পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নেওয়া ও বুড়িগঙ্গা নদী দূষণের দায়ে রাজধানীর শ্যামপুরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ১৮টি কারখানার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কতমতলী শিল্প এলাকায় বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) ছাড়া অবৈধভাবে চলা কারখানাগুলোতে আগের দিনের অভিযানের বিষয়টি মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
নির্বাহী হাকিম মাকসুদুল ইসলাম ও কাজী তামজীদ আহমেদকে নিয়ে পরিবেশ অধিপ্তরের ঢাকার মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্টের পরিচালক রুবিনা ফেরদৌসী এ অভিযান পরিচালনা করেন।
বন্ধ কারখানাগুলো হলো- এ মজিদ অ্যান্ড সন্স ডাইং, কদমতলী ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং, মাসুদ টেক্সটাইল, জেদ্দা ডাইং, সোনিয়া ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং, আজিজ মেটাল, আলিফ মেটাল, মেসার্স অগ্রণী মোল্ডিং, এডেক্স কর্পোরেশন (অরবিট মেটাল ইন্ডা.), মেসার্স খান রেডিমিক্স, মতলব আয়রন, এসএস ইলেক্ট্রপ্লেটিং ওয়ার্কস, মোহাম্মদীয়া পাইপ, পারফেক্ট ওয়ার, এম কে ডাইং, রাফসান ডাইং, মিল্লাত ডাইং ও নিউ মিল্লাত মারুফ ডাইং।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে নোটিস পেয়েও এসব ওয়াশিং ও ডায়িং কারখানার মালিকরা দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা বা ইটিপি নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে তারা তরল বর্জ্য ছেড়ে বুড়িগঙ্গা নদীর পানিকে ব্যবহারের অযোগ্য করে তুলেছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. সোহরাব আলী এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রিজার্ভ ফোর্স ও র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট বিভাগের আদেশের প্রেক্ষিতে বুড়িগঙ্গা নদী দূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তর এ অভিযান চালিয়ে আসছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/