আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

dudokস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

গ্রাহকদের ১০০ কোটি আত্মসাতের অভিযোগে দি আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল আলমসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার (২৫ আগস্ট) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সেলিনা আখতার।

দুদক উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অন্য আসামিরা হলেন সমবায় অধিদফতরের যুগ্ম নিবন্ধক মো. মিজানুর রহমান, পরিদর্শক মহসিন মজুমদার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা অডিটর মো. লুৎফর রহমান ও অবসরপ্রাপ্ত উপসহকারী নিবন্ধক মো. খবির খান, দি আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের সভাপতি তাহমিনা বেগম ও নারায়ণগঞ্জ শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান ভূইয়া।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সমবায় অধিদফতরের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নিবন্ধন ও লিকুইডেশন নম্বর জালিয়াতি করে ভুয়া সমবায় সমিতি সৃষ্টি করেছে দি আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাংক। সারাদেশে শাখা খুলে অবৈধ ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের উচ্চ হারে লাভের প্রলোভন দেখিয়ে সঞ্চয় হিসাবে ১০০ কোটি টাকা জমা নিয়েছে তারা। পরে এই টাকা গ্রাহকদের ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচার করেছে।

২০০৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়ে টাকা আত্মসাতের এ ঘটনা ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড

১:১ নয় ৪:১ হারে রাইট শেয়ার ছাড়বে আইএফআইসি

ific-smbdস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

আগের প্রস্তাবিত রাইট শেয়ার কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে ১৬ মে অভিহিত মূল্যে ১টি শেয়ারের বিপরীতে ১টি রাইট শেয়ার ইস্যু করার ঘোষণা দিয়েছিল আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তবে এবার আগের ঘোষণা সংশোধনীর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এক্ষেত্রে ৪টি সাধারন শেয়ারের বিপরীতে ১টি রাইট শেয়ার ইস্যু করতে চায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

যা কোম্পানির বিশেষ সাধারন সভায় (ইজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে চূড়ান্ত হবে।

শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতির জন্য আগামি ১০ অক্টোবর বেইলী রোডের অফিসার্স ক্লাবে ইজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এলক্ষ্যে শেয়ারহোল্ডার নির্বাচনের জন্য আগামি ১৬ সেপ্টেম্বর রেকর্ড ডেট নির্ধারন করা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম

শেয়ারবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে আশ্বাস দিলেন অর্থমন্ত্রী

kamalস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে আর কোনো অর্থ দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

রবিবার সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেছেন, এখন থেকে তাদের নিজেদের আয়ে চলতে হবে।

বাংলাদেশে কার্যরত অর্ধ শতাধিক ব্যাংকের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছেন পাঁচটি; এর মধ্যে সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী বাদে রয়েছে বেসিক ব্যাংক।

খেলাপি ঋণসহ নানা কারণে মূলধন ঘাটতি হওয়ায় তা পূরণে রাষ্ট্রায়ত্ত এই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো প্রতিবছরই সরকারের দ্বারস্ত হয় এবং সরকারও তাদের চাহিদা মিটিয়ে আসছে।

অর্থ বিভাগের এক তথ্য অনুযায়ী, ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত মূলধন পুনর্ভরণ, সুদ ও ভর্তুকিসহ নানা উপায়ে সরকার এই ব্যাংকগুলোকে ১২ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা দিয়েছে।

গত অর্থবছর থেকে সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে পুনঃঅর্থায়নে রাশ টানতে থাকে।

রবিবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী ওই চার ব্যাংকের চেয়ারম্যান, এমডি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে আরও কঠোর বার্তা দেন।

বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, “বৈঠকে আমি তাদের বলে দিয়েছি, এখন থেকে সরকারি ব্যাংকগুলোতে আর কোনো ধরনের রি-ফাইন্যান্সিং করা হবে না। তাদের নিজেদেরই আয় করতে হবে এবং সরকারকে ট্যাক্সও দিতে হবে।”

এই ব্যাংকগুলোকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে কর্মপরিকল্পনা তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন মুস্তফা কামাল।

“আমি তাদের বলেছি, এ বিষয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে। ওই কর্মপরিকল্পনার উপর আগামী রোববার আবার তাদের নিয়ে বৈঠকে বসব। আগামী বৈঠকে আরও বিস্তারিত আলোচনা হবে।”

অর্থ না দিলেও পরামর্শ দেওয়াসহ অন্য সহযোগিতা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো পাবে বলে তাদের আশ্বস্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী।

রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংক বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তাদের যে সম্পদ আছে, তার সুষ্ঠু ব্যবহার করে অন্তত ১৫ শতাংশ লাভ করুক, এটা চায় সরকার।”

এই ব্যাংকগুলোর শীর্ষ পর্যায়ে নুতন নিয়োগের বিষয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, “নতুন টপ ম্যানেজমেন্ট সুস্পষ্টভাবে পারদর্শী। তারা সবাই যদি অভিজ্ঞতার আলোকে ও দেশের চাহিদার নিরীখে এবং আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংক পরিচালনা করে, তাহলে অসাধারণ কিছু প্রত্যাশা করা যায়।”

ব্যাংকগুলোর মন্দ ঋণ (এনপিএল) কমানোর প্রতিশ্রুতির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “মন্দ ঋণ এখনও কমাতে পারি নাই। কারণ আমরা এক্সিটপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে পারি নাই। তবে শিগগির এটির সুরাহা হবে বলে আমার বিশ্বাস।”

গত ২১ মে হাই কোর্টে ঋণ খেলাপীদের বিশেষ সুবিধার উপর স্থিতাবস্থা দেয়। যদিও পরে আবার নতুন ঋণ না নেওয়ার শর্তে স্থিতাবস্থা তুলে নেয়।

বিশ্বের সাম্প্রতিক প্রবণতা দেখে মন্দার শঙ্কা জানিয়ে তাতে বাংলাদেশের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “মন্দা তৈরি হলে বিলাসী পণ্যের বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কিন্তু আমরা বেশিরভাগই মৌলিক পণ্য রপ্তানি করে থাকি। তাই আমাদের রপ্তানি কমার সম্ভাবনা নেই।

“একইভাবে আমাদের শেযারবাজারও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ আমাদের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ তেমন নেই।”

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড

কানাডা বাণিজ্য মেলায় ২.৫ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আদেশ পেল বাংলাদেশ

export-2স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্প কানাডার টরন্টোতে অনুষ্ঠিত ‘অ্যাপারেল টেক্সটাইল সোর্সিং কানাডা (এটিএসসি) থেকে প্রায় ২.৫ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আদেশ পেয়েছে।

বিনিয়োগ উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)’র উপ-পরিচালক আবু মুখলেস আলমগীর হোসেন বাসসকে বলেন, ‘মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারীরা ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং বেশ কিছু সম্ভাব্য বিনিয়োগ আদেশ লাভে সফল হয়।’

তিনি জানান, মেলায় বাংলাদেশের ১০টি ফেব্রিক, গার্মেন্ট ও হোম টেক্সটাইল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।

তিনি বলেন, ডিকে টেক্সটাইল লিমিটেড, মাসকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, প্যানাশে নিটেড ক্রিয়েশনস লিমিটেড ও হ্যান্ড টাচ সম্ভাব্য ক্রেতাদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য সাড়া পায়। আশা করা যায়, মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ উত্তর আমেরিকায় বাজার সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য নতুন দুয়ার খুলে দেবে।

তিনি বলেন, ‘হ্যানড টাচ মেলায় হাতে তৈরি এমব্রয়ডারি করা ফ্যাশনেবল পোশাক প্রদর্শন করে, যা ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং তারা বেশ কিছু চুক্তি করে, যেগুলো শিগগির দৃশ্রমান বাণিজ্য আদেশে পরিণত হবে।’

উপ-পরিচালক জানান, উদ্যোক্তাদের আয়োজিত ফ্যাশন শোতে ইপিবি একটি স্লটের ব্যবস্থা করে এবং ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ফ্যাশনেবল ও বেসিক পোশাক প্রদর্শন করে।

তিনি বলেন, পোশাক শিল্প ও সরকারি উদ্যোগের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরতে এটিএসসি আয়োজিত একটি প্যানেল আলোচনায়ও বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে।

মাসকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক তৌফিক আনোয়ার ও প্যানাশে নিটেড ক্রিয়েশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিদ খান অন্যানের মধ্যে অধিবেশনে অংশ নেন। কানাডায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর (বাণিজ্য) সাকিল মাহমুদ অধিবেশনটি সঞ্চালনা করেন।

বক্তারা বাংলাদেশের বিনিয়োগ সুবিধাসমূহ ও পোশাক শিল্পের চলমান উন্নয়ন তুলে ধরেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এ

সাবেক মন্ত্রীর শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানিতে বিরত থাকার আহবান টিআইবির

Muhitস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত-কে সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক দেয়া শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা গ্রহণ থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। ইতিপূর্বে সংসদ সদস্য ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনকালে এ সুবিধা গ্রহণ না করলেও বর্তমানে সংসদ সদস্য না হয়েও তা গ্রহণ নৈতিক বিবেচনায় প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং তাঁর সুনামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে না মত দিয়ে এ সুবিধা গ্রহণ না করে নৈতিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপনের আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, এনবিআর কর্তৃক জারিকৃত এক বিশেষ আদেশে পরপর দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য ও অর্থমন্ত্রী থাকা অবস্থায় এ সুযোগ গ্রহণ না করার যুক্তিতে ‘বাস্তবিক অবস্থার নিরিখে শর্তসাপেক্ষে এ সুবিধা’ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া তিনি সংসদ সদস্য ও অর্থমন্ত্রী থাকা অবস্থায় বিগত সরকারের শেষ সময়ে এ অবেদন করেন বলে এনবিআর সূত্রে জানানো হয়।

আজ এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এনবিআর কর্তৃক শুল্ক-করাদি অব্যাহতির এ বিশেষ আদেশটি যৌক্তিক বিবেচিত হলেও সংসদ সদস্য না হয়ে এ ধরনের সুবিধা গ্রহণ একদিকে নৈতিক দিক থেকে সাবেক অর্থমন্ত্রীর স্বচ্ছতা ও সুনাম-কে প্রশ্নবিদ্ধ করবে, অপরদিকে ভবিষ্যতে অন্যান্যদেরকেও এ ধরনের সুবিধা গ্রহণে উৎসাহিত করার ঝুঁকি তৈরি করবে। এবং সেক্ষেত্রে এটি একটি চর্চায় রূপান্তরিত হতে পারে। ইতিপূর্বে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তার ব্যক্তিগত সম্পদ বিবরনী ও আয়কর তথ্য প্রকাশ, শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা গ্রহণ না করা ইত্যাদির জন্য রাষ্ট্রীয় পদে থেকে সুনাম অর্জন করেছেন। অবসর মেয়াদে উল্লিখিত বিশেষ সুবিধা গ্রহণ নৈতিকভাবে সাবেক অর্থমন্ত্রীর অর্জিত সুনামের সাথে মানানসই হবেনা।’

ড. জামান আরো বলেন, ‘শুল্কমুক্ত বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি সংসদ সদস্যদের জন্য এমনিতেই একটি বিতর্কিত সুবিধা। তদুপরি গাড়ি আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার মত কোনো পদে না থেকে এ সুবিধা গ্রহণের উদাহরণ স্থাপন করে ভবিষ্যতে এর অপব্যবহারের ঝুঁকি সৃষ্টিতে অনুঘটকের ভূমিকা পালন থেকে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বিরত থাকবেন বলে দেশবাসী তাঁর নিকট আশা করে বলে মনে করছি।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এ

  1. ইউনাইটেড পাওয়ার
  2. অরিয়ন ইনফিউশন
  3. সিলকো ফার্মা
  4. বীকন ফার্মা
  5. কেডিএস এক্সেসরিজ
  6. ফরচুন সুজ
  7. বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন
  8. মুন্নু সিরামিকস
  9. জেএমআই সিরিঞ্জ
  10. বেক্সিমকো লিমিটেড ।

দিনশেষে কমেছে সূচক, লেনদেন ও শেয়ারের দর

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের চেয়ে কমেছে। এদিন দিনশেষে সেখানে সূচকের উত্থান কমেছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

রবিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৬৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয় ৪৭৮ কোটি ৯০ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমেছে।

এদিন লেনদেন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩.১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২২৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই সূচক ৩.১১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২০৩ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৮.২৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৮৪১ পয়েন্টে।

ডিএসইতে আজ ৩৫২ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১০৫টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ২১৪টির। আর দর অপরিবর্তিত আছে ৩৫টির দর।

দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় রয়েছে –ইউনাইটেড পাওয়ার, অরিয়ন ইনফিউশন, সিলকো ফার্মা, বীকন ফার্মা, কেডিএস এক্সেসরিজ, ফরচুন সুজ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, মুন্নু সিরামিকস, জেএমআই সিরিঞ্জ ও বেক্সিমকো লিমিটেড ।

এদিকে রবিবার দিনশেষে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ৪০ পয়েন্টে।

সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৫৭ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৯টির, কমেছে ১৫৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির শেয়ার দর।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ২১ লাখ টাকা।

দিনশেষে সেখানে লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্স ফার্মা ও সিঙ্গার বিডি লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড

খেলাপি ঋণ বেড়েছে দেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেও

bankস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা আর ফেরত দিতেন না প্রভাবশালীরা। এখন বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেও এই প্রবণতা দিন দিন সংক্রমিত হয়েছে। তারা বেসরকারি ব্যাংকের টাকাও মেরে দেওয়া শুরু করেছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবছরের মার্চ প্রান্তিকের তুলনায় জুন প্রান্তিকে সরকারি ব্যাংকে খেলাপি ঋণ কমলেও বেড়ে গেছে বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ। শুধু বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা।

গত মার্চ মাসের শেষে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪৯ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকা বা ৭ দশমিক ০৮ শতাংশ। জুনের শেষে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৫১ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা বা ৭ দশমিক র১৩ শতাংশ।

গত ছয় মাসে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৮ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা। জুন শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় এক লাখ ১২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ মাসের শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ ছিল ৫৩ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা বা ৩২.২০ শতাংশ। জুন প্রান্তিকে এসে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা বা ৩১.৫৮ শতাংশ।

একইভাবে গত মার্চ পর্যন্ত বিদেশি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ২৫৬ কোটি টাকা বা ৬.২০ শতাংশ। জুন শেষে তা কমে হয়েছে দুই হাজার ৫৭ কোটি টাকা বা ৫.৪৮ শতাংশ।

এ সময়ে বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা। আগের প্রান্তিকে তাদের খেলাপি ঋণ ছিল চার হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারি ব্যাংকের রোগ এখন বেসরকারি ব্যাংকেও সংক্রমিত হয়েছে। প্রভাবশালীরা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মতোই বেসরকারি ব্যাংকের টাকাও লুটপাট শুরু করেছে।

এর ফলে বেসরকারি ব্যাংকে খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিন পর হয়তো বেসরকারি ব্যাংকগুলোকেও বাজেট থেকে ভর্তুকি দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এরইমধ্যে বেসরকারি ফারমার্স ব্যাংককে রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি দিয়েই বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রভাবশালীরা অব্যাহতভাবে লুটপাট করার কারণে সরকারি ব্যাংকগুলোতে এখন আর্থিক সংকট চলছে। যে কারণে তাদের নজর এখন বেসরকারি ব্যাংকগুলোর দিকে।

এরইমধ্যে বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় ব্যাংক বলে পরিচিত ইসলামী ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা তুলে নেওয়ার কারণে এই ব্যাংকটিতেও আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে। এই ব্যাংকটিতে খেলাপি ঋণের পরিমাণও এখন সবচেয়ে বেশি।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের মাঝামাঝি থেকে ইসলামী ব্যাংকের মালিকানায় পরিবর্তন আসে। তারপর থেকে ব্যাংকটির বিভিন্ন সূচকে অবনতি হতে থাকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, তহবিল সংকটের কারণে ইসলামী ব্যাংক বর্তমানে আগের মতো ঋণ দিতে পারছে না। অন্যদিকে, বিতরণ করা ঋণও আগের মতো ফেরত আসছে না। ফলে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণ এখন ইসলামী ব্যাংকের। গত মার্চ শেষে খেলাপির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ৮. ৮৩ শতাংশ।

তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত এই তিন মাসে ব্যাংকিং খাতে নতুন করে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। আর জুন মাসের শেষে অবলোপন বাদেই খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে প্রায় এক লাখ ১২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা।

২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত অবলোপন বাদে খেলাপি ঋণ ছিল ৯০ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা। এই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এ বছরের জুন পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে মোট বিতরণ করা ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৬২ হাজার ৭৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে অবলোপন বাদে খেলাপি হয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা।

এর বাইরে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত অবলোপন করা খেলাপি ঋণ রয়েছে ৪০ হাজার ১০১ কোটি টাকা। এটি যোগ করলে ব্যাংকিং খাতে এখন প্রকৃত খেলাপি ঋণ প্রায় এক লাখ ৫২ হাজার ৫২৬ কোটি টাকা।

আগের প্রান্তিক মার্চ পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ ১০ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা। ফলে গত মার্চ থেকে জুন এই তিন মাসে নতুন করে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় এক হাজার ৫৫২ কোটি টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/