দরিদ্র সীমার নীচে যাবে আরও ২০ কোটি মানুষ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আগামী দশ বছরে দরিদ্র সীমার নিচে চলে যাবে আরও ২০ কোটির বেশি মানুষ। সম্প্রতি জাতিসংঘ এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি বলেছে, করোনাভাইরাস মহামারির দীর্ঘকালীন প্রভাবের কারণে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা একশ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।

ইউএন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনডিপি) এক নতুন গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির কারণে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হচ্ছে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া সাধারণ মানুষ। আগামী এক দশকে ব্যাপক হারে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাবে। না খেতে পেয়ে দিন কাটাতে হবে বহু মানুষকে। জাতিসংঘের নতুন এক গবেষণা অনুযায়ী, আগামী দশ বছরের মধ্যে বিশ্বজুড়ে আরও ২০৭ মিলিয়ন বা ২০ কোটিরও বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাবে।

সারাবিশ্বেই ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে করোনাভাইরাস। বিভিন্ন দেশের আর্থিক অগ্রগতি থমকে গেছে। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। সেভাবে নতুন কর্মসংস্থানও হচ্ছে না। ফলে বিভিন্ন দেশের আর্থিক বৃদ্ধি, সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের মানোন্নয়ন থমক গেছে।

ইউএন ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের নতুন গবেষণা বলছে, আগামী ১০ বছরে বিশ্বে দ্রুত গতিতে দারিদ্র্যের হার বাড়বে। মহামারির প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী। বিশ্বজুড়ে শোচনীয় পরিস্থিতি তৈরি করবে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস।

ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, পুরুষদের তুলনায় নারীদের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। আগামী দশকে ১০২ মিলিয়ন নারী দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাবে। এর ফলে বিশ্বজুড়ে নারী পাচারসহ নানা ধরনের অপরাধও বাড়বে।

একইরকম পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক আর্থিক তহবিল আইএমএফ। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পক্ষ থেকে ২০২১ সালে আরও বড় বিপদ আসছে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভ্যাকসিন আসার পর করোনাকে হারাতে পারবে পুরো বিশ্ব। কিন্তু এর ক্ষত থেকে যাবে। যা আগামী ১০ বছর ধরে টের পাবে বিশ্ববাসী। স্বাভাবিকভাবেই এই রিপোর্ট চিন্তা বাড়িয়েছে বিভিন্ন দেশের শাসকদের।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেবায় ফ্লোরা সিস্টেম

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশের একমাত্র কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার কোম্পানি হিসেবে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলো ফ্লোরা সিস্টেম। একই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যাংকিং সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান টেমেনস টি২৪-এর মাধ্যমে ভিন্ন মাত্রার মাইলফলক ছুঁয়েছে ফ্লোরা টেলিকম। রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘ফ্লোরা ব্যাংক’ নামে বিশেষায়িত সফটওয়্যারে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের অসংখ্য এটিএমসহ এক হাজার ২৪টি শাখার ১ কোটি ৯ লাখ ৫১ হাজার ৭২৫টি হিসাব পরিচালনা হচ্ছে, যা বাংলাদেশি কোনো ব্যাংকিং সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালনা হওয়া প্রথম ঘটনা। একই সময়ে টেমেনস টি২৪-এর সফটওয়্যারের মাধ্যমে অগ্রণী ব্যাংকের ৯৫৮টি শাখাসহ সকল এটিএম মেশিনকে সংযুক্ত করে সেবা প্রদান করছে ফ্লোরা টেলিকম, যা বাংলাদেশে এককভাবে সবচেয়ে বেশি ব্যাংকের ব্রাঞ্চকে সংযুক্ত করেছে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সার্টিফিকেশন প্রতিষ্ঠানের গবেষণা অনুযায়ী সর্বনিম্ন সার্ভার কনফিগারেশনের আওতায় প্রতি সেকেন্ডে পাঁচ হাজার ৮৭৮টি লেনদেনে সক্ষম ফ্লোরা ব্যাংক। এই সেবার‍ ফলে একই সময়ে (রিয়েল টাইম) ১০ হাজার ৭৮৬ জন গ্রাহককে ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি ২ কোটির বেশি হিসাব পরিচালনা করা ও ১ কোটি গ্রাহককে মোবাইল ফোন ভিত্তিক সেবা প্রদান করা সম্ভব।

এ ব্যাপারে ফ্লোরা টেলিকমের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) শেখ জাওয়াহের আহমেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প অনুসরণে দেশের আর্থিক খাতে তথ্য ব্যবস্থাপনায় নিরাপদ সেবা দেয়ার লক্ষ্যে ২০০৮ সালে টেমেনস টি২৪ এর সাথে যাত্রা শুরু করে ফ্লোরা টেলিকম। এর আগে ১৯৯৭ সালের জুলাই মাসে ফ্লোরা ব্যাংক কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যারের প্রকল্প শুরু হয়। আমরা বাংলাদেশে স্থানীয় কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার তৈরি এবং ফ্লোরা টেলিকমের তত্ত্বাবধায়নে টেমেনস টি২৪ কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার নিয়ে সবচেয়ে বড় ব্যাংকিং সেবার সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছি।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন ব্যাংক ও সরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বিশ্বখ্যাত বড় ব্রান্ডের আইটি প্রডাক্ট যেমন এইচপি, ডেল, সিসকো ইত্যাদি ও সফটওয়্যার টেমেনস টি২৪, ফ্লোরাব্যাংক, মাইক্রোসফট, ওরাকল ইত্যাদি সরবরাহ, বাস্তবায়ন ও সেবা প্রদান করে আসছে।

ফ্লোরা টেলিকমের সফল বাস্তবায়িত প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রণী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক, ট্রাষ্ট ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনসিসিবিএল, এনবিআর, বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল ইত্যাদি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

রিজার্ভ চুরির মামলায় তদন্ত দাখিল ১৩ জানুয়ারি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে ১৩ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

রবিবার মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী প্রতিবেদন দাখিলের এই নতুন তারিখ ঠিক করেন। এ নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৪৫ বারের মতো সময় নিয়েছে তদন্ত সংস্থা।

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের আট কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে নেয় হ্যাকাররা।

দেশের অভ্যন্তরে কোনো এক চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থপাচার করে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। এই ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা মতিঝিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে বাদী হয়ে এক মামলা করেন। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

অনলাইন কার্যক্রম নিয়ে ডিএসইর প্রশিক্ষণ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ডিজিটাল বাংলাদেশ শিরোনামে একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আগামী ৭ ও ৮ ডিসেম্বর এ দু’দিন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

রবিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের উন্নয়নে অনলাইন তথ্য সংগ্রহ, তথ্য জমা এবং প্রচার প্লাটফর্ম নিয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ শিরোনামে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে শেয়ারবাজার তালিকাভুক্ত এবং তালিকাভুক্তিতে যেসব কোম্পানির কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে সেসব কোম্পানি অংশগ্রহণ করতে পারবে।

দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দিন ব্যাংক, সিমেন্ট, সিরামিক, কর্পোরেট বন্ড, প্রকৌশল, আর্থিক, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, জ্বালানি ও বিদ্যুত এবং বীমা খাতের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আর দ্বিতীয় দিন তথ্যপ্রযুক্তি, পাট, বিবিধ, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, পেপার ও প্রিন্টিং, ওষুধ ও রসায়ন, সেবা ও আবাসন, চামড়া শিল্প, টেলিযোগাযোগ, বস্ত্র এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

এনার্জিপ্যাকের আইপিও আবেদন শুরু আজ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন জমা শুরু হবে আজ ৭ ডিসেম্বর থেকে । এই আবেদন ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত জমা নেওয়া হবে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

আগ্রহী বিনিয়োগকারীরা এই কোম্পানির শেয়ার ৩১ টাকা দরে কিনতে পারবে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক বিডিংয়ে এই শেয়ারের কাট অফ প্রাইস ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

গত ২১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা থেকে শুরু হয়ে এই বিডিং চলে বৃহস্পতিবার ২৪ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

গত ১৯ আগষ্ট বিএসইসির ৭৩৪ তম কমিশন সভায় এই বিডিংয়ের অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

জানা গেছে, কোম্পানিটি বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) এর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করবে।

মূলধন সংগ্রহের মাধ্যমে কোম্পানিটি এলপিজি প্রকল্পের ব্যবসায় সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খাতে ব্যয় করবে।

কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত সমন্বিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী যথাক্রমে শেয়ার প্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ) ৪৫.১৫ টাকা ও শেয়ার প্রতি নিট সম্পত্তির মূল্য ( পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ব্যতীত) ৩০.২০ টাকা।

কোম্পানির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

‘বিনিয়োগকারীরা হাউজে না গিয়ে বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন’

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগকারীরা ব্রোকার হাউজে না গিয়ে অদূর ভবিষ্যতে বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে সক্ষম হবেন। দেশের শেয়ারবাজারকে ডিজিটাল করার পদক্ষেপের অংশ হিসাবে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) একটি মডিউল তৈরির কাজ শুরু করেছে। যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা অনলাইনে বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।

এই মডিউলের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং ডেস্কটপ কম্পিউটার ব্যবহার করে বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। বিও অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসসি)। গত বৃহস্পতিবার কমিশন কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত এটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সিডিবিএলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসির মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক বিনিয়োগকারীদের ক্রেডিট কার্ড বা ইএফটিএন সিস্টেমের মাধ্যমে চার্জ প্রদান করে বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে।

মডিউলটিতে একটি ফটোগ্রাফ, এনআইডি বা পাসপোর্ট নম্বর, ব্যাংকের চেক বইয়ের কপি ব্যবহার করে বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, বিও অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া ডিজিটাইল হলে বিনিয়োগকারীদের ঝামেলা হ্রাস পাবেবে।

এ প্রসঙ্গে সিডিবিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভ্রা কান্তি চৌধুরী বলেন, বিনিয়োগকারীরা তাদের পছন্দের ব্রোকারেজ হাইজগুলিতে বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।

তিনি বলেন, এই মডেলটিতে ব্রোকারেজ হাউজ বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকবে। মডিউলটি ব্যবহার করে খোলার বিও অ্যাকাউন্ট নির্ধারিত চার্জ গ্রহণের পরে তা সক্রিয় হবে।
সিডিবিএল এ কাজটি খুব কম সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করবে।

বিও হিসাব খোলার পরে বিওর তথ্য সিডিবিএল, স্টক এক্সচেঞ্জ এবং শেয়ারবাজারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক ব্রোকারেজ হাউজের কর্মকর্তা এ বিষয় বলেন, বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে ৪০০থেকে ৫০০ টাকা চার্জ করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে, বিও অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ১০০০ থেকে ২০০০ টাকাও নেওয়া হয়।

২০১৬ সালে বিএসইসি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্তে বিও অ্যাকাউন্টের জন্য নবায়ন ফি ৫০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা করেছে।

৪৫০ টাকা এর মধ্যে ২০০ টাকা সরকারী কোষাগারে জমা হয়। আর ১০০ টাকা ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীদের (ডিপি), সিডিবিএলকে ১০০ টাকা এবং বাকী ৫০ টাকা বিএসইসির নিকট জমা হয়।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা সম্প্রতি দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় ডিজিটাল ট্রেডিং আউটলেট খোলার অনুমোদন দিয়েছে।

দেশ এবং বিদেশ থেকে বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য দেশের শেয়ারবাজারের বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য আইনটি কার্যকর করা হয়েছে।

বিএসইসি এক কর্মকর্তা জানান, ইতিমধ্যে একটি ব্রোকারেজ ফার্ম বিদেশে ট্রেডিং আউটলেট খোলার আগ্রহ দেখিয়েছে। সিডিবিএলের তথ্য মতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সক্রিয় বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২৬ লাখ ১০ হাজারের উপরে দাঁড়িয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বেক্সিমকো সিনথেটিকসের লেনদেন বন্ধ ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি বেক্সিমকো সিনথেটিকস লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন বন্ধের সময় ৫ম দফায় বাড়ানো হয়েছে। কোম্পানিটির লেনদেন বন্ধের মেয়াদ আরও ১৫ দিন বাড়ানো হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আগামীকাল ৭ ডিসেম্বর সোমবার থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির লেনদেন বন্ধ থাকবে।

এর আগে প্রথম দফায় ৮ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর, দ্বিতীয় দফায় ২৩ অক্টোবর থেকে ৮ নভেম্বর, তৃতীয় দফায় ৯ নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর ও চতুর্থ দফায় গত ২২ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির লেনদেন বন্ধ ছিল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

৩২ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ব্লক মার্কেটে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ রবিবার (৬ ডিসেম্বর) ব্লক মার্কেটে মোট ৩২ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৬৮ লাখ ১৭ হাজার ৬৫টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৩১ কোটি ৩ লাখ টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আজ রবিবার ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে ব্রাক ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটি ১৯ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স ২ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ১ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- অ্যাডভেন্ট ফার্মা, অ্যাপেক্স স্পিনিং, বিডি ফিন্যান্স, সিএপিএমবিডিবিএল মিউচ্যূয়াল ফান্ড, সিএপিএম আইবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স, ডিবিএইচ, ফার কেমিক্যাল, লিন্ডেবিডি, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, মুন্নু সিরামিক, এনসিসি ব্যাংক, নিটল ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, পেনিনসুলা, পাইওনিয়র ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, রূপালী ইন্স্যুরেন্স, সায়হাম টেক্সটাইল, সী পার্ল বীচ, সিলকো ফার্মা, এসকে ট্রিমস, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি, এসএস স্টিল, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ও ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ঋণ পরিশোধের সময় বাড়ানোর দাবি সাবেক গভর্নরের

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক:

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ যাতে অর্থনীতিকে কাবু করতে না পারে, সেজন্য এখন থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্থনীতি চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।

এজন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের (এসএমই) প্রণোদনা বাড়ানো ও সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ঋণ দেয়ার সময় বাড়ানোর পাশাপাশি ঋণ পরিশোধের সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে কর্মসংস্থান বজায় রাখতে শিল্প খাতের জন্য আরও এক দফা ঋণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন এই অর্থনীতিবিদ।

রবিবার (৬ ডিসেম্বর) এসএমই ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘অর্থনৈতিক প্রতিবেদকদের জন্য কর্মশালা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ কর্মশালা আয়োজনে সহযোগিতা করে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)।

কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে আতিউর রহমান বলেন, ‘কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ যাতে অর্থনীতিকে বেশি কাবু করে না ফেলে সেজন্য এখন থেকেই আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান-পাটসহ অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতি চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করে যেতে হবে। শিল্প খাতকেও চাঙ্গা রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে শিল্প খাত যেন বসে না যায়, সেজন্য কর্মসংস্থান বজায় রাখতে তাদের আরও একদফা কম সুদে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য শিল্প খাতকে কথা দিতে হবে তারা কর্মসংস্থান বজায় রাখবেন। এটি করতে সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে হবে।’

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এসএমই উদ্যোক্তাদের ঋণ দেয়ার দাবি জানিয়ে আতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি অনুমোদন দিয়েছে- সিটি ব্যাংক ও বিকাশ মিলে তারা ১০ হাজার টাকার ছোট ঋণ এসএমইকে দিতে পারে। এটা মাত্র তিন মিনিটে স্যাংশন (অনুমোদন) হয়ে যায়। এই অভিজ্ঞতা ইতিবাচক হয়ে থাকলে ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানের জন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ক্যাশ ফ্লোর হিসাব দেখে ই-কেওয়াইসি নিয়ে ১০, ২০, ৩০ হাজার টাকার মতো ঋণ দেয়া যেতে পারে। ছয় মাস, এক বছরের জন্য এই ঋণ দেয়া যেতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে সব থেকে বড় সমস্যা চাহিদা কমে যাওয়া। আমাদেরকে চাহিদা বাড়াতে হবে, ভোগ বাড়াতে। মানুষের আয়-রোজগার কমে যাওয়ার কারণে চাহিদা কমে গেছে। চাহিদা ও মানুষের আয়-রোজগার বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ফিসক্যাল পলিসি (রাজস্ব নীতি) সহায়তা দিতে হবে।’

সাবেক এই গভর্নর বলেন, ‘আমাদের ধোলাই খাল থেকে রফতানিমুখী শিল্পের একটি পণ্য কিনতে হলে ভ্যাট, ট্যাক্স দিতে হয়। কিন্তু চীন থেকে আমদানি করতে সেই পণ্যে ট্যাক্স দেয়া লাগে না। এই জায়গাতে আমাদের পলিসি সহায়তা দিতে হবে। সেই সঙ্গেগভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্টের একটি অংশ এসএমই’র জন্য বরাদ্দ রাখা উচিত। ভারতে এটা অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। আমাদের দেশেও এটার দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চায়।’

আতাউর রহমান বলেন, ‘করোনার সময় সরকার এসএমই’র জন্য বড় ধরনের প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। এই ঋণ বিতরণের গতি তেমন বাড়ছে না। ৩০-৪০ শতাংশের মতো বিতরণ করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ঋণের সময় বাড়ানো হয়েছে। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ যেহেতু এসে গেছে, তাই আরও ছয় মাস সময় বাড়ানো উচিত। সেই সঙ্গে এসএমই খাতের প্রণোদনার পরিমাণ আরও বাড়ানো উচিত।’

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি শামস মাহমুদ, ইআরএফ’র সভাপতি শারমীন রিনভী, সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম প্রমুখ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/