ভারতে এবার বাতিল হচ্ছে চেকের ব্যবহার!

(JPEG Image, 145 × 119 pixels)স্টকমার্কেট ডেস্ক :

গত বছরের নভেম্বরে হঠাৎ করেই ৫শ’ ও হাজার রুপির নোট বাতিল করে বড় চমক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্দেশ্য ছিল ডিজিটাল লেনদেন বাড়ানো, কালো টাকা প্রতিরোধ করা ও জঙ্গি তহবিলের উৎস ঠেকানো। নোট বাতিলের সেই সিদ্ধান্তের ফলে ডিজিটাল লেনদেন বেশ খানিকটা তাৎক্ষণিক বাড়লেও পরে আবার কমেছে।

তবে সব মিলিয়ে সরকারের নিজস্ব লক্ষ্যমাত্রার ধারে কাছেও পৌঁছানো যায়নি। সূত্রের খবর, সেই কারণে মোদি সরকার চাইছে, এবার চেকের মাধ্যমে লেনদেনও বাতিল করে দিতে। কারণ সরকার মনে করছে চেক মারফত লেনদেন আটকাতে পারলে কিংবা চেকের ব্যবহার কমাতে পারলে ডিজিটাল লেনদেন আরও বাড়বে। পাশাপাশি চেক ছাপানোর খরচও কমবে।

সূত্রের খবর এবার ব্যাঙ্কগুলোর পক্ষ থেকে চেক ইস্যু বন্ধ করে দিতে পারে সরকার। অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স কনফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল প্রবীণ খান্ডেলওয়াল সম্প্রতি ডিজিটাল রথের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, ডিজিটাল লেনদেনকে আরও উৎসাহিত করতে চেক বইয়ের সুবিধা তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেছেন, এখন নোট প্রিন্ট করতে ২৫ হাজার কোটি রুপি খরচ হয় আর সেগুলির সুরক্ষার জন্য খরচ হয় আর ছয় হাজার কোটি রুপি। চেক বই ছাপানোর খরচও কম নয়। এই খরচের অনেকটাই বাঁচানো সম্ভব হবে যদি নগদ ও চেক লেনদেন বন্ধ বা কমানো যায়। তাঁর এই মন্তব্যের পরেই চেক বই তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে।

কিন্তু চেক তুলে দিলে কতটা ক্ষতি হবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও চেকের মাধ্যমেই বেশিরভাগ ব্যবসায়িক লেনদেন হয়ে থাকে। সূত্রের খবর, ৯৫ শতাংশ লেনদেনই নগদ অথবা চেকের মাধ্যমে হয়। নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর নগদ লেনদেনের পরিমাণ যত কমেছে, চেকের মাধ্যমে লেনদেনের পরিমাণ ততই বেড়েছে। ফলে এখন হঠাৎ করে চেক তুলে দিলে সমস্যা বাড়বে।

সূত্রের খবর, নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পর গত ডিসেম্বরে ডিজিটাল লেনদেন সর্বোচ্চ (প্রায় ১শ’ কোটি রুপি) পর্যায়ে পৌঁছেছিল। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮৭ কোটি রুপিতে।

সামগ্রিকভাবে ডিজিটাল লেনদেন বেড়েছে ৩১ শতাংশ। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনোর জন্য শেষে চেক বাতিলের পথেই হাঁটতে পারে মোদি সরকার। তাতে যাবতীয় ডিজিটাল লেনদেন যে বাড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

এখন মোদি সরকার কবে থেকে চেকবই বাতিল করেন সেটাই দেখার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

পরিবর্তন ছাড়াই ব্যাংক কোম্পানি আইন-২০১৭ বিলটি পাসের সুপারিশ

jatio sanadস্টকমার্কেট প্রতিবেদক :

পরিচালক হিসেবে এক পরিবার থেকে দুজনের পরিবর্তে চারজনের সুযোগ চেয়ে তৈরি ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০১৭ আগেই সংসদে উত্থাপন করা হয়। যদিও এর ফলে ব্যাংক খাতে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে, এমন আশঙ্কা থেকে এটি পুনর্বিবেচনার কথা বলেছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অধিকাংশ সদস্য। সেই কমিটিই গতকাল সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইনটি পরিবর্তন ছাড়াই বিলটি পাসের সুপারিশ করেছে।

সেপ্টেম্বরে বিলটি সংসদে ওঠার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য তা সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। গতকালের বৈঠকে এ বিষয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করে কমিটি।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ড. আবদুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, বিলটি যেভাবে এসেছে, সেভাবেই পাসের সুপারিশ করেছে কমিটি। বিলটি পাসের সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদন আজ সংসদে উত্থাপিত হবে।

আইনটি পাস হলে ব্যাংক মালিকদের চাহিদা অনুযায়ী এক পরিবার থেকে সর্বোচ্চ চারজন ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে থাকতে পারবেন। ছয় বছরের পরিবর্তে পরিচালকরা দায়িত্বও পালন করতে পারবেন টানা নয় বছর।

ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ পাস হওয়ার পর থেকে বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিচালকদের মেয়াদ সম্পর্কিত ধারাটি এর আগে পাঁচবার সংশোধন করা হয়েছে। এ ধারায় ব্যাংকের পর্ষদে একজন পরিচালক কত বছর পরিচালক থাকতে পারবেন, সে কথা বলা রয়েছে। সর্বশেষ ধারাটি সংশোধন করা হয় ২০১৩ সালে। এবার ষষ্ঠবারের মতো সংশোধন করা হচ্ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

দ্যা পেনিনসুলার উদ্দ্যোক্তা ২.৫০ লাখ শেয়ার কিনবে

the-peninsula-chittagongস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সেবা ও আবাসন খাতের কোম্পানি দ্যা পেনিনসুলা চিটাগাং লিমিটেডের একজন উদ্দ্যোক্তা পরিচালক ২.৫০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন নামে এই পরিচালক কোম্পানিটির ২.৫০ লাখ শেয়ার কিনবেন।

এই উদ্যোক্তা পরিচালক আগামী ৩০ দিনের মধ্যে চলমান বাজার দরে (পাবলিক মার্কেট/ব্লক মার্কেট) হতে উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার কিনবেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

লংকাবাংলা আল-আরাফাহ্’র ৫০ কোটি টাকার ফান্ডের প্রসপেক্টাস

lankaস্টকমার্কেটবিডি.কম

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) লংকাবাংলা আল-আরাফাহ্ শরিয়াহ ইউনিট ফান্ডের খসড়া প্রসপেক্টাস অনুমোদন করেছে। গতকাল ৬১৬তম কমিশন সভা শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বেমেয়াদি এ ফান্ডের উদ্যোক্তা আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এমপ্লয়িজ গ্র্যাচুইটি ফান্ড ট্রাস্ট ও সম্পদ ব্যবস্থাপক লংকাবাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড। ফান্ডটির ট্রাস্টি ও কাস্টডিয়ান হিসেবে কাজ করবে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।

মিউচুয়াল ফান্ডটির প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে উদ্যোক্তার অংশ ১০ কোটি টাকা আর প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে ১৬ কোটি টাকা। বাকি ২৪ কোটি টাকা ইউনিট বিক্রির মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে। ফান্ডটির প্রতিটি ইউনিটের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

সিএমসি কামাল টেক্সটাইলের বোর্ড সভা ২৬ নভেম্বর

cmc--kamal.jpg&w=50&h=35স্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র শিল্প খাতের কোম্পানি সিএমসি কামাল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের বার্ষিক বোর্ড সভা আগামী ২৬ নভেম্বর আহবান করা হয়েছে। বুধবার ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেজুলেশন ২০১৫ এর ১৯(১) ধারা অনুযায়ী, এই বোর্ড সভায় কোম্পানিটির ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এদিন বেলা ৪ টায় রাজধানী গুলশান অবস্থিত নিজস্ব অফিসে অনুষ্ঠিত এ সভায় কোম্পানিটি ইপিএস ও ন্যাভসহ অন্যান্য আর্থিক তথ্য শেয়ারহোল্ডারদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

আসন্ন বোর্ড সভায় সভায় ৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনাপূর্বক বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা হতে পারে।

এছাড়া বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ ও রেকর্ড ডেট ঘোষণা করা হবে।

গত বছর ২০১৬ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৩ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএইচ

শ্যামপুর সুগার মিলসের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই

Shyampur Sugar Mills Limited_company_logoস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি খাদ্য ও আনুসাঙ্গিক শিল্প খাতের শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেডের সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ার দর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানিয়েছে। শেয়ারটির দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এ কথা জানানো হয়েছে। সোমবার ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, গত ১৩ নভেম্বর শেয়ার দর ছিল ২৫.৬০ টাকা। গতকাল ২১ নভেম্বর সর্বশেষ তা ৩৬ টাকায় সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিটির শেয়ারের এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই। সম্প্রতি দর বাড়ার পেছনে মূল্য সংবেদনশীল কোন তথ্য কি তা জানতে চায় ডিএসই।

এ সময় শ্যামপুর সুগার মিলস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি শেয়ারটির দর বৃদ্ধির পেছনে মূল্য সংবেদনশীল অপ্রকাশিত কোন তথ্য তাদের কাছে নেই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম