বাজারে এলো রানারের নতুন মডেলের আকর্ষনীয় মোটরসাইকেল

IMG-20200620-WA0000স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশের প্রথম মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড ৩টি নতুন মডেলের মোটরসাইকেল বাজারে নিয়ে এসেছে। মডেল ৩টি হলো নাইট রাইডার ১৫০ ভি২, বুলেট ১০০ ভি২ ও স্কুটি ১১০।

রানার গ্রূপের বিপণন বিভাগের পরিচালক আমিদ সাকিফ খান তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লাইভ সেশনের মাধ্যমে গত ১৫ই জুন এই ৩টি নতুন মডেল উন্মোচন করেছেন।

তিনি জানান, বুলেট ১০০ ভি২ হল পূর্বের বুলেট মোটরসাইকেলের উন্নত সংস্করণ, যেটিতে আছে আকর্ষণীয় নতুন লুক ও সংযোজন করা হয়েছে স্পোর্টস লুকিং শ্রাউড। স্টাইলিশ নতুন এক লুকে এসেছে নাইট রাইডার ভি২। এতে আছে নতুন রেস টিউনিং যুক্ত ইঞ্জিন, ডুয়াল ডিস্ক যা উন্নত ব্রেকিং সিস্টেম নিশ্চিত করে। স্কুটি ১১০ রানারের প্রোডাক্ট প্রোফাইল এ নতুন এক সংযোজন। এতে রয়েছে ১১০ সিসি ইঞ্জিন, সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় গিয়ারবাক্স এবং ফ্রন্ট ডিস্ক ব্রেক। স্কুটি ১১০ একটি ইউনিসেক্স স্কুটার অর্থাৎ এটি ছেলে এবং মেয়ে উভয়ই খুব সহজে চালাতে পারবেন। তাই এই প্রোডাক্ট গুলো এই কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের সময় দেশের মানুষের ব্যক্তিগত যানবাহনের চাহিদা পূরণে অনেক বড় ভুমিকা রাখবে বলে রানার দাবি করে।

রানার গ্রুপের এজিএম ওয়াহিদ মুরাদ এক পত্রে জানান, এই ৩ টি মডেলের প্রি-বুকিং এ রানার বেশ ভাল সাড়া পেয়েছে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে গ্রাহকেরা পণ্যগুলো নিয়ে অত্যন্ত সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। বুলেট ১০০ ভি২ এর খুচরা মূল্য ১০৮০০০ টাকা যার অফার মূল্য চলছে এখন মাত্র ৯৯০০০ টাকা, নাইট রাইডার ১৫০ ভি২ এর খুচরা মূল্য ১৬৬০০০ যার অফার মূল্য চলছে এখন মাত্র ১৩৮০০০ টাকা এবং স্কুটি ১১০ এর খুচরা মূল্য মাত্র ৯৯০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে যা এই সেগমেন্ট এর জন্য অত্যান্ত আকর্ষণীয় মূল্য।

তাছাড়া রানার তাদের ‘বাইক কেয়ার’ মোবাইল এপ চালু করার ঘোষণা দিয়েছে যার মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের মাসিক কিস্তির টাকা ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রদান করতে পারবে এবং নতুন অফার, পণ্যের মূল্য, কিস্তির নিয়মনীতি ও অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে খুব সহজে জানতে পারবেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ডিএসইতে সার্বিক মূল্য আয় অপরিবর্তিত

PE-300x197স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিদায়ী সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) অপরিবর্তিত রয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১০.৫১ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১০.৫১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও’র কোনো পরিবর্তন হয় নাই।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৬.২৫ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৩.৬৫ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৪ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৬.২৬ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৪.৯৮ পয়েন্টে, বীমা খাতের ১০.৫৯ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২১.৪১ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ১৭.০৪ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ১৯.০৫ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৯.৭৩ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ৯.৯৪ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ২৪.৩৪ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৩০.৯০ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৪৩.৫৫ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ৯.২০ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১১.১৩ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২০.৯৩ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই ৩৩.৭৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে লেনদেন ও সূচক

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

গত সপ্তাহে উভয় শেয়ারবাজারের প্রধান প্রধান সূচক কমেছে। একইসঙ্গে কমেছে লেনদেন এবং লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। এ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বাজার মূলধন ১৭৮ কোটি টাকা কমেছে।

জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৩৯ কোটি ২৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১৫ কোটি ৪ লাখ টাকা কম হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩৫৪ কোটি ২৮ লাখ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকার। আর আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৭০ কোটি ৮৫ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৩ কোটি টাকা কম হয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৬০ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৯১৮ এবং ১৩২৫ পয়েন্টে।

এ সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৪৩টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯টি বা ৫ শতাংশের, কমেছে ৩৯টির বা ১১ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮৫টির বা ৮৪ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

একই সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ১০ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন ১৭৮ কোটি টাকা কমেছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৮১ লাখ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯৯ কোটি ২২ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৭৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা বা ৭৭ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৫৪ পয়েন্টে।

এ সময়ে সিএসইতে লেনদেনকৃত ১৭৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ২২টির দর বেড়েছে, ৩২টির কমেছে এবং ১২৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/