স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :
বিনিয়োগকারীরাই শেয়ারবাজারের মূল শক্তি। তাদের সঙ্গে বাজারের মূল সংযোগ ব্রোকারেজ হাউজের অনুমোদিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে। সেতুবন্ধ তৈরির এ কাজে তাদের নৈতিকতা ও দক্ষতা বিনিয়োগকারীদের সফলতা নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এজন্য অনুমোদিত প্রতিনিধিদের জন্য বাজারের বিভিন্ন নিয়ামক ও আইন-কানুন জানা এবং এসবের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা আবশ্যক।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন গতকাল অনুমোদিত প্রতিনিধিদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
কমিশনের সম্মেলন কক্ষে বিএসইসি ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) যৌথ আয়োজনে পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি চেয়ারম্যান আরো বলেন, শেয়ারবাজার একটি সংবেদনশীল বাজার। যেকোনো মন্তব্যই বাজারকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই প্রত্যেককেই যথেষ্ট দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এ বাজার নিয়ে কথা বলতে হবে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান আরো বলেন, এ বিনিয়োগকারীদের সঠিক তথ্য ও দিকনির্দেশনা দেয়া অনুমোদিত প্রতিনিধিদের দেশপ্রেমের অংশ। এ কাজে স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেকহোল্ডারদের অনুমোদিত প্রতিনিধিরা যাতে সর্বোচ্চ দক্ষতা ও সচেতনতা অর্জন করতে পারেন, এজন্য কমিশন তাদের জন্য নিয়মিত বিনিয়োগ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আয়োজন করে যাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার বালা এফসিএমএ, খন্দকার কামালুজ্জামান ও ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান।
ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান বলেন, একজন অনুমোদিত প্রতিনিধি একটি ব্রোকারেজ হাউজের চালিকাশক্তি। যারা অনুমোদিত প্রতিনিধি হিসেবে পেশা শুরু করেছেন, তাদের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। কারণ দেশের শেয়ারবাজারের সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে এজন্য নিজের পেশাগত যোগ্যতা ও নৈতিকতা উন্নয়নের বিকল্প নেই। অনুমোদিত প্রতিনিধিদের কার্যক্রমে ভুল-ত্রুটি এড়ানোর ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
স্টকমার্কেটবিডি/জেড/বি