১২টি খাতের দরপতন, বেড়েছে ৭টির

sector_77630_0স্টকমার্কেট ডেস্ক :

গত ১৬-২০ জুলাই পর্যন্ত সমাপ্ত সপ্তাহে ১৯টি খাতের মধ্যে ১২টি খাতের দরপতন হয়েছে। ৭টি খাতের দরবৃদ্ধি পেয়েছে। লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাপ্তাহিক বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্রোকার হাউজগুলো জানিয়েছে, এ সপ্তাহে তথ্য-প্রযুক্তি খাতের (আইটি) সর্বোচ্চ ৩.৫৭ শতাংশ দরপতন হয়েছে। টেক্সটাইল খাতের দর কমেছে ২.২৩ শতাংশ। এছাড়া জ্বালানি ও বিদ্যুৱ খাত ১.২৯ শতাংশ, সিমেন্টখাত ১.২৭, ব্যাংকখাত ১.১৪ ও ওষুধখাতের ১ শতাংশ দর কমেছে।

বিমা,বিবিধ, সার্ভিস এন্ড রিয়েল এস্টেট, সিরামিকস, পাট এবং নন-ব্যাংকিং অার্থিক সেবা খাতের যথাক্রমে ১.৪৫, ১.০৪, ০.৫২, ০.৩৭, ০.১০ ও ০.০৯ শতাংশ দরপতন হয়েছে।।

আইটি খাতের ৭টি কোম্পানির মধ্যে ছয়টিরই ব্যাপক দরপতন হয়েছে। এদের মধ্যে অগ্নি সিস্টেমস ৬.৮০, বিডিকম অনলাইন ৫.৯০, ইনটেক ৫.৩০, আমরা টেকনোলজিস ৪.৯০, আইটি কনসালটেন্টস ২.৬০ এবং ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্কের ০.৬০ শতাংশ দরপতন হয়েছে।।

জ্বালানি ও বিদ্যুৱ খাতের ১৮টি কোম্পানির মধ্যে ১৪টির মূল্য সংশোধন হয়েছে। এই খাতের কোম্পানি ওয়েল্ডিং ইলেক্টোড্রেসের সর্বোচ্চ ১৭.৬২ শতাংশ দরপতন হয়েছে।

গত সপ্তাহে ব্যাংকিং খাতের ২.৮০ শতাংশ দর বৃদ্ধি হয়েছিল। এই সপ্তাহে এই খাতের তালিকাভুক্ত ৩০ ব্যাংকের মধ্যে ২১টিরই দরপতন হয়েছে।

দরবৃদ্ধি খাতগুলোর মধ্যে প্রকৌশল খাতের সর্বোচ্চ ১.২৪ শতাংশ দর বেড়েছে। দর বৃদ্ধির তালিকায় এর পরেই রয়েছে টেলিযোগাযোগ খাত ০. ৪৭, খাদ্য ও আনুসাঙ্গিক খাত ০.৪০, ভ্রমণ ও অবকাশ , কাগজ এন্ড মুদ্রূণ, মিচ্যুয়াল ফান্ড ও ট্যানাইরখাত যথাক্রমে ৩.৫২, ১.৪৫, ০.২৯ ও ০.০২ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/মোদক

গত সপ্তাহে ২টি বিমা কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা

dividendস্টকমার্কেট ডেস্ক :

গত ১৬ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত সমাপ্ত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দুটি বিমা খাতের কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিগুলো হলো : রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি  লিমিটেড ও ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

ডিএসই’র সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্র জানায়, বিমা খাতের কোম্পানি রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা বোর্ড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বিমার বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ হয়েছে ২৪ আগষ্ট।

ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা বোর্ড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বিমার বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ হয়েছে ৮ আগষ্ট।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/মোদক

দর পতনের শীর্ষে বিডি ওয়েল্ডিং ইলেক্ট্রোডেস

BD Welding Electrodesস্টকমার্কেট ডেস্ক :

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শীর্ষ ১০ দর পতনের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ওয়েল্ডিং ইলেক্ট্রোডেস লিমিটেড। গত ১৬ থেকে ২০  জুলাই পর্যন্ত সমাপ্ত সপ্তাহে জেড ক্যাটাগরির এই কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে ১৭.৬২ শতাংশ।

ডিএসই’র সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির মোট  ৪ কোটি ৩৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গড়ে প্রতিদিন কোম্পানিটির ৮৭ লাখ ৫২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

দর পতনের দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে নন-ব্যাংকিং আর্থিক খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড। জেড ক্যাটাগরির এই কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে ১৬.৫৩ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির মোট ১ কোটি ২১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গড়ে প্রতিদিন কোম্পানিটির ২৪ লাখ ২৭ হাজার  টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

দর পতনের তালিকায় তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে খাদ্য ও আনুসাঙ্গিক খাতের কোম্পানি মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।  জেড ক্যাটাগরির এ কোম্পানির শেয়ার দর ১৫. ৮৭ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির মোট ২১ লাখ ৮৯ হাজার হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গড়ে প্রতিদিন কোম্পানিটির ৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এছাড়া শীর্ষ ১০ দর পতনের তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে মেঘনা কনফিডেন্স মিল্ক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ১২. ২৬ শতাংশ, ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেডের ১১. ৬৯ শতাংশ, , নুরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার লিমিটেডের ১১.২৮ শতাংশ, রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলসের ৯.৬৩ শতাংশ, আইএফআইসি ব্যাংকের ৮.৮৫ শতাংশ, কেয়া কসমেটিক্সের ৮.৭৯  শতাংশ এবং জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানির (বাংলাদেশ) ৮.৭৪ শতাংশ দর কমেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/মোদক

প্রিমিয়ামসহ রাইট ছাড়ার বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি নিবে ইফাদ অটােস

Ifad-autosস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশ খাতের কোম্পানি ইফাদ অটোস লিমিটেড রাইট শেয়ার ছাড়ার বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি নিতে আগামী ২৫ জুলাই মঙ্গলবার একটি বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আয়োজন করেছে। সভার রেকর্ড ডেট ছিল গত ৩ জুলাই। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

এদিন বিকাল সাড়ে তিনটায় রাজধানীর পান্থপথে সামারাই করভেনশন সেন্টারে ইজিএমটি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানির সকল শেয়ারহোল্ডারদের আহবান করা হয়েছে।

ইজিএমে শেয়ারহোল্ডাররা সম্মত হলে রাইট শেয়ার ছাড়ার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুমোদনসাপেক্ষে রাইট আবেদন করবে তারা।

এর আগে পরিচালনা বোর্ডের সভায় ১০ টাকা প্রিমিয়ামসহ রাইট শেয়ার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইফাদ অটোস। প্রতিটি ৫ টি শেয়ারের বিপরীতে ২ টি রাইট শেয়ার পাবে শেয়ারহোল্ডাররা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, কমেছে দর

lankaস্টকমার্কেট ডেস্ক :

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে নন-ব্যাংকিং আর্থিক খাতের কোম্পানি লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড। এসময়ে এ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির মোট ১ কোটি ৬৯ লাখ ৮২ হাজার ২৬৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার দর ২৪৯ কোটি ১৫ লাখ ৮১ হাজার টাকা।

ডিএসই’র সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে গত ১৬ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত সমাপ্ত সপ্তাহে শীর্ষ দশে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে শুধু ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ লি’.র শেয়ার দর শূন্য দশমিক ৬৯ শতাংশ বেড়েছে। আর ৯টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করা লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ার দর কমেছে ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

এই সপ্তাহে কোম্পানিটির ১ কোটি ৬৯ লাখ ৮২ হাজার ২৬৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার দর ২৪৯ কোটি ১৫ লাখ ৮১ হাজার।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে টেক্সটাইল খাতের কোম্পানি রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড। এই সপ্তাহে কোম্পানিটির ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৫ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার দর ১৬১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।  শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর কমেছে এই কোম্পানির। কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৯.৬৩ শতাংশ।

তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি বারাকা পাওয়ার লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির ১ কোটি ১৬ লাখ ৬ হাজার ৭৩৭টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার দর ১৭২ কোটি ৯৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা। কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ১.৫৩ শতাংশ।

শীর্ষ ১০এর তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে-  ফু-ওয়াং ফুডস লি., কেয়া কসমেটিকস  লি., ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেড, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি  লি., প্রাইম ব্যাংক  লি., সাইফ পাওয়ারটেক লি. এবং ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ লি.।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/মোদক.

সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন ও সূচক কমেছে

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেট :

গত ১৬ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত সমাপ্ত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন এর আগের সপ্তাহের তুলনায় ১০ দশমিক ৪০ কমেছে। একইসাথে  ডিএসই সব ধরনের সূচকও কমেছে।

ডিএসই’র সাপ্তাহিক লেনদেনের ওপর তৈরিকৃত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই’র সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে মোট ৫ হাজার ৭৯ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। গত সপ্তাহের থেকে লেনদেন ১০.৪০ শতাংশ কমেছে। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ৫ হাজার ৬৬৯ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক  ৫২.৩৯ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ কমে  দাঁড়িয়েছে ৫৭৮২ পয়েন্টে। যা এর আগে সপ্তাহে ছিল ৫৮৩৪ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক ৯ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ কমে  দাঁড়িয়েছে ২১২১ পয়েন্টে । যা এর আগে সপ্তাহে ছিল ২১৩১ পয়েন্ট।
অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক ১৩ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩১৩ পয়েন্টে। যা এর আগে সপ্তাহে ছিল ১৩২৭ পয়েন্ট।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহেও একই সংখ্যক কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়। এই সপ্তাহে দর কমেছে ২০০টি কোম্পানির । এর অাগের সপ্তাহে দর কমেছিল ১১৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। এ সপ্তাহে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা বেড়েছে ৮৪টি।
এ সপ্তাহে বেড়েছে ১১৬টি কোম্পানির। এর অাগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে দর বাড়া কোম্পানির সংখ্যা কমেছে ৮১টি। এর আগের সপ্তাহে বেড়েছিল ১৯৭টি কোম্পানির।

অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির। আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার।

এই সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২ দশমিক ৭১ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

তবে এ সপ্তাহসহ গত তিন সপ্তাহে জি ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

এদিকে, সিএসই’র সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে মোট ৩০৩  কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। সিএসই সূচক ১৫৪ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ কমে দাড়িয়েছে ১৭ হাজার ৯৩৬ পয়েন্টে। যা এর আগে সপ্তাহে ছিল ১৮ হাজার ৯০ পয়েন্ট।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৯৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এই সপ্তাহে কোম্পানির দর সংখ্যা কমেছে ১৬৬টি।  এ সপ্তাহে দর বেড়েছে ১০৮টিতে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে২১টির।

এই সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯২ দশমিক ১৩ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/মোদক.

অন্যান্য ঋণের চেয়ে গৃহঋণে খেলাপি সবচেয়ে কম

bibmবিশেষ প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে জানানো হয়েছে, অন্যান্য সব ঋণের চেয়ে গৃহঋণে খেলাপি সবচেয়ে কম। ২০১৬ সালে খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। এ সময় গৃহঋণে খেলাপির হার ৩ দশমিক ১২ শতাংশ।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, অন্যান্য সব ঋণের চেয়ে গৃহঋণে খেলাপি সবচেয়ে কম। ২০০৬ সালে ব্যাংকিং খাতে মোট খেলাপি ঋণের রেশিও ছিল ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। তখন গৃহঋণে খেলাপি ছিল এক দশমিক ৫৭ শতাংশ। ২০১৬ সালে খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। এ সময় গৃহঋণে খেলাপির হার ৩ দশমিক ১২ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিআইবিএম আয়োজিত ‘হোমলোন অব ব্যাংকস: ট্রেন্ড অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ আলোচনা হয়।

বৈঠকে বিআইবিএমের সুপারনিউমারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘অসাধু আবাসন ব্যবসায়ীদের অনেকে আবার ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট তৈরি করে বিক্রি করেছে; কিন্তু তার রেজিস্ট্রেশন দেয়নি। এর কারণ হচ্ছে, তারা লোন পরিশোধ করছে না। তাই ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন দিতে পারছে না। তাই গ্রাহকরা ফ্ল্যাট কিনেও রেজিস্ট্রেশন পাচ্ছেন না।’

বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস.কে. সুর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘মানুষ যাতে সহজে গৃহনির্মাণে ঋণ পেতে পারে সে ব্যাপারে ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। যাতে মধ্যবিত্তের মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় সে কারণে সহজ শর্তে ও স্বল্পসুদে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গৃহঋণের নানা দিক বিশ্লেষণ করে নীতিমালা প্রণয়নে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। আশা করা যায়, এই নীতিমালা হলে গ্রাহকরা সহজে ঋণ পাবেন।’

গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের অধ্যাপক মহিউদ্দিন সিদ্দিক; সহযোগী অধ্যাপক মো. আলমগীর ও ড. মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

মূল প্রবন্ধে আরও বলা হয়, গৃহঋণের অধিকাংশই পায় শহরের মানুষ। মোট ঋণের ৮৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ পায় শহরের বাসিন্দারা। গ্রামের মানুষ ঋণ পায় সাড়ে ১৬ শতাংশ।

বৈঠকে বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘এই ঋণ যাতে গ্রামের মানুষও পায়- তার ব্যবস্থা করতে হবে।’ গৃহঋণের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলোর সমাধান প্রয়োজন।

বিআইবিএমের সুপারনিউমারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘অনেক ব্যবসায়ী ও বাড়ির মালিক ব্যাংক ঋণ নিলেও তা সাইনবোর্ডে উল্লেখ করেন না। গৃহঋণে প্রভিশন দুই শতাংশের পরিবর্তে এক শতাংশ হলে ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে আরও উৎসাহ বোধ করবে।’

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের কান্ট্রি হেড আব্রার আনোয়ার বলেন, ‘গৃহঋণ বাড়ানোর ক্ষেত্রে উচ্চ সুদ বড় বাধা। আগামীতে গৃহঋণে সুদহার কমিয়ে আনতে হবে। একইসঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের গৃহঋণের সুযোগ দিতে হবে।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

চাল আমদানির শর্ত আরও শিথিল করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

bbবিশেষ প্রতিবেদক :

বাজারে চালের সরবরাহ বাড়াতে আমদানির শর্ত আরও শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে এখন থেকে বিদেশি ক্রেতা বা ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বা বাকিতেও চাল আমদানি করা যাবে। বৃহস্পতিবার(২০ জুলাই) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে বলা হয়েছে, এখন থেকে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনও আমদানিকারক বিদেশি ক্রেতা বা ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বা বাকিতে চাল আমদানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।

সার্কুলার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক নীতি বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এতোদিন সার, মূলধনী যন্ত্রপাতি এবং শিল্পের কাঁচামাল বাকিতে আমদানির সুযোগ ছিল। এখন চাল আমদানিতেও এই সুযোগ থাকছে। এর ফলে আমদানির বিপরীতে বাকিতে বা ওই দেশের ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হল। ৯০ দিন মেয়াদি এই ঋণের সুদ হার সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ।

এর আগে গত ১৯ জুন বাকিতে চাল আমদানি করার বিষয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে বলা ছিল, ব্যাংক হিসাবে টাকা না থাকলেও চাল আমদানিতে ঋণপত্র খোলা যাবে। চালের বাজারে অস্থিতিশীলতা দূর করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ওই নিদের্শনা অনুযায়ী, চাল আমদানিতে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে বিনা মার্জিনে ঋণপত্র খোলার পরামর্শ দেওয়া হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে বাজারে চালের সরবরাহ নিশ্চিত করতে এ পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ দিকে খাদ্য মজুদ বৃদ্ধিতে ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে এ চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ১৭৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

এর আগে গত মাসে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি দরপত্র ছাড়াই সরকারি সরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই মধ্যে ভিয়েতনাম থেকে যে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করছে, তার মধ্যে দুই চালানে মোট ৪৭ হাজার মেট্রিক টন দেশে এসেছে।