ফেব্রুয়ারি মাসে বিদেশীদের শেয়ার বিক্রি বেড়েছে কমেছে ক্রয়

dseস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ফেব্রুয়ারি মাসের বেশিরভাগ সময় বিক্রয় চাপে নিম্নমুখী ছিল দেশের প্রধান শেয়ারবাজার। এসময় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক, লেনদেন ও বাজার মূলধন কমেছে। তাই সদ্য সমাপ্ত ফেব্রুয়ারিতে ডিএসইতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ক্রয়ের পরিমাণ ২৪৭ কোটি টাকা বা ৪১ শতাংশ কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ৩৯২ কোটি ৮৮ লাখ ২ হাজার ৭২ টাকার শেয়ার ক্রয় করেছে। কিন্তু জানুয়ারি মাসে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ৬৬৭ কোটি ৪৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭২১ টাকার শেয়ার ক্রয় করেছিল। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে ডিএসইতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ক্রয়ের প্রবণতা কমেছে ৪১.১৯ শতাংশ।

তবে, ফেব্রুয়ারি মাসে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে। জানুয়ারিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ৪৮০ কোটি ১৯ লাখ ৩০ হাজার ৫৩৫ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছিল। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ৪৮৭ কোটি ৭১ লাখ ৭৯ হাজার ১৮৫ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে। অর্থাৎ এসময় শেয়ার বিক্রি বেড়েছে ৭ কোটি ৫২ লাখ ৪৮ হাজার ৫৬০ টাকা।

ফেব্রুয়ারি মাসে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মোট ৮৮০ কোটি ৭০ লাখ ৮১ হাজার ৫৫ টাকার শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করেছে। কিন্তু জানুয়ারিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ১ হাজার ১৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৯০ হাজার ২৫৬ টাকার ক্রয়-বিক্রয় করেছে।

ডিএসইর তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, জানুয়ারিতে ডিএসইতে ২৩ কার্যদিবস শেয়ার লেনদেন হয়েছে। অপরদিকে, ফেব্রুয়ারিতে ২০ কার্যদিবসে শেয়ার লেনদেন হয়েছে। জানুয়ারিতে ডিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক ৬১০২ পয়েন্টের উপর স্থিতি থাকলেও ফেব্রুয়ারিতে তা ৫৭০০ পয়েন্টের নিচে স্থিতি পেয়েছে।
জানুয়ারিতে ডিএসইতে ১০ হাজার ৭২ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ৪৩৭ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

অপরদিকে, ফেব্রুয়ারিতে ডিএসইতে সর্বমোট ৮ হাজার ১০১ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এসময় দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৪০৫ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অনেক সতর্ক। তারা বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বিনিয়োগ করে। তাই ফেব্রুয়ারিতে তাদের ক্রয়ের তুলনায় বিক্রি সামান্য বেড়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএম

সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে ১৩৬ কোটি টাকার লেনদেন

block-mস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ১১টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এ সব কোম্পানির প্রায় ১৩৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলো হলো : এপেক্ ফুডস, বাটা সু, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি, ব্র্যাক ব্যাংক, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং, গ্রামীণ ফোন, ম্যাকসন্স স্পিনিং, পপুলার লাইন ইন্স্যুরেন্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ইউনিক হোটেল এবং উসমানিয়া গ্লাস।

জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে এ সব কোম্পানির ১৩৫ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে গ্রামীণ ফোনের। তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানির।

এছাড়া ব্লক মার্কেটে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে এপেক্স ফুডস, বাটা সু’, ব্র্যাক ব্যাংক, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং, ম্যাকসন্স স্পিনিং, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইউনিক হোটেল এবং উসমানিয়া গ্লাসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএম

ডিএসইতে পিই কমেছে ০.০৮ পয়েন্ট

PEস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কিছুটা কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৬.৭০ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে কমে ১৬.৬২ পয়েন্টে দাড়িয়েছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই ০.০৮ পয়েন্ট বা ০.৪৮ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১০.৩৪ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ২০.৬৯ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৯.৩৮ পয়েন্টে, প্রকৌশলী খাতের ১৯ পয়েন্টে, বীমা খাতের ১২.০৯ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৫.৯ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২৭.১২ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ২৬.৯ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ১৬.৯ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাত ৫৩.১৯ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ১১.৭ পয়েন্টে, আর্থিক খাত ১৫.৯৮ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাত ২৫.৬৯ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাত ২৪.৩৬ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাত ১৬.৭৫ পয়েন্টে, সিরামিক খাত ১৯.১১ পয়েন্টে এবং পাট খাট -৬১.৯৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএম

কৌশলগত অংশীদার বাছাইয়ে বিএসইসির চিঠির জবাব রবিবার

dse bsecস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

কৌশলগত অংশীদার হিসেবে চীনের শেনঝেন-সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পাঠানো চিঠির জবাব চূড়ান্ত করতে আজ পরিচালনা পর্ষদের সভা আহ্বান করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। সভায় ডিএসইর পক্ষ থেকে প্রস্তুত করা জবাবের খুঁটিনাটি পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন এর পরিচালকরা। কাল রবিবার তা বিএসইসির আহ্বায়ক কমিটির কাছে পাঠানো হবে। সংশ্লিষ্ট সূ্ত্রে এ তথ্য জানা যায়।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, বোর্ড সভায় বিএসইসির চিঠির জবাবের খসড়া পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে পর্ষদ। পরদিন রোববার কৌশলগত অংশীদারিত্ব-সংক্রান্ত বিএসইসির আহ্বায়ক কমিটির কাছে জবাব জমা দেবে ডিএসই। এর আগে গত মাসের ২৭ তারিখে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে চীনা কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাবের বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে ডিএসইর কাছে চিঠি পাঠায় বিএসইসি। চিঠিতে ডিএসইকে মার্চের ৪ তারিখের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারি চিঠি পাওয়ার পর মাত্র দুই কার্যদিবস সময় পেলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জবাব দেবে ডিএসই। এজন্য গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস অর্থাৎ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সভায় বিএসইসির চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ডিএসইর জবাব কী হবে, সে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন পর্ষদ সদস্যরা।

এ বিষয়ে ডিএসইর বক্তব্য হচ্ছে, পর্ষদে থাকা যেকোনো সদস্যেরই এসব বিষয়ে মত প্রদানের সুযোগ রয়েছে। তাই কৌশলগত অংশীদারের কাছ থেকে লিখিত অনুমোদনের বাধ্যবাধকতায় ডিএসইর সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা ক্ষুণ্ন হবে না। সর্বোপরি এক্ষেত্রেও শর্ত পরিবর্তনের জন্য দরকষাকষির সুযোগ রয়েছে। সার্বিকভাবে ডিএসই মনে করছে, চীনা কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাবের বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে যেসব ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে, সেগুলোর কোনোটিই চূড়ান্ত নয় বিধায় এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংশোধনের সুযোগ রয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএম

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ২৪.৬৫ শতাংশ বেড়েছে

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেড়েছে লেনদেন।তবে এসময় সব সূচক কমছেে। এসময় ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন আগের সপ্তাহ থেকে ২৪.৬৫ শতাংশ বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সর্বশেষ সপ্তাহে ডিএসইতে ১৮৬৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে সেখানে ১,৪৯৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ২৪.৬৫ শতাংশ বেশি।

এসময় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসই্ক্স ৩৫.১৩ পয়েন্ট কমে দাড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৭০ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক পয়েন্ট ১.২৯ পয়েন্ট এবং শরিয়াহ সূচক ৩.০৭ পয়েন্ট কমে দাড়িয়েছে যথাক্রমে ২১৬৮ ও ১৩৭২ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৩৯টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৩টির, কমেছে ২০৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি প্রতিষ্ঠানের। আর ২টি কোম্পানির শেয়ার কোনো লেনদেন হয়নি।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে সপ্তাহে সব সূচক কমেছে। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭২ পয়েন্ট বা ০.৯৪ শতাংশ কমে দাড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭৯ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৫০ সূচক ১১ পয়েন্ট বা ০.৮৪, সিএসই-৩০ সূচক ১২২ পয়েন্ট বা ০.৭৩ শতাংশ, সিএসসিএক্স ১০৮ পয়েন্ট বা ০.৯৭ শতাংশ ও সিএসআই ৯ পয়েন্ট বা ০.৭৩ শতাংশ কমে দাড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩৬৫, ১৬৩৭৫, ১০৯১১ ও ১২১৬ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে হাত বদল হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৬২টির, কমেছে ২০০টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির দর।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএম