নিজস্ব প্রতিবেদক :
ব্যাংকিং খাত সংস্কারে কমিশন গঠন জরুরি। ব্যাংকিং খাতে দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে, সামাজিক মর্যাদা আছে বলেই মনে করছে সিপিডি।
রবিবার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে আগামী অর্থবছরের বাজেট কেমন হওয়া উচিত এ বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির পক্ষ থেকে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরতে গিয়ে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন সংস্থার গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ব্যাংকিং খাত খুবই দুর্বল রয়েছে এর জন্য এ খাত সংস্কারে কমিশন গঠন জরুরি কিন্তু তা আদৌ হবে বলে মনে হয় না। ব্যাংকিং খাতে দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে, সামাজিক মর্যাদা আছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সম্প্রসারণশীল বাজেটের পক্ষে এবং আমরাও গবেষণায় দেখেছি বড় বাজেট সম্ভব। বড় বাজেট দিলে উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে, বিনিয়োগ চাঙা হবে, জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে। কিন্তু আমরা একই সঙ্গে লক্ষ্য করছি, বড় বাজেট বাস্তবায়নে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ছে না। ফলে বাজেট বাস্তবায়নে আরও সিরিয়াস ভূমিকা পালন করতে হবে।’
এসময় বাজেট বাস্তবায়নে জবাবদিহিতার ঘাটতি রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
প্রতি বছরই সরকার বড় বাজেটের নাম করে একটি কল্পকাহিনী উপস্থাপন করে এমন অভিযোগ করে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাজেট দেওয়ার আগে নানান জল্পনা কল্পনা শুরু হয় বিভিন্ন মহলে। বাজেটও দেওয়া হয় সাধ্যমত, কিন্তু বছর শেষে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মধ্যে বড় ধরনের ফারাক দেখা যাচ্ছে। এটা এক ধরনের আর্থিক ভ্রম। বাজেট দেখে মনে হয় বড়, আসলে কিন্তু বড় নয়।
বড় বাজেট বাস্তবায়নে সিপিডির বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরে তিনি বলেন, বেসরকারি পর্যায়ে ব্যক্তি খাতে ব্যাপকহারে বিনিয়োগ বাড়ছে। সরকারের উচিত এটাকে সমর্থন দেওয়া। আর সর্মথন দিতে সরকারকে জ্বালানি তেলের দাম কমাতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে সমর্থন দিতে হবে। আমরা নতুন ভ্যাট আইন বস্তাবায়নকেও উৎসাহ দিচ্ছি তবে আমরা মনে করি এই আইন থেকে যখন আয় বাড়বে তখন ভ্যাটের হার বিদ্যমান ১৫ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশে নামিয়ে আনা উচিত।
ব্যাংকিং খাত সংস্কারে কমিশন গঠন জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন,ব্যাংকিং খাত খুবই দুর্বল রয়েছে এর জন্য এ খাত সংস্কারে কমিশন গঠন জরুরি কিন্তু তা আদৌ হবে বলে মনে হয় না। ব্যাংকিং খাতে দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে, সামাজিক মর্যাদা আছে। এই কারণে নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার কোনও ঝুঁকি নিতে চাইবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। এছাড়া বক্তব্য দেন, সিডিপি ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান ও গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ