্জাদ কোম্পানির আর্থিক ব্যবস্থাপনার নানা দিক তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২০১৬ সালের জুন শেষে কোম্পানিটির নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৩৯ পয়সা। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৫২ পয়সা আয় হয়েছেও বলে জানান তিনি। গত বছরের ছয় মাসে যা ছিল ১ টাকা ৪৪ পয়সা।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এ

“বাংলাদেশে গ্রাহক তথ্য সংগ্রহে নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বলতা রয়েছে”

(JPEG Image, 310 × 163 pixels)নিজস্ব প্রতিবেদক :

আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্য অর্জনে ২০১৫ সালে ১১ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই পিছিয়ে পড়ার পেছনে দুটি বিষয়কে মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে প্রতিবেদনে। সেগুলো হলো আর্থিক অন্তর্ভুক্তি অর্জনে সরকারের সহযোগিতা কমে যাওয়া ও গ্রাহক তথ্য সংগ্রহে নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বলতা।

সরকারের সহযোগিতা কমে যাওয়ার সূচকে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ১০০-এর মধ্যে পেয়েছে ২২, ২০১৪ সালে এ সূচকে বাংলাদেশ পেয়েছিল ৫৬। আর্থিক খাতের সুশাসন নিশ্চিতে বাংলাদেশের ব্যর্থতার বিষয়টিও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।

এমন তথ্য উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যের ইকোনমিস্ট গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের ‘গ্লোবাল মাইক্রোস্কোপ ২০১৫’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে মুঠোফোন ও ক্ষুদ্রঋণভিত্তিক আর্থিক লেনদেন ব্যবহারকারী উন্নয়নশীল ৫১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৪০, ২০১৪ সালে যা ছিল ২৯।

আর্থিক অন্তর্ভুক্তি অর্জনে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলো এক বছরে কতটুকু এগোল বা পেছাল সেটির ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়ার এ বিষয়টি উঠে এসেছে। ২০১৫ সালের জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে সাক্ষাৎকার ও গবেষণার ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদন তৈরিতে ১২টি সূচককে বিবেচনা করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্য অর্জনে সরকারের সহায়তা, নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার সক্ষমতা, ঋণ ও আমানত ব্যবস্থাপনা, অর্থ লেনদেনকারী এজেন্টদের নিয়ন্ত্রণসহ সমগ্র আর্থিক খাত ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সবগুলো বিষয়কে যোগ করে ১০০ নম্বরের মধ্যে একটি দেশের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ২০১৫ সালে ৩৭টি দেশের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। আর অবনতি ঘটেছে নয়টি দেশের। পিছিয়ে পড়া নয়টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। ১২টি সূচকে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ১০০-এর মধ্যে পেয়েছে ৩৯ পয়েন্ট। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪৫। একই সময়ে বাংলাদেশ ১১ ধাপ পিছিয়ে ২৯ নম্বর থেকে ৪০ নম্বরে নেমে গেছে।

অবস্থার উন্নয়নে বাংলাদেশের জন্য বেশ কিছু পরামর্শও দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে সচেতনতা ও এসব সেবা ব্যবহারে প্রয়োজনীয় ন্যূনতম জ্ঞান অর্জনে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে যথাযথ সেবা চালুর বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতাদের বিমা সুবিধার আওতায় আনার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার কথাও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, ‘আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ আগের মতোই এগোচ্ছে। কৃষি, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋণ, নতুন হিসাব খোলা সবকিছুতেই আমরা ভালো করছি। স্কুল ব্যাংকিংয়ের জন্য আমরা আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়েছি। তবে প্রবৃদ্ধি আগের মতো না-ও হতে পারে।’

আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্য অর্জনে মোবাইল ব্যাংকিং বাংলাদেশে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি মাত্র প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেনের ৮০ শতাংশ লেনদেন সম্পন্ন হচ্ছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এ

একীভূতকরণের অনুমতি পেল সামিট, ইউপিজিডিসিএলের না

courtনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ইউপিজিডিসিএল) সহযোগী দুই কোম্পানিকে একীভূত করার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে। অন্যদিকে এ খাতের অপর কোম্পানি সামিট পাওয়ার হাইকোর্ট থেকে সহযোগী তিন কোম্পানিকে একীভূত করার অনুমতি পেয়েছে। ডিএসইর ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

ইউনাইটেড পাওয়ার গত নভেম্বরে সহযোগী কোম্পানি শাহজাহানউল্লাহ পাওয়ার জেনারেশন ও ইউনাইটেড আশুগঞ্জ পাওয়ারকে একীভূত করার পরিকল্পনা নিয়েছিল।
এদিকে একীভূত পরিকল্পনায় থাকা তিন কোম্পানির সম্পদ স্বতন্ত্র ভেল্যুয়ার দ্বারা পুনঃমূল্যায়ন ও সেই অনুযায়ী শেয়ার হস্তান্তর হার নির্ধারণ করার শর্তে তালিকাভুক্ত সামিট পাওয়ারের একীভূতকরণ পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে হাইকোর্ট।

কোম্পানিটির পরিকল্পনা অনুযায়ী তালিকাভুক্ত সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ারসহ অপর দুই কোম্পানি সামিট উত্তরাঞ্চল পাওয়ার ও সামিট নারায়ণগঞ্জ পাওয়ার তালিকাভুক্ত সামিট পাওয়ারের সঙ্গে একীভূত হবে।

সামিট পাওয়ারের সিএফও স্বপন কুমার পাল বলেন, আদালতের আদেশ অনুযায়ী পুনরায় সম্পদ পুনঃমূল্যায়ন করা হবে। তবে নতুন করে সম্পদ পুনঃমূল্যায়ন করা হলেও তাতে আগের হিসাবে কোনো পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন না তিনি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এ

জাতীয় সংসদ সবরে ছিল শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির অভিযোগ ও দাবিদাওয়া

downloadজাতীয় সংসদের অধিবেশনে সরকারি জোটের কয়েকজন সাংসদ শেয়ারবাজারের কেলেঙ্কারি সম্পর্কে যেসব অভিযোগ ও দাবিদাওয়া তুলেছেন, তাতে সাধারণভাবে বিনিয়োগকারীদের প্রতিফলন রয়েছে বলে আমাদের মনে হয়।

প্রথমত, শেয়ারবাজারে নজিরবিহীন কারসাজির হোতাদের বিচার সবাই চান। দ্বিতীয়ত, সেই হোতাদের মধ্যে যদি সরকারি দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকজনও থাকেন, তবে তাঁরাও যেন শাস্তি পান, কোনোভাবেই পার পেয়ে না যান। তৃতীয়ত, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি ঘটনার তদন্তের জন্য খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর সেই কমিটি যেভাবে মহলবিশেষের রোষানলে পড়েছে, তা সমর্থনযোগ্য নয়। একজন সাংসদ বলেছেন, তদন্ত কমিটিকে যদি এভাবে মানহানির মামলার মুখোমুখি হতে হয়, তাহলে ভবিষ্যতে এ ধরনের কমিটির জন্য কাজ করতে কেউ আগ্রহী হবেন না।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের উপস্থিতিতে সরকারি জোটের সাংসদেরা শেয়ার কেলেঙ্কারির হোতাদের শাস্তির দাবি তুলেছেন অত্যন্ত কঠোর ভাষায়। অর্থমন্ত্রী সংসদকে জানিয়েছেন, একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী শেয়ারবাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িত, এ বিষয়ে সরকারের কাছে তথ্য রয়েছে। তবে আরও কিছু তথ্য প্রয়োজন, সেসবের অভাবেই তাদের ধরা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আশা করতে চাই, অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্য সান্ত্বনামূলক নয়। সরকারের কাছে যখন কিছু তথ্য রয়েছে, যখন সরকার প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে যে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী উদ্দেশ্যমূলকভাবে শেয়ারবাজারে নানা গুজব ছড়িয়ে বাজারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিল, তাহলে তাদের চিহ্নিত করে যথোপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া এবং তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা সরকারের একান্ত কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। শেয়ারবাজারে কারসাজির শিকার লাখ লাখ সাধারণ বিনিয়োগকারী সর্বস্বান্ত হয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা এখনো ফিরে আসেনি এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য তা গভীর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে। শেয়ারবাজারের প্রতি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনেও সংঘটিত কারসাজির প্রতিকার করা প্রয়োজন। যাঁরা এভাবে শেয়ারবাজারকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন, তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

অর্থমন্ত্রীর ভাষায়, যেসব প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ধরা যাচ্ছে না, তা পাওয়ার জন্য তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আরও অনুসন্ধান চালানো হোক, এবং তা করা হোক আরও দ্রুতগতিতে, অধিকতর দক্ষতার সঙ্গে। কারসাজির হোতাদের আইনানুগভাবে বিচার করে শাস্তি দিতে হলে আদালতে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ হাজির করতে হবে। সেসব তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের অভাবে কারসাজির হোতারা পার পেয়ে গেলে ভবিষ্যতে এমন কারসাজির পুনরাবৃত্তি ঘটার আশঙ্কা থেকেই যাবে, কেননা তাতে কারসাজির হোতাদের উৎসাহ আরও বেড়ে যাবে।

তাই অধিকতর অনুসন্ধান চালিয়ে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে কারসাজির হোতাদের বিচারের মুখোমুখি করার পাশাপাশি কী কী প্রক্রিয়ায় শেয়ারবাজারে কারসাজি হয়েছে, তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা প্রয়োজন। তাহলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অধিকতর সচেতনতা সৃষ্টি হবে এবং ভবিষ্যতে কোনো অসৎ গোষ্ঠীর পক্ষে উদ্দেশ্যমূলকভাবে গুজব ছড়িয়ে শেয়ারবাজারকে প্রভাবিত করা সহজ হবে না।

রফিকুল ইসলাম
সাধারণ বিনিয়োকারী

ড্রাগন সোয়েটারের ইপিএস পূন গণনা : ডিএসইতে দূ:খ প্রকাশ

dragonনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি ড্রাগন সোয়েটার এন্ড নিটিং লিমিটেডের চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) পূন:গণনা করা হয়েছে। পাশাপাশি ইপিএস হিসাবে নিজেদের ভূলের জন্য ডিএসইতে দূ:খ প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’১৬ থেকে মার্চ’১৬) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫০ পয়সা । যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪১ পয়সা।

পরে কোম্পানিটি জানায়, এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৩ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ১০ পয়সা।

এ বছর একই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদের পরিমাণ হয়েছে ১৬.৩৫ টাকা , যা গত বছর একই প্রান্তিকে ছিল ২০.৪৭ টাকা।

কোম্পানিটির এই ইপিএস ১৩ পয়সা না দেখিয়ে ৫০ পয়সা দেখানোকে নিজেদের ভূল বলে দাবি করে। ডিএসইর ওয়েবসাইটে বলা হয়, এটা কোম্পানির অনাঙ্কিক ভূল। এজন্য তারা দূ:খিত। ভবিষৎ এ এধরণের ভূলের বিষয়ে কোম্পানিটি সচেতন থাকবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/এএআর