স্টকমার্কেট ডেস্ক:
বিশ্বের বৃহৎ কোনো কোম্পানির নেতৃত্ব বদল মানেই বড় এক ঘটনা। কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হলে তো কথাই নেই। নেতৃত্বে রদবদল কাঙ্ক্ষিত হলে যেমন বিনিয়োগকারীরা খুশি হন, ঠিক ততোটাই শঙ্কিত হন তা মনঃপূত না হলে। ঠিক তেমনটাই ঘটেছে ভারতের ঐতিহ্যবাহী কোম্পানি টাটার চেয়ারম্যান রদবদলের খবরে।
সাইরাস মিস্ত্রিকে সরিয়ে আবারও রতন টাটাকে চেয়ারম্যান করার জেরে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এ গ্রুপের সব কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। ভারতের বিনিয়োগকারীরা ছাড়াও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা হঠাৎ এ পরিবর্তনে খাপ খাইয়ে নিতে পারছেন না। ফলে কমছে গ্রুপটির তালিকাভুক্ত শেয়ারদর।
টাটা স্টিল, টাটা মোটরস, টাটা পাওয়ার, টিসিএসের শেয়ারদরের পতনে বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের এনআইএফটি সূচক আড়াই শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। যদিও তালিকাভুক্ত অন্য কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি সূচকের পতন থেকে উদ্ধার করেছে।
উল্লেখযোগ্য দরপতন হয়েছে টাটা কমিউনিকেশন, ইন্ডিয়ান হোটেলস, টাটা কেমিক্যালস, টাইটান, টাটা মেটালিক্সের। শুধু টাটা গ্রুপের শেয়ারই নয়, পুরো শেয়ারবাজারও এ ঘটনার নেতিবাচক প্রভাব এড়াতে পারেনি। বোম্বের শেয়ারবাজার বিএসইর সেনসেক্স সূচক প্রায় ৮৮ পয়েন্ট হারিয়েছে। একই অবস্থা ছিল বিশ্বের বৃহৎ ৫০ কোম্পানির শেয়ার সূচক এনআইএফটি-৫০ এর ক্ষেত্রেও।
বিনিয়োগকারীদের কাছে এ দুই সূচকই শেয়ারবাজারের উত্থান-পতনের প্রধান সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। টাটা গ্রুপের প্রধান মালিক টাটা ট্রাস্ট থেকে সাইরাসকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে ভারতজুড়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। সাইরাসকে কেন পুরো বিশ্বের অন্যতম প্রধান বড় কোম্পানির শীর্ষ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো তার উত্তর খুঁজছেন অনেকে।
সাইরাস আদালতে যাওয়ার কথাও ভাবছেন বলে খবর বেরিয়েছে। গণমাধ্যমগুলো এ নিয়ে নানা খবর প্রকাশ করছে। কলকাতার আনন্দবাজারের খবর বলছে, কোম্পানিটির মুনাফা গত এক বছরে ৫০০ কোটি ডলার কমে ১০ হাজার ৩০০ কোটি ডলারে নেমেছে।
আবার ঋণের বোঝা ২ হাজার ৩৪০ কোটি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫০ কোটি ডলার। তবে পত্রিকাটির খবরে বলা হচ্ছে, এটাই সাইসারকে পদ থেকে সরানোর প্রধান কারণ নয়। বরং পরিচালনাগত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে টাটা ট্রাস্টের সঙ্গে দ্বন্দ্বে সরতে হলো তাকে। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমআর