জাহাজভাঙা শিল্পে দুর্ঘটনার তথ্য চেয়েছেন উচ্চ আদালত

courtস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

জাহাজভাঙা শিল্পের বিভিন্ন দুর্ঘটনা বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দায়ীদের বিরুদ্ধে নেওয়া শাস্তি ও সংশোধনমূলক পদক্ষেপ এবং আহত-নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের পদক্ষেপের বিস্তারিত তথ্য আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব নির্দেশনা দেন।

শিল্প মন্ত্রণালয় সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব, পরিবেশ অধিদফতর, বিস্ফোরক অধিদফতর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরকে এসব তথ্য জানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আদালতে বেলা’র পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবীর।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

৫৮ বছরে এবার সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন : মিল মালিক

192300_bangladesh_pratidin_bdp-teknafস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

এ বছর লবণ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিগত ৫৮ বছরের লবণ উৎপাদনের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতি। তারা বলেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে লবণের মৌসুম। কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে লবণ উৎপাদন হচ্ছে। গত মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ লাখ মেট্রিক টন।

বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ১৮ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন। যা বিগত ৫৮ বছরের লবণ উৎপাদনের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। গেল মৌসুমের উদ্বৃত্ত প্রায় ৬ লাখ মেট্রিক টন লবণ দিয়ে আরও অন্তত দুই মাস চলবে।

মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের একটি তারকা হোটেলের হল রুমে অনুষ্ঠিত সভায় লবণ মিল মালিক সমিতির সাধারণ সভায় এসব কথা জানানো হয়।

সভায় লবণ মিল মালিকরা আরও বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা লবণের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দাম বৃদ্ধির অপচেষ্টায় লিপ্ত। লবণের কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে অপপ্রচার চালিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ লবণ শিল্পকে ধ্বংসের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এজন্য অপপ্রচারকারীদের চিহ্নিত করে তারা দ্রুত আইনের আওতায় আনারও দাবি জানান।

সভায় মিল মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল কবির, সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম, আফতাব হোসেন, মাস্টার আব্দুল কাদের, এম কায়সার ইদ্রিস, মো. ফজলুল হক, ওমর ফারুক মিঠু, সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ভেজাল ওষুধের সঙ্গে জড়িতদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত : হাইকোর্ট

courtস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

যে বা যারা ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত তাদের মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া উচিত বলে অভিমত দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, কোনো ফার্মেসিতে দ্বিতীয়দফায় ভেজাল ওষুধ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা উচিত। আদালত ভেজাল ওষুধের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ অভিমত দিয়েছেন। আদালতে রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান কচি। বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।

এদিকে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর গত তিনমাসের কার্যক্রম নিয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত পহেলা আগস্ট থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ৩৪ কোটি ৭ লাখ ৬৯ হাজার এক শ ৪৩ টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়েছে। এ সময়ে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এককোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯শ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় ১৩ হাজার ৫৯৩টি ফার্মেসি পরিদর্শন করে ৫৭২টি মামলা করা হয়। দুটি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছে।

এই প্রতিবেদন পাবার পর আদালত বলেন, কোনো ফার্মেসিতে ভেজাল ওষুধ পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত যে সাতদিনের সাজা দিচ্ছে তা কম হয়ে যাচ্ছে। তাই কোনো ফার্মেসিতে একবার ভেজাল ওষুধ পাবার ওপর দ্বিতীয়দফায় তার কাছে যদি ভেজাল ওষুধ পাওয়া যায় তবে তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা উচিত।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড

লবণের দাম বাড়ালে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: বাণিজ্যমন্ত্রী

tipuস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে, কিন্তু অপপ্রচার চালিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অপপ্রচারের কারণে কিছু জায়গায় লবণের দাম বেড়েছে। দামবৃদ্ধির জন্য সাংবাদিকদেরও দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

এ সময় আগামী বছর কোরবানির সব কাঁচা চামড়া সরকার কিনে নেবে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

এদিকে শিল্প মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। দেশে বর্তমানে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি ভোজ্য লবণ মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের লবণ চাষিদের কাছে ৪ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন এবং বিভিন্ন লবণ মিলের গুদামে ২ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন লবণ মজুদ রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একটি স্বার্থান্বেষী মহল লবণের সংকটের গুজব ছড়িয়ে অধিক মুনাফা লাভের আশায় লবণের দাম অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ ধরনের গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

প্রসঙ্গত, লবণ সংকটের গুজব ছড়িয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ করে দাম বেড়ে যায়। কোথাও কোথাও একশ’ টাকা কেজি দরে লবণ বিক্রি হচ্ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড

দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে: শিল্প মন্ত্রণালয়

SALTস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। দেশে চরম লবণ সংকটের গুজবে এবং কোনো কোনো জায়গায় লবনের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে বর্তমানে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি ভোজ্য লবণ মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের লবণ চাষিদের কাছে ৪ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন এবং বিভিন্ন লবণ মিলের গুদামে ২ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন লবণ মজুদ রয়েছে।

এছাড়া সারাদেশে বিভিন্ন লবণ কোম্পানির ডিলার, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পর্যাপ্ত লবণ মজুদ রয়েছে। পাশাপাশি চলতি নভেম্বর মাস থেকে লবণের উৎপাদন মৌসুম শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলায় উৎপাদিত নতুন লবণও বাজারে আসতে শুরু করেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একটি স্বার্থান্বেষী মহল লবণের সংকটের গুজব ছড়িয়ে অধিক মুনাফা লাভের আশায় লবণের দাম অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ ধরনের গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

বিবৃতিকে বলা হয়, দেশে প্রতি মাসে ভোজ্য লবণের চাহিদা থাকে কম-বেশি ১ লাখ মেট্রিক টন। অন্যদিকে লবণের মজুদ আছে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন। সে হিসাবে লবণের কোনো ঘাটতি বা সংকট হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড

দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর ২ দশমিক ৪ কিলোমিটার

padma-bridge-spanস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

একের পর এক স্প্যান বসিয়ে দৈর্ঘ্য বেড়ে চলেছে পদ্মাসেতুর। পদ্মার মাওয়া প্রান্তে সেতুর ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারের ওপর স্থায়ী ১৬ তম স্প্যান ‘৩-ডি’ বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হলো সেতুর ২৪০০ মিটার (২ দশমিক ৪ কিলোমিটার)।

ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল থেকে পদ্মানদী পাড়ি দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে যাওয়ার এ স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেবে আর ২৬টি স্প্যান বসলেই। ১৫ তম স্প্যান বসানোর ২৮ দিনের মাথায় ১৫ ও ১৬ নম্বর পিলারের ‘৩-সি’ স্প্যানের সঙ্গে বসেছে এই স্প্যানটি।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর ১টা ১০ মিনিটে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় সেতুর ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারের ওপর সফলভাবে অস্থায়ী স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয়েছে ২৪০০ মিটার। সেতুর ১৩, ১৪, ১৫, ১৬ নম্বর পিলারের ৩-এ, ৩-বি, ৩-সি স্প্যানের সঙ্গে বসলো ৩-ডি স্প্যানটিও।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড

আরব আমিরাতের আরও বড় আকারের বিনিয়োগ প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

pmস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার পারষ্পরিক সুবিধার্থে বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রে বিশেষ করে তৈরি পোশাক, তথ্য প্রযুক্তি এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে ইউএই’র উদ্যোক্তাদের আরও বড় আকারের বিনিয়োগের আহবান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার অর্থনৈতিক অঞ্চলে, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে এবং হাইটেক পার্কে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’

আবুধাবীতে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানকালীন হোটেল সাংরি-লা’তে তাঁর সম্মানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত সংবর্ধনা ও নৈশভোজে যোগদান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘ওয়ান স্টপ’ সার্ভিস সুবিধা এবং একশ’র অধিক অবকাঠামোসহ নানা প্রয়োজনীয় সুবিধাদি প্রদান করছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সব থেকে সহনীয় বিনিয়োগ নীতি বিদ্যমান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীরা তৈরি পোশাক শিল্প, ভবন অবকাঠামো নির্মাণ, নির্মাণ শিল্প, যোগাযোগ, জ্বালানি, তথ্য প্রযুক্তি, জাহাজ নির্মাণ, পর্যটন, হাল্কা প্রকৌশল, শিল্প পার্ক এবং পণ্য সরবারাহের কেন্দ্র হিসেবে বিনিয়োগ করতে পারে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শীর্ষ উদ্যোক্তাগণ এবং ইউএই’র স্বনামধন্য ব্যবসায়ী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ এবং তাঁদের সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

দেশে বিদ্যমান বৈদেশিক বিনিয়োগ সুরক্ষা নীতিমালার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আইন দ্বরা বিদেশি বিনিয়োগকে সুরক্ষা প্রদান, শুল্ক রেয়াত, যন্ত্রাংশ আমদানিতে স্বল্প শুল্ক, যে কোন সময় লাভ এবং আসল সহ প্রস্থানের সুবিধা, যারমধ্যে উল্লেখযোগ্য।

তৈরি পোশাকের পরেই আমাদের রপ্তানির ক্ষেত্রে কৃষি ভিত্তিক পণ্য উল্লেখযোগ্য আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আরব আমিরাতের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের কৃষিজাত এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই।’

বাংলাদেশ এবং আরব আমিরাতের মধ্যে পারষ্পরিক ব্যবসা এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারি এবং বেসরকারি উভয় খাতেই বাংলাদেশ এবং ইউএই’র যৌথ উদ্যোগের জন্য সম্ভাবনাময় বেশ কিছু খাত খুঁজে বের করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং আমিরাতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং আমিরাত অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে পারষ্পরিক বাণিজ্য ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের যৌথ উদ্যোগের ফলে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বহুমুখীকরণ হবে এবং সম্প্রসারণ ঘটবে।’

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। যে সম্পর্ক বহুমুখী এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত হয়েছে।’
বাংলাদেশের পণ্য আমদানির জন্য ইউএই’র প্রতি আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে ইউএই ফার্মাসিউটিক্যাল সামগ্রী, পাট এবং পাটজাত পণ্য, সিরামিক, চামড়া, খাদ্যদ্রব্য, প্লাস্টিক সামগ্রী, নীটওয়্যার, ফ্রোজেন ফুড, বস্ত্র, হোম টেক্সটাইল, কৃষিপণ্য এবং প্রকৌশল সামগ্রী আমদানি করতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী তাঁর এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউএই সফরের কথা স্মরণ করেন যখন বাংলাদেশ এবং ইউএই’র মধ্যে বন্দর স্থাপন, শিল্প পার্ক, বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, এলএনজি সরবরাহ এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সেই সফরকালে আমরা ইউএই’র পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছিলাম। ইউএই’র সংস্থা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ এবং সৌরশক্তিসহ জ্বালানি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাঁরা তখন এলএনজি টার্মিনাল এবং বন্দর প্রতিষ্ঠায় আগ্রহ দেখিয়েছিল। আমরা তখন আমিরাত অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রকল্প চালুর প্রস্তাব পেয়েছিলাম।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এমিরটেস ইকোনমিক জোন একটি টেকসই অর্থনৈতিক অঞ্চল হালাল খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ইউনিট এবং সার্টিফিকেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির মূল ভীত যেহেতু কৃষি নির্ভর তাই আমরা এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা লক্ষনীয় যে বাংলাদেশ এবং ইউএই’র আর্থসামাজিক এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।

‘বর্তমানে বাংলাদেশ এবং ইউএই’র মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ক বিদ্যমান। যেটা একমাত্র বাংলাদেশের জনশক্তির ইউএই’তে রপ্তানির এক মাত্রিক সম্পর্কে পরিবর্তিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহমুখীকরণ হয়েছে। এসব খাতের মধ্যে রয়েছে, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি, বিনিয়োগ,অবকাঠামো নির্মাণ, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কারিগরি সহযোগিতা, ব্যবসায় প্রতিনিধি দল আদান-প্রদান, উন্নয়ন সহযোগিতা।

তিনি বলেন,‘বর্তমানে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে উন্নয়নের বিস্ময় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি গুলোর একটি।’

বাংলাদেশের দ্রুত শিল্পায়নের জন্য গ্যাস এবং বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘ইউএই’র সঙ্গে জা¡লানি সম্পর্কিত সহযোগিতা আমাদের শিল্পায়ন প্রক্রিয়াকে ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করবে।’

অনুষ্ঠানে রিলাম ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সুলতান আল রাশেদ লোটাহ্, এমিরেট ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডি আবদুল্লাহ আল কাশিম ও মালাবার গোল্ড’র এমডি (ইন্টারন্যাশনাল অপারেশন্স) শামলাল আহামেদসহ আরও অনেক ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

  1. গ্রামীণফোন লিমিটেড
  2. ন্যাশনাল টিউবস
  3. স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস
  4. সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স
  5. স্টাইল ক্রাফট ফ্যাশন
  6. মুন্নু স্টাফলার্স
  7. বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস
  8. নিটল ইন্স্যুরেন্স
  9. ব্র্যাক ব্যাংক
  10. এ্যাক্টিভ ফাইন লিমিটেড।

দুই শেয়ারবাজারেই সূচকের সামান্য উত্থান

high indexস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের চেয়ে অনেকটা কমেছে। এদিন দিনশেষে সেখানে সূচকের সামান্য উত্থান হয়েছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনের পরিমাণ ও সূচক দুটিই কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৮০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। গতকাল সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হয় ৪০৯ কোটি ৬১ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমেছে।

এদিন লেনদেন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ০.৩৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭২২ পয়েন্টে। আর ডিএসই সূচক ১.৬৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১০৮৬ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৯.০৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৬৬৭ পয়েন্টে।

ডিএসইতে আজ ৩৩৪ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১২৪টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৭৪টির। আর দর অপরিবর্তিত আছে ৩৬টির দর।

দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় রয়েছে – গ্রামীণফোন লিমিটেড, ন্যাশনাল টিউবস, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, স্টাইল ক্রাফট ফ্যাশন, মুন্নু স্টাফলার্স, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, নিটল ইন্স্যুরেন্স, ব্র্যাক ব্যাংক ও এ্যাক্টিভ ফাইন লিমিটেড।

এদিকে মঙ্গলবার দিনশেষে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯.১৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ৩৩৪ পয়েন্টে।

সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪০ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৩টির, কমেছে ১২৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির শেয়ার দর।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

সেখানে লেনদেনের শীর্ষ রয়েছে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও গ্রামীণফোন লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড

লভ্যাংশ ঘোষণা করবে রিন সাইন টেক্সটাইলস

Ring-Shine-1স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রক্রিয়াধীন কোম্পানি রিন সাইন টেক্সটাইলস লিমিটেডের বোর্ড সভা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বোর্ড সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করবে কোম্পানিটি। মঙ্গলবার ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আগামীকাল ২০ নভেম্বর বেলা ৩টায় নিজেদের প্রধান কার্যালয়ে এ বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং)আইন-২০১৫ অনুযায়ী, এ বোর্ড সভায় গত ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৯ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করবে কোম্পানিটির পরিচালনা বোর্ড।

এ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করবে কোম্পানিটি। বর্তমানে কোম্পানিটির আইপিও প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সকল জটিলতা কাটিয়ে অতিসত্বর এই কোম্পানির শেয়ার লেনদেন শুরু হবে বলে জানা গেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ