বেনাপোলে ৫ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ১১৭৪ কোটি টাকা

Benapolস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল কাস্টমস হাউজে ক্রমেই কমছে রাজস্ব আহরণ। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে এ স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ১৭৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা কম হয়েছে। বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অবকাঠামো সুবিধার ঘাটতি আর অনিয়মের কারণে রাজস্ব আদায়ে এ ঘাটতি। তবে এটি শিগগিরই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী কাস্টমস কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৪২৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর মধ্যে জুলাইয়ে ৫৫৩ কোটি ৮০ লাখ, আগস্টে ৫০৬ কোটি ২৯ লাখ, সেপ্টেম্বরে ৪০৫ কোটি ১০ লাখ, অক্টোবরে ৪২৮ কোটি ৩১ লাখ ও নভেম্বরে ৫৩৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা। এর বিপরীতে গত পাঁচ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ হাজার ২৫২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। ফলে প্রথম পাঁচ মাসে রাজস্ব ঘাটতি থেকে গেছে ১ হাজার ১৭৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এ স্থলবন্দরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা এবং এর আগের অর্থবছর রাজস্ব ঘাটতি ছিল ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করা হয়। সেই হিসেবেই স্থলবন্দরে ৫ হাজার কোটি টাকার অধিক রাজস্ব আদায় হওয়ার কথা। পণ্য আমদানির বেলায় এ স্থলবন্দরে চলে নানা অনিয়ম। কখনো পণ্য আমদানিতে মিথ্যা ঘোষণা, আবার ঘোষণার অতিরিক্ত পণ্য এনে সরকারের শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়। এতে শুল্ক আয় কমে যাচ্ছে। সব বন্দরে আমদানি পণ্যের ওপর রাজস্ব পরিশোধের নিয়ম এক হতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দরে যে পণ্যের শুল্কায়ন মূল্য ধরা হয় ৪ ডলার, বেনাপোল বন্দরে ওই একই পণ্যের শুল্কায়ন মূল্য ধরা হয়ে থাকে সাড়ে ৪ ডলার। দেশের সব বন্দর থেকে বেনাপোলে সব চেয়ে বেশি মূল্যে শুল্কায়ন করা হয়ে থাকে। এ কারণে অনেক আমদানিকারক এ পথে আমদানি করছে না। তবে বৈধভাবে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করায় রাজস্ব ঘাটতির কারণ বলে মনে করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, ৯০ একর জমির ওপর বেনাপোল স্থলবন্দরের অবস্থান। ৫৯ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এ বন্দরে প্রায় এক থেকে দেড় লাখ পণ্য উঠানামা করে। দেশের ২৪টি স্থলবন্দরের মধ্যে চলমান ১২টি বন্দরের অন্যতম বেনাপোল স্থলবন্দর। প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পণ্য আমদানির জন্য দেশে যতগুলো বন্দর রয়েছে, তার মধ্যে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর হলো বেনাপোল। এ ছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা দেশের অন্য যেকোনো বন্দরের তুলনায় উন্নত। বেনাপোল থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। সে কারণে দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ পণ্য এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, স্থলবন্দরের ধারণ ক্ষমতা ৫৯ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু এখানে সব সময় পণ্য থাকে কমপক্ষে দেড় লাখ টন। জায়গার অভাবে পণ্য খালাস করতে না পেরে ভারতীয় ট্রাক বন্দরে দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থাকছে। খোলা জায়গায় পড়ে থেকে মূল্যবান পণ্যসামগ্রী নষ্ট হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বৈধ সুবিধা পেলে এ স্থলবন্দর থেকে বর্তমানে সরকার যে পরিমাণ রাজস্ব পাচ্ছে, তখন তার দ্বিগুণ আয় হবে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আবদুল জলিল বলেন, অর্থনীতিতে বেনাপোল স্থলবন্দরের বিপুল অবদানের পাশাপাশি বেনাপোলের পারফরম্যান্সও অনেক ভালো। এরই মধ্যে আমরা অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছি। জায়গা সংকটে বর্তমানে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে নতুন জায়গা অধিগ্রহণ ও উন্নয়নকাজ চলছে। এ ছাড়া বেনাপোলকে আরো উন্নত করতে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার একটি নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যা সম্প্রতি একনেকে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদন হয়েছে। কার্গো ভেহিকল টার্মিনাল হয়ে গেলে যানজট একেবারেই থাকবে না বলে আশা করছি। এর ফলে পণ্য পরিবহন বাড়বে। কাজ শেষ হলে বেনাপোল স্থলবন্দর একটি আধুনিক স্থলবন্দরে রূপান্তরিত হবে।

যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান খান জানান, বেনাপোল বৃহৎ স্থলবন্দর হলেও এর কোনো সুফল আমরা পাচ্ছি না।

বেনাপোল কাস্টম হাউজের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী এ ঘাটতি পূরণের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, পণ্য চালান খালাসে আগের চেয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বেড়েছে কাস্টম হাউজে। শুল্ক ফাঁকি বন্ধে কড়াকড়ি আরোপ করায় কিছু ব্যবসায়ী এ বন্দর দিয়ে আমদানি কমিয়েছেন। বিশেষ করে রাজস্ব বেশি আসে এমন পণ্য চালান কম আমদানি হচ্ছে। এতে রাজস্ব কিছুটা ঘাটতি হয়েছে। শুল্ক ফাঁকির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের বৈধ সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে আন্তরিক হয়ে কাজ করেছি। সূত্র : বিডিপ্রতিদিন

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ধুঁকছে ভারতের অর্থনীতি : আইএমএফ

imfস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ধুঁকছে ভারতের অর্থনীতি। তাই মুমূর্ষু এই আর্থিক পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এখনই দ্রুত জরুরি ব্যবস্থা নিতে ভারত সরকারকে নির্দেশ দিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তারা জানিয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম ইঞ্জিন হলো ভারত। তাই গোটা বিশ্বের স্বার্থেই আর্থিক মন্দা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এই দেশকে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, দেশটিতে একদিকে কমেছে ক্রয় ক্ষমতা-বিনিয়োগ, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে কর সংগ্রহের পরিমাণ। আর এই দু’য়ের ভার বহন করতে না পেরেই মুখ থুবড়ে পড়েছে ভারতের অর্থনীতি।

নিজেদের বার্ষিক রিভিউতে এমন তথ্যই প্রকাশ করেছে আইএমএফ। তাদের রিভিউতে বলা হয়েছে, লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে এনে ভারত এখন উদ্বেগজনক আর্থিক মন্দার মধ্যে পড়েছে। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে এখনই ব্যবস্থা নিতেই হবে।

বর্তমান পরিস্থিতি ভারতের অর্থনীতি এমন জায়গাতেই রয়েছে যে, ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য খুব একটা বেশি কিছু করা সম্ভব নয়। সেই বিষয়েও ভারত সরকারকে সতর্ক করেছে আইএমএফ। আইএমএফ’র প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গত ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় ভারতীয় অর্থনীতি। লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে এনে ভারত এখন উদ্বেগজনক আর্থিক মন্দার মধ্যে পড়েছে।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বসুন্ধরা পেপারের লভ্যাংশে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন

154226kalerkantho_picস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কম্পানি দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা পেপারস মিলস লিমিটেড।

মঙ্গলবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরার (আইসিসিবি) পুষ্পগুচ্ছ হলে ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এই লভ্যাংশের অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভায় স্বাগত ও সভাপতির বক্তব্য দেন কম্পানির উপদেষ্টা এ আর রশিদী। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ মিশ্র অর্থনীতির উন্নয়নশীল দেশ। সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেশে-বিদেশে নানা ধরনের বাধা বিপত্তি পেরিয়েও বাংলাদেশ অতি দ্রুত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৯৮০ সালের পর থেকে দেশে বেসরকারি উদ্যোগে কাগজ উৎপাদন কারখানা গড়ে উঠতে শুরু করে। ধীরে ধীরে কাগজের বাজারে বিস্তৃতি লাভ করেছে। বেসরকারি খাতে প্রথম রিসাইক্লিং কাগজের কল স্থাপন করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ।

দেশে একশটির মতো পেপার মিল থাকলেও চালু রয়েছে ৪০টির বেশি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, কাগজ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে এসব কারখানা নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে। তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যেও কাগজের বাজারের ৩০ শতাংশ ধরে রেখেছে বসুন্ধরা পেপারস। রপ্তানি হচ্ছে ২৩টির বেশি দেশে।

তিনি বলেন, দেশে মোট ১৫ লাখ টন কাগজ উৎপাদন কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। বিনিয়োগ রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা। বসুন্ধরা পেপার মিলের তিনটি ইউনিটে মানসম্পন্ন কাগজ ও কাগজ পণ্য উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মেটানো হচ্ছে। ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে উন্নতমানের যন্ত্রপাতি স্থাপনের মাধ্যমে টয়লেট পেপার, ফেসিয়াল টিস্যু, স্যানিটারি ন্যাপকিনসহ উৎপাদন সক্ষমতা বছরে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বেড়েছে। এর আগে দেশে প্রতিমাসে টিস্যু পেপারের চাহিদা ছিল ২ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। বসুন্ধরা পেপার মিল এই চাহিদার ৭৫ শতাংশ পূরণ করেছে। বসুন্ধরা পেপার মিলের কাগজ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ডের বই ছাপানোর কাজে ব্যবহার হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) উপস্থিত ছিলেন কম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক খাজা আহমেদুর রহমান, কম্পানির পরিচালক মো. ইমরুল হাসান, নাজমুল আলম ভূঁইয়া ও মো. আবু তাইয়েব, উপদেষ্টা ময়নাল হোসেন চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) মাহবুব হায়দার খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান, কম্পানি সচিব এম নাসিমুল হাই, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মির্জা মুজাহিদুল ইসলাম এবং মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল হাসানসহ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিধিবদ্ধ নিরীক্ষকরা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

১০০% লভ্যাংশ দিয়ে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে নর্দার্ণ জুট

northern-juteস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পাট খাতের কোম্পানি নর্দার্ণ জুট ম্যানুফেকচারিং লিমেটেড ‘জেড’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে শেয়ারবাজারে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটি  গত ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত অর্থ বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

আর এই লভ্যাংশ দিয়ে কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে।

এর আগে কোম্পানিটি লেনদেন জেড ক্যাটাগরিতে হতো।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/এএআর

একনেকে ৪৬১১ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন

ECNECস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৪ হাজার ৬১১ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯ প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৪ হাজার ৩৬৬ কোটি ১২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২৪৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেকের চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।

সভা শেষে পাস হওয়া প্রকল্পগুলোর বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এম মান্নান জানান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ’ ও ‘মোংলা বন্দরের আধুনিক বর্জ্য ও নিঃসৃত তেল অপসারণ ব্যবস্থাপনা’, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ’, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ‘ফরিদপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট স্থাপন (দ্বিতীয় সংশোধন)’, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দনকরণ’, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘মিরপুর সেনানিবাসে ডিএসসিএসসি’র জন্য অফিসার্স মেস ও বিওকিউ নির্মাণ’, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ‘দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদান’, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘চামড়া শিল্পনগরী, ঢাকা (চতুর্থ সংশোধিত)’ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘হাওড় এলাকায় নির্বাচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এম মান্নান, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীবর্গ সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়া সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি’র মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ডিএসইতে ২৩৯ ও সিএসইতে ৭ কোটি টাকার লেনদেন

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেট বিডি প্রতিবেদক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার মূল্য সূচকের সামান্য পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ ডিএসইতে আগের তুলনায় লেনদেন কমে ২৫০ কোটি টাকার নিচে অবস্থান করছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও লেনদেন কমেছে।

ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৩৯০ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৯৮৫ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৯৬ পয়েন্টে।

ডিএসইতে আজ ২৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা গত কার্যদিবস থেকে ২৪ কোটি ৩ লাখ টাকা কম। গতকাল লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৬৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

আজ ডিএসইতে ৩৫৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১২টির, কমেছে ১৭৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টির।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ৩৭২ পয়েন্টে। সিএসইতে টাকার অংকে ৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

রিহ্যাবের শীতকালীন মেলা শুরু ২৪ ডিসেম্বর

Rehabস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চলতি বছরের ২৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ‘রিহ্যাব উইন্টার ফেয়ার-২০১৯’। এ ফেয়ার চলবে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবারের মেলায় ৩০টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়াল ও ১৪টি অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানসহ ২৩০টি স্টল স্থান পাবে।

রিহ্যাব সূত্রে জানা যায়, প্রথম দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা দুপুর ২টা থেকে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। বাকি দিনগুলোতে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারবেন। মেলায় দুই ধরনের টিকিট থাকবে। সিঙ্গেল টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা আর মাল্টিপল টিকিটের প্রবেশ মূল্য ১শ টাকা। মাল্টিপল টিকিটে একজন দর্শনার্থী পাঁচবার মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন।

মেলায় এন্ট্রি টিকিটের রাফ্রেল ড্রতে থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার। প্রথম পুরস্কার একটি প্রাইভেটকার, দ্বিতীয় পুরস্কার একটি মোটরসাইকেল, তৃতীয় পুরস্কার একটি ফ্রিজ। এছাড়াও রয়েছে ৪৩ ইঞ্চি এলিডি টিভি, ওয়াশিং মেশিন, ডিপ ফ্রিজ, একাধিক মোবাইল ফোন, মাইক্রোওভেন, এয়ার কুলার। বিজয়ীদের নাম রিহ্যাবের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হবে।

জানা যায়, ২০০১ সাল থেকে ঢাকায় রিহ্যাব হাউজিং মেলা শুরু হয়। ২০০৪ সাল থেকে যুক্তরাজ্য, দুবাই, ইতালি, রোম, কানাডা, সিডনি, কাতারসহ বিভিন্ন দেশে রিহ্যাব সফলভাবে এ মেলা সম্পন্ন করেছে। এছাড়া চট্টগ্রামে ১২টি মেলা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

আজম জে.চৌধুরী বিএপিএলসির সভাপতি, সহ-সভাপতি রিয়াদ মাহমুদ

Ajam-Chowdhury-Riad-Mahmudস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের কোম্পানি এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজম জে.চৌধুরী আবারও বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি)-র সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমান মেয়াদেও (২০১৯-২০) তিনি তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর এই প্ল্যাটফরমের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

গত রবিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল সিক্স সিজনে সংগঠনটির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) নতুন কমিঠি গঠন করা হয়েেছে। নতুন নির্বাহী কমিটিতে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াদ মাহমুদ।

নির্বাহী কমিটির অনন্য সদস্যরা হলেন-এম. আনিস উদ দৌলা ,চেয়ারম্যান, এসিআই লিমিটেড; সাঈদ এম.আলতাফ হুসাইন, চেয়ারম্যান,প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড; মনজুরুল ইসলাম,চেয়ারম্যান,ইষ্টার্ন হাউজিং লিমিটেড; রুহুল আমিন,চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড; মোহাম্মদ ইউনুস,পরিচালক,শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড; মতিউর রহমান,ভাইস চেয়ারম্যান,উত্তরা ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড; রোকেয়া কাদের,চেয়ারম্যান,দেশ গার্মেন্টস লিমিটেড; ফারজানা চৌধুরী,ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড; সৈয়দ ফরহাদ আহমেদ,ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও, আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড; শাহরিয়ার আহমেদ,পরিচালক,এপেক্স স্পিনিং এন্ড নিটিং মিলস লিমিটেড; মমিনুল ইসলাম,ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও,আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড; প্রকৌশলী মোঃ আবু নোমান হাওলাদার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক,বিবিএস ক্যাবলস লিমিটেড;এটিএম মাহবুবুল আলম, চেয়ারম্যান, ইনটেক লিমিটেড;মোঃ নজরুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোং লিমিটেড;প্রকৌশলী হাসান মোর্শেদ চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড; ইমাম শাহীন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড;মোঃ ফয়সাল করিম খান,পরিচালক, সামিট পাওয়ার লিমিটেড;ইফতেখার উদ্দিন,সিএফও, কে এন্ড কিউ (বাংলাদেশ)লিমিটেড;এবং অলি কামাল, এসভিপি এবং কোম্পানি সচিব, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

দুটি মি. ফান্ডের সম্পদ ব্যবস্থাপক পরিবর্তন

mutualfunds_421x236স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচুয়াল ফান্ড খাতের গ্রীন ডেল্টা মি. ফান্ড ও ডিবিএইচ মি. ফান্ডের সম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করা হয়েছে।ডিএসই সূত্রে এই সব তথ্য জানা গেছে।

গ্রীন ডেল্টা মি. ফান্ড ও ডিবিএইচ ফার্ষ্ট মি. ফান্ডের সম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করবে আইডিএলসি এসেস্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। এতদিন এই সম্পদ ব্যবস্থাপক হিসাবে কাজ করেছে এল আর গ্লোবাল বাংলাদেশ এসেস্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড।

এই ফান্ড দুটির ট্রাষ্টি হিসাবে রয়েছে বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

উত্তরা ফাইন্যান্সের ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত

uttara-smbdস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নন-ব্যাংকিংং খাতের প্রতিষ্ঠান উত্তরা ফাইন্যান্স এন্ড ইভেষ্টমেন্ট লিমিটেড ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার মাধ্যমে মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এই সব তথ্য জানা গেছে।

এটি হবে একটি নন কনভারটেবল জিরো কুপন বন্ড।

সোমবার এই সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা বোর্ড। বিএসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন স্বাপেক্ষে এই বন্ড ছাড়া হবে ডিএস্ইর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির উল্লেখিত এই প্রস্তাবটি শেয়ারহোল্ডারদেরও অনুমোদন নিতে হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/বি