ব্লক মার্কেটে ১৫ কোম্পানি ও মিউ. ফান্ডের লেনদেন

blockস্টকমার্কেট ডেস্ক :

গত সপ্তাহে ব্লক মার্কেটে ১৩ কোম্পানি ও ২ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার বা ইউনিট লেনদেন হয়েছে। কোম্পানি ও ফান্ড মিলে মোট ৫৪ লাখ ৭২ হাজার ৫৭২টি শেয়ার বা ইউনিট লেনদেন করেছে। যার আর্থিক মূল্য ৬৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা। সিকিউরিটিজ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি সাউথইস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড লেনদেন করেছে। ফান্ডটি ২০ লাখ ইউনিট লেনদেন করেছে। যার আর্থিক মূল্য ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ১৯ লাখ ইউনিট লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১ কোটি ২১ লাখ টাকা।

অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ৬ লাখ শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৯ কোটি ২১ লাখ টাকা।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- স্কয়ার ফার্মা, ব্যাংক এশিয়া, এমজেএলবিডি, ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড, গ্রামীণফোন, ইউনিক হোটেল, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, লিন্ডেবিডি, বিএটিবিসি, বার্জার পেইন্টস ও বেক্সিমকো ফার্মা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির নামে ১৪০০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন

dollarনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির নামে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন হয়েছে। জিপিএইচ ইস্পাত ও সামিট পাওয়ারের দুটি প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে এই ঋণ নেবে। জিপিএইচ ইস্পাত নেবে ১০০ মিলিয়ন ডলার বা ৭৯০ কোটি টাকা। এ ছাড়া সামিট বরিশাল পাওয়ার নেবে ৫০ মিলিয়ন ডলার (৩৯৫ কোটি টাকা) ও সামিট নারায়ণগঞ্জ পাওয়ার নেবে ২৭ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন ডলার (২১৮ কোটি টাকা)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

বেসরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণ অনুমোদন-সংক্রান্ত বাছাই কমিটির ১০৬তম সভায় এসব ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন হয়। কমিটির প্রধান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে গত মঙ্গলবার এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিনিয়োগ বোর্ড, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ফলে গত ছয় বছরে বিদেশি ঋণ অনুমোদনের পরিমাণ দাঁড়াল ৮ হাজার ৮০৬ মিলিয়ন ডলার (৬৯ হাজার ৫৭২ কোটি টাকা)। দেশি-বিদেশি উভয় খাতের প্রতিষ্ঠান কম সুদের এ ঋণসুবিধা গ্রহণ করেছে।

জানা গেছে, জিপিএইচ ইস্পাতকে জার্মানির বিএইচএফ ব্যাংক থেকে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের অনুমোদন দিয়েছে বাছাই কমিটি। এ ঋণের মেয়াদ হবে সাড়ে ১২ বছর। সুদের হার ১ দশমিক ৪ শতাংশ+৩ মাস লাইবর (লন্ডন আন্তব্যাংক সুদের হার)। প্রতিষ্ঠানটি ঋণের অর্থ দিয়ে অস্ট্রিয়া থেকে মূলধনি যন্ত্র আমদানি করবে।

জিপিএইচ ইস্পাতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ঋণের টাকায় নতুন কারখানা করা হবে। এতে আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা ১০ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে। পাশাপাশি ইস্পাত কাঠামো তৈরির কাঁচামালও আমরা উৎপাদন করতে পারব।’

একই সভায় সামিট বরিশাল পাওয়ার লিমিটেডকে ৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণের অনুমোদন দিয়েছে বাছাই কমিটি। ইসলামিক কো-অপারেশন ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট (আইসিডি) অব দ্য প্রাইভেট সেক্টর থেকে এ ঋণ আসবে। ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (আইডিবি) একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইসিডি। এ ঋণের মেয়াদ ১২ বছর। সুদের হার ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ+৩ মাস লাইবর। এ ছাড়া সামিট নারায়ণগঞ্জ পাওয়ারকে (ইউনিট-২) ২৭ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন ডলার ঋণ গ্রহণের অনুমোদন দিয়েছে বাছাই কমিটি।

সদ্য বিলুপ্ত বিনিয়োগ বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ থেকে গত বুধবার পর্যন্ত বেসরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণ অনুমোদন-সংক্রান্ত বাছাই কমিটি ৮৮০ কোটি ৬৭ লাখ ডলার ঋণ অনুমোদন দেয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

ছুটি শেষে লেনদেন চালু হবে ১৮ সেপ্টেম্বর

DSE_CSE-smbdনিজস্ব প্রতিবেদক :
ঈদুল আজহা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে সাত দিনের ছুটি শেষে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শেয়ারবাজারে পুনরায় লেনদেন শুরু হবে।

ছুটির আগে গত বৃহস্পতিবার ছিল শেয়ারবাজারের সর্বশেষ কার্যদিবস। ওই দিন থেকে লেনদেনের পাশাপাশি দাপ্তরিক কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যায়। আগামী রোববার থেকে পুনরায় লেনদেন ও দাপ্তরিক কার্যক্রম চালু হবে।

ডিএসই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সরকারি ঘোষণার সঙ্গে মিল রেখে ২৪ সেপ্টেম্বর সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও শেয়ারবাজারে লেনদেন চলবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

মাসের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে

dseনিজস্ব প্রতিবেদক :

তারল্য সংকট কাটিয়ে ইতিবাচক ধারায় ফিরছে দেশের শেয়ারবাজার। এর ফলে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আগস্ট মাসে লেনদেন বেড়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা। সার্বিক লেনদেন বাড়ার প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আদায়েও। ফলে বাজার থেকে সরকারের খাত থেকে রাজস্ব আয় বেড়েছে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত মাসে সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো দেশী বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি বিদেশী ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীরাও বাজারে ফিরছেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই’র সবশেষ তথ্য মতে, আগস্ট মাসে ডিএসইতে মোট ২৩৪ কোটি ২৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯৮৯টি শেয়ার কেনাবেচা বাবদ লেনদেন হয়েছে ৯ হাজার ৬২৯ কোটি ২৯ লাখ ৫৪ হাজার ২৫৩ টাকার। যা জুলাই মাসের চেয়ে ৩ হাজার ৫৫ কোটি ৬৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৬৮ টাকা বেশি। জুলাই মাসে লেনদেন হয়েছিল ৬ হাজার ৫৭৩ কোটি ৬১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৮৫ টাকার।

তথ্য মতে, জুলাই মাসে জুন মাসের তুলনায় ডিএসইতে লেনদেন কমেছিল ১ হাজার ৫৬৪ কোটি ৬৭ লাখ ৭৭ হাজার ৭১৩ টাকার। ওই মাসে ২২৩ কোটি ৬২ লাখ ১ হাজার ২৬৪টি হাতবদল শেয়ারের লেনদেন হয়েছিল ৮ হাজার ১৩৮ কোটি ২৯ লাখ ৫১ হাজার ২৯৮ টাকার।

জানা যায়, বাজারে লেনদেন বাড়াতে করণীয় বিষয়ে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ডিএসই ব্রোকার্স এ্যাসোসিয়েশনসহ বাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো একাধিক বৈঠক করে। বৈঠকে গৃহীত একাধিক প্রস্তাব নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) জমা দেয়। পাশাপাশি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী খুঁজে পেতে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ বিশেষ উদ্যোগ নেয়। ফলে বাজারে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

ট্রাইব্যুনালে আবারো রকিবুর রহমানের মামলার বিচার কার্যক্রম

tribunal-picনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজার সম্পর্কিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে চিটাগং সিমেন্টের শেয়ার কারসাজি মামলার বিচারকাজের ওপর উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হয়েছে গেল সপ্তাহে। ঈদের পর ট্রাইব্যুনালে মামলাটির বিচারকাজ শুরু হবে। বিচারক পরিবর্তন হওয়ায় নতুন করে মামলার যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।
ট্রাইব্যুনালের কার্যতালিকা অনুসারে, ১৫ সেপ্টেম্বর মামলাটির বিচার কাজ শুরু হবে। এই মামলাটির বিবাদী ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক রকিবুর রহমান, টি কে গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু তৈয়ব ও ডিএসইর সাবেক পরিচালক শহিদুল হক বুলবুল। আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, সেদিন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকেই ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

এর আগে যুক্তিতর্ক শেষে ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেছিলেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হুমায়ুন কবির। কিন্তু আইনগত কিছু দিককে চ্যালেঞ্জ করে বিবাদী শহিদুল হক বুলবুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত রায় ঘোষণার পাঁচদিন আগে ট্রাইব্যুনালে মামলাটির বিচারকাজের ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেন।

একই সঙ্গে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯-এর ২৫ (এ) ধারা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছিলেন আদালত। সে ধারা অনুসারে, মামলার বিবাদীই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবে।

প্রথম দফা স্থগিতাদেশের ছয় মাস পর বিবাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত থেকে দ্বিতীয় দফা স্থগিতাদেশ আসে, যা মেয়াদ শেষ হয়েছে ৮ সেপ্টেম্বর। এ অবস্থায় উচ্চ আদালত থেকে নতুন করে স্থগিতাদেশ না এলে ১৫ সেপ্টেম্বর বিচার কাজ শুরু করবে ট্রাইব্যুনাল। এদিকে বিবাদীপক্ষ নতুন স্থগিতাদেশের জন্য আবেদন করেছে কিনা, তা নিশ্চিত করেননি সংশ্লিষ্ট আইজীবী। ট্রাইব্যুনালও এখন পর্যন্ত নতুন কোনো স্থগিতাদেশ পায়নি।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে চিটাগং সিমেন্ট ক্লিংকার অ্যান্ড গ্রাইডিং কোম্পানি লিমিটেডের (বর্তমানে হাইডেলবার্গ সিমেন্ট) শেয়ার কারসাজির মামলার বিবাদী হলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক রকিবুর রহমান, টি কে গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু তৈয়ব ও ডিএসইর সাবেক পরিচালক শহিদুল হক বুলবুল। তারা ওই সময় কোম্পানির পরিচালক ছিলেন।

মামলার বিবরণে বলা হয়, ভারতীয় এবং ইরানি বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির শেয়ার কিনবেন বলে মূল্যসংবেদনশীল তথ্য ছড়িয়ে শেয়ার মূল্য প্রভাবিত করেছেন আসামিরা। বিএসইসির অনুমতি ছাড়া কোম্পানির একজন পরিচালক বড় অঙ্কের শেয়ার হস্তান্তর করেন। এছাড়া বিএসইসির নির্দেশনা সত্ত্বেও আসামি রকিবুর রহমান এবং এএস শহিদুল হক বুলবুল কোম্পানির পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেননি, যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯-এর লঙ্ঘন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ