বিশেষ প্রতিবেদক :
সহযোগী কোম্পানি বিকাশে নতুন বিনিয়োগকারী আসার খবরের পর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারের এমন উল্লম্ফন হয়েছে যে আরেকটু হলেই সার্কিট ব্রেকার ছুঁয়ে ফেলতো।
মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের লেনদেন শেষে ব্যাংক খাতের এই শেয়ারের দর একলাফে আগের দিনের চেয়ে ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়ে যায়; লেনদেনও বাড়ে প্রায় ৫ গুণ।
দিন শেষে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার আগের দিনের চেয়ে সাড়ে ৮টাকা বেড়ে ৯৫ টাকা ৬০ পয়সায় অবস্থান করছে, যা চলতি বছরের মধ্যে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি।
নিয়ম অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির শেয়ারের দরবৃদ্ধি একদিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ ছাড়ালেই ওই কোম্পানির লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়।
একদিনের হিসাবে এর আগে ২৮ মার্চ এই শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ বেড়েছিল। সেদিন এই শেয়ারের দাম আগের দিনের চেয়ে ৬ টাকা ৪০ পয়সা বা প্রায় ৮ শতাংশ বেড়ে ৮৭ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়।
মঙ্গলবার সকালে লেনদেন শুরু হওয়ার পর ডিএসইর ওয়েবসাইটে বলা হয়, মোবাইলে আর্থিক লেনদেন সেবাদাতা ব্র্যাক ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি বিকাশের সঙ্গে প্রাথমিক সমঝোতার আওতায় একটি কৌশলগত বিনিয়োগকারী বিকাশের সংখ্যালঘু শেয়ারধারণ করতে পারেন।
তবে প্রযোজ্য সব ধরণের আইনি কার্যক্রম সম্পন্ন করাসহ পারস্পরিক আলোচনা, নির্দিষ্ট পরিমাণ শেয়ারধারণ সম্পন্ন করার চুক্তি ও শর্তানুযায়ী সবকিছু হওয়ার পরই এটা চূড়ান্ত হবে।
একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ের এই খবরের পর মঙ্গলবার ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার সর্বোচ্চ ৯৫ টাকা ৮ পয়সা পর্যন্ত লেনদেন হয়, যার সর্বনিম্ন দর ছিল ৮৭ টাকা ৫ পয়সা।
এর আগে ৪ এপ্রিল এবছরের মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারের সর্বোচ্চ সমাপনী দর ছিল ৯৫ টাকা ৫০ পয়সা; পরদিনই সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ৩৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
বিকাশের ২০১৬ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্র্যাক ব্যাংকের হাতে সহযোগী এই কোম্পানির ৫১ শতাংশ শেয়ার আছে।
বাকি ৪৯ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে ৩৬ দশমিক ৫০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মানি ইন মোশন এলএলসি ও ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করে বিশ্বব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন।
এখন নতুন করে কৌশলগত কোনো বিনিয়োগকারী এলে এই তিন কোম্পানির কাউকে কিছু শেয়ার ছেড়ে দিতে হবে।