বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেছেন, নতুন ৯টি বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে দুই-তিনটির অবস্থা খুবই নাজুক। এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে এক ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে। এই অসুস্থ প্রতিযোগিতার কারণেই তারা পিছিয়ে পড়ছে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে ‘অ্যান ইভালুয়েশন অব দ্য পারফরমেন্স অব নিউ কর্মাশিয়াল ব্যাংকস’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক মো. সোহেল মোস্তফাসহ চার সদস্যের একটি টিম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন ব্যাংকগুলো করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) ক্ষেত্রে অর্থ ব্যয়ে নির্দেশনা মানছে না। কর ছাড় পেতে নানাভাবে সিএসআরের পেছনে অস্বাভাবিক অর্থ ব্যয় করছে এসব ব্যাংক।
এস কে সুর চৌধুরী বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর মধ্যে এক ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা চললেও এখনই বলার সময় আসেনি যে, নতুন এই ব্যাংকগুলোর অবস্থা খুবই দুর্বল বা ভালো। যে দুই-তিনটি ব্যাংকে বড় ধরনের বিচ্যুতি দেখা দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। সার্বিকভাবে তাদের মনিটরিং করা হচ্ছে।’
কর্মশালায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ব্যাংকের সংখ্যা অনেক বেশি। সরকার এত ব্যাংকের অনুমোদন না দিলেও পারতো।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘ব্যাংকের শাখা বাড়ানো উচিত। ভারতে ১২ হাজার মানুষের জন্য একটি ব্যাংকের শাখা আছে। আমাদের ব্যাংকগুলোর লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে, ১০ হাজার মানুষের জন্য একটি ব্যাংকের শাখা।’
অনুষ্ঠানে আরাে বক্তব্য দেন মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল আমিন, বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী, এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মেহমুদ হুসাইন, বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমেদ চৌধুরী ও বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলী চৌধুরী।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/