সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে ২৩ কোম্পানির লেনদেন

blockস্টকমার্কেট ডেস্ক :

সর্বশেষ সপ্তাহে ব্লক মার্কেটে ২২ কোম্পানি ও এক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার বা ইউনিট লেনদেন হয়েছে। সেখানে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন করেছে গ্রামীণফোন।

সূত্র থেকে জানা যায়, মোট ২৩ কোম্পানি ও ফান্ড মিলে মোট ৪৩ লাখ ৮২ হাজার ৪৩৪টি শেয়ার বা ইউনিট লেনদেন করেছে। যার আর্থিক মূল্য ৪৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন করেছে গ্রামীণফোন। এই কোম্পানি ৭ লাখ ২১ হাজার ৯৯১টি শেয়ার লেনদেন করেছে। যার আর্থিক মূল্য ২০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

ব্রাক ব্যাংক ৬ লাখ ১০ হাজার ২২২টি শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

বেক্সিমকো ফার্মা ৫ লাখ ২০ হাজার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

ব্লকে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এসিআই, সেন্ট্রাল ফার্মা, কনফিডেন্স সিমেন্ট, কেয়া কসমেটিকস, ডেসকো, স্কয়ার ফার্মা, ইবিএল, রংপুর ফাউন্ডারি, ব্যাংক এশিয়া, সিটি ব্যাংক, সিভিও পেট্রো, ডিবিএইচ, জেনারেশন নেক্সট, ইউনিক হোটেল, জাহিন স্পিনিং মিলস, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, রেনেটা লিমিটেড, আরএসআরএম স্টিল ও এনসিসি ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসএম

ডিএসইতে পিই রেশিও বেড়েছে দশমিক ৫০ পয়েন্ট

peস্টকমার্কেট ডেস্ক :

সর্বশেষ সপ্তাহে দেশের বড় শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। আগের সপ্তাহের চেয়ে পিই রেশিও বেড়েছে দশমিক ৫০ পয়েন্ট। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৫ দশমিক ২১ পয়েন্টে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৪ দশমিক ৭১ পয়েন্ট।

সপ্তাহ শেষে খাতভিত্তিক ট্রেইলিং পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৮ দশমিক ৫ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৯ দশমিক ৭ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২২ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ২২.৬ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের ২৮ দশমিক ৮ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ১৩.৫ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১৫.৪ পয়েন্টে, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ২৮.৭ পয়েন্টে।

এছাড়া পাট খাতের পিই রেশিও মাইনাস ১৫ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৩১.৩ পয়েন্টে, এনবিএফআই খাতে ২৯.১ পয়েন্ট, কাগজ খাতের মাইনাস ১১৮.১ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৮.৫ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ২৪.৬ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ২৩.৬ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৮.৫ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ২৩.৭ পয়েন্টে এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ২৭.৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসএম

আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের এজিএম বুধবার

Anwar-Galva-smbdস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের আনোয়ার গ্যালভানাইজিং কোম্পানি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

বলা হয়েছে, আগামী ১৮ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১০ টায় মতিঝিলের বিসিআইসি মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।

২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ সুপারিশ করেছে কোম্পানিটির পরিচালনা বোর্ড।

কোম্পানিটির এজিএমের রেকর্ড ডেট ছিলো ৩০ নভেম্বর।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসএম

শেয়ারবাজারে সাহারা গ্রুপকে ৬০০ কোটি টাকা জড়িমানা

saharaস্টকমার্কেট ডেস্ক :

কারাগারে এক বছরের বেশি আটক থাকার পর এখন প্যারোলে মুক্ত সাহারা গ্রুপের প্রধান সুব্রত রায়। তবে বাইরে থাকলেও কারাগারের হাতছানি এড়াতে পারছেন না। কেননা, এখনও ক্ষুদ্র আমানতকারীদের বিপুল অর্থ ফিরিয়ে দিতে পারেননি ভারতের শীর্ষস্থানীয় এ ধনকুবের। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে নিজের সম্পদ বিক্রি করে অর্থ ফিরিয়ে দেবেন_ এমন শর্তে কিছুদিন সাবজেলে রাখার পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্যারোলে মুক্তি পান তিনি। তার কাছে পাওনার পরিমাণ সুদসহ ৩৭ হাজার কোটি রুপি। এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার কোটি রুপি ফিরিয়ে দিয়েছেন। তবে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আরও ৬০০ কোটি রুপি জমা দিতে না পারলে সাহারাপ্রধানকে আবারও কারাগারে যেতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট এ আদেশ দিয়েছেন।

এ সময়ের মধ্যে ভারতের শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির খোলা সেবি-সাহারা রিফান্ড অ্যাকাউন্টে এ অর্থ জমা দিতে হবে। ২০১৪ সালের মার্চে গ্রেফতার করা হয় বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী সুব্রত রায়কে। দিলি্লর তিহার জেলে দীর্ঘদিন আটক ছিলেন তিনি। ২০০৭ ও ২০০৮ সালে সাহারা রিয়েল এস্টেট ও সাহারা হাউজিং ফিন্যান্স করপোরেশন নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের জন্য বন্ডের মাধ্যমে ১৭ হাজার ৬০০ কোটি রুপি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে তোলেন তিনি। পরে তা আর ফেরত দেননি। ২০১২ সালে আদালত সুদসহ এ অর্থ ফেরতের নির্দেশ দেন।

ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, সুব্রত রায় ভারতের পঞ্চম শীর্ষ ধনী। ১৯৭৮ সালে ‘সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার’ প্রতিষ্ঠা করেন এ ধনকুবের। মহারাষ্ট্রে অ্যাম্বি ভ্যালি নামে আবাসন প্রকল্প গড়ে তুলে সুনাম অর্জন করে সাহারা।

আবাসন প্রকল্প দিয়ে শুরু হলেও এখন অর্থনৈতিক সেবা, জীবন বীমা, মিউচুয়াল ফান্ড, আবাসিক খাতে অর্থ জোগান, অবকাঠামো, সংবাদপত্র, টেলিভিশন, বিনোদন, চলচ্চিত্র প্রযোজনা, স্বাস্থ্যসেবা, পণ্য উৎপাদন, ক্রীড়া এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যবসা রয়েছে এ গ্রুপের। টাইম ম্যাগাজিনের তথ্যানুযায়ী, কর্মসংস্থানের দিক দিয়ে ভারতে রেলওয়ের পর এ গ্রুপের অবস্থান দ্বিতীয়। ৬৮ বছর বয়সী এ ব্যবসায়ীর আদি বাড়ি বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে। টাইমস অব ইন্ডিয়া।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

সিএপিএম বিডিবিএল ফান্ডের দর ১১.৩০ টাকা

mutualfunds_421x236স্টকমার্কেট ডেস্ক :

বৃহস্পতিবার দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ানের ইউনিট লেনদেন শুরু হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ফান্ডটির সমাপনী দর ছিল ১১ টাকা ৩০ পয়সা, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) যা ছিল ১২ টাকা ৪০ পয়সা।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ডিএসইতে বৃহস্পতিবার এ ফান্ডের সর্বনিম্ন দর ছিল ১০ টাকা ১০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ১৯ টাকা। সর্বশেষ লেনদেন হয় ১০ টাকা ৯০ পয়সায়। ডিএসইতে সারা দিনে ফান্ডটির ২৭ লাখ ৩২ হাজার ৪৫৫টি ইউনিট লেনদেন হয়, যেখানে ফান্ডের মোট ইউনিট রয়েছে ৫ কোটি ১ লাখ ৩১ হাজার।

গত অক্টোবরে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের চাঁদাগ্রহণ শুরু করে সিএপিএম বিডিবিএল ফান্ডের ট্রাস্টি। এর আগে ৫৮২তম কমিশন সভায় ১০ বছর মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডটির প্রসপেক্টাস অনুমোদন করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

১০ বছর মেয়াদি ফান্ডটির উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল)। সম্পদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে সিএপিএম (ক্যাপিটাল অ্যান্ড অ্যাসেট পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট) কোম্পানি লিমিটেড। ট্রাস্টি ও কাস্টডিয়ান হিসেবে থাকছে সরকারের বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।

বর্তমানে ফান্ডের ১৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ ইউনিট এর উদ্যোক্তাদের কাছে, প্রতিষ্ঠান ৭৫ দশমিক ৮ ও বাকি ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ ইউনিট রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

শেয়ারবাজারে সূচকের সাথে বেড়েছে সাপ্তাহিক লেনদেন

DSE_CSE-smbdনিজস্ব প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরণের মূল্য সূচকের সাথে বেড়েছে লেনদেন। এসময় সব ধরণের সূচকই বেড়েছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জেও (সিএসই) বেড়েছে সূচক ও লেনদেন । ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৭,১৪০ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার। যা এর আগের সপ্তাহে ছিলো ৬,২৮৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। সেই হিসাবে গত সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৮৫২ কোটি ৭০ লাখ টাকা বা ১৩.৫৬ শতাংশ।

উক্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৫.১৬ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির ২.৭০ শতাংশ, ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে .৯০ শতাংশ। আর ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১.২৪ শতাংশ।

গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ৩.১০ শতাংশ বা ১৬০.৬৩ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক বেড়েছে ২.৪৮ শতাংশ বা ৪৬.২৭ পয়েন্ট। আর শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ১.৭০ শতাংশ বা ২০.৮১ পয়েন্ট।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৪০টি, কমেছে ৭৯টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টি আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার।

এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৪১৭ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার। তবে সার্বিক সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৯০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২১৯টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ৬৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬টির।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

আতঙ্ক কেটেছে বিনিয়োগকারীদের : আসছে নতুন বিনিয়োগ

index upনিজস্ব প্রতিবেদক :

টানা দরপতনে আতঙ্কে থাকা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে গত কয়েক দিনের বাজার চিত্র কিছুটা স্বস্তি নিয়ে এসেছে। অনেকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী নতুন করে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছেন। ফলে বাজারে বাড়ছে বিও হিসাবের সংখ্যা। বাজারে বর্তমানে বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২৯ লাখ ৪০ হাজার ১২১টি। যা গত নভেম্বর মাস শেষে ছিল ২৯ লাখ ২১ হাজার ২৩৬টি। অর্থাৎ এক মাসে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৮ হাজার ৮৮৫টি।

দীর্ঘ মন্দ কাটিয়ে কিছুটা সুদিনে ফিরেছে দেশের শেয়ারবাজার। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লেনদেনও বেড়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। দেড় মাস ধরে প্রতিদিন গড়ে হাজার কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে।

দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় থাকা বেশকিছু প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় বিনিয়োগকারী বাজারে সক্রিয় হয়েছে। বাজারে আসছেন নতুন নতুন বিনিয়োগকারী। সদ্য সমাপ্ত ডিসেম্বর মাসে বাজারে নতুন বিনিয়োগকারী এসেছে প্রায় ১৯ হাজার। এদের সিংহভাগই ব্যক্তিকেন্দ্রিক বিনিয়োগকারী।

বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২০১০ সালের ধসের পর বাজারে আস্থাসংকট প্রকট আকার ধারণ করে। যে কারণে মাঝেমধ্যে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিলেও তা স্থায়ী হয়নি। ফলে দীর্ঘ হয় দরপতনের ধারা। তবে নানামুখী পদক্ষেপের কারণে আস্তে আস্তে সংকট কেটে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছে বর্তমান বাজার চিত্র।

তারা বলছে, ২০১০ সালের ধসের পর বেশ কয়েকবার বাজার এমন ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয়। তবে এবারের চিত্র সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। মুদ্রা বাজারের সামগ্রিক চিত্র শেয়ারবাজারের অনুকূলে। সঞ্চয়পত্র, এফডিআইসহ সব ধরনের আমানতের সুদহার বেশ কম। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মানুষের খুব বেশি বিকল্প উৎসও নেই। ফলে শেয়ারবাজারে নতুন বিনিয়োগ আসা অনেকটা স্বাভাবিকই।

তাদের মতে, মূলত ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই বাজার ইতিবাচক ধারায় ফেরার ইঙ্গিত দিতে থাকে। গত প্রায় দেড় বছর ধরে বাজারে অস্বাভাবিক উত্থান অথবা বড় ধরনের পতন দেখা যায়নি। এতে বাজারের ওপর প্রায় সব শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসছে। অস্বাভাবিক উত্থান-পতন না থাকায় বিনিয়োগকারীদের লোকসান দিয়ে বাজার ছাড়তে হচ্ছে এমন খবর শোনা যাচ্ছে না বছরের অধিক সময় ধরে।

সেন্ট্রাল ডিপোজেটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বর শেষে বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ লাখ ৪০ হাজার ১২১টি। যা নভেম্বর শেষে ছিল ২৯ লাখ ২১ হাজার ২৩৬টি। অর্থাৎ এক মাসে নতুন বিও হিসাব বেড়েছে ১৮ হাজার ৮৮৫টি।

নতুন এ বিও হিসাবগুলোর মধ্যে ১০০টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী রয়েছে। বাকি সবগুলোই ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারী। এর মধ্যে একক বিনিয়োগকারীর বিও হিসাব বেড়েছে ১১ হাজার ৫৭৬টি। বর্তমানে একক বিও হিসাব আছে ১৮ লাখ ৩২ হাজার ৭১২টি।

ডিসেম্বরে যৌথ বিও হিসাব বেড়েছে ৭ হাজার ২০৮টি। বর্তমানে যৌথ বিও হিসাব আছে ১০ লাখ ৯৬ হাজার ৪২৩টি। অপরদিকে কমছে অমনিবাস হিসাব। বাজারে দুটি অমনিবাস হিসাব কমে দাঁড়িয়েছে ২৪৫টি।

আর ডিসেম্বর মাসের ১৯ কার্যদিবস ও চলতি মাসের প্রথম ৭ কার্যদিবস এই ২৬ কার্যদিবসের মধ্যে ২১ দিনই মূল্যসূচক বেড়েছে। এসময় প্রতিদিন গড় লেনদেন হয় প্রায় হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে শেষ ১১ কার্যদিবসের ৯ দিনই হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বাজারে নতুন বিনিয়োগকারী আসছে। লেনদেন ও সূচকের মাত্রা বেড়েছে। এটি ভালো লক্ষণ। এতে বোঝা যায় বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ