করপোরেটে এমবিএ ডিগ্রিধারীদের নিয়ে ইলন মাস্কের ক্ষোভ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

আমেরিকার টেসলা ও স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ক সম্প্রতি স্ট্রিট জার্নালের সিইও কাউন্সিলের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোতে এমবিএ ডিগ্রিধারীদের আধিক্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত এমবিএ ডিগ্রিধারী থাকায় সৃজনশীলতার ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

তাই তিনি কোম্পানিগুলোকে স্প্রেডশিটের ওপর থেকে নজর সরিয়ে, বোর্ডরুম থেকে বেরিয়ে কারখানার ফ্লোরে নেমে আসার জন্য উৎসাহিত করেন।

ইলন মাস্ক বলেন, আমার মনে হয় অনেক বেশি এমবিএধারী লোকেরা কোম্পানি চালাচ্ছেন। আমেরিকার এমবিএ-করণ (এমবিএ-আইজেশন) (সমস্যা) রয়েছে। আমি মনে করি, এটা সম্ভবত দারুণ ব্যাপার নয়। পণ্য বা পরিসেবার দিকেই আরও মনোনিবেশ করা উচিত। বোর্ড সভা, আর্থিক বিষয়াদিতে কম সময় দেয়া উচিত।

তবে অনেক বিজনেস স্কুলের কর্তারা ইলন মাস্কের সঙ্গে মোটেও একমত হতে পারছেন না। তারা বরং পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, এমবিএ প্রোগ্রামগুলোতে যা পড়ানো হয় এবং যা বাস্তবতা তা ইলন মাস্কের কথার সঙ্গে মেলে না। যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে অনেক বেশি গ্র্যাজুয়েট এখন ওয়ালস্ট্রিটের বদলে উদ্যোগ ও প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে।

স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেসের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রভাষক রবার্ট সিগেল বলেন, ইলন মাস্ককে আমি অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি। তবে তিনি এমবিএ-র ওপর যেভাবে দোষ চাপিয়েছেন সেটি ভুল। ব্যবসায়ী নেতাদের কীসে বেশি নজর দেয়া উচিত এ বিষয়ে তিনি সঠিক কথাই বলেছেন। কিন্তু এমবিএ সম্পর্কে তার বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

সূত্র: ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

সিটিজেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান হলেন তৌফিকা আফতাব

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সিটিজেন ব্যাংক পিএলসির অন্যতম উদ্যোক্তা পরিচালক মিসেস তৌফিকা আফতাব সর্বসম্মতিক্রমে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।

একজন প্রথিতযশা আইনজীবী হিসেবে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি বিগত ২৬ বছর ধরে আনুগত্য, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে আসছেন। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বলিষ্ঠ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৯ সালে রাষ্ট্রপতি মিসেস তৌফিকা আফতাবকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সম্মানিত সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার সরকারি লিগ্যাল প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

দুস্থ ও সুবিধা বঞ্চিত কারাবন্দীদের আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে তিনি নিজ উদ্যোগে “লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স টু হেল্পলেস প্রিজনার্স অ্যান্ড পার্সনস (এলএএইচপি)” নামে একটি দাতব্য ও অরাজনৈতিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর গতিশীল ও সক্রিয় আইনি সহায়তার মাধ্যমে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০০০ এরও বেশি বন্দী মুক্তি পেয়েছেন।

কুমিল্লার স্কুলগুলোর মধ্যে অন্যতম এথনিকা ইংলিশ ভার্সন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। তিনি নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত করেন এবং দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োজিত আছেন। তিনি তাঁর সামাজিক কাজের জন্য বিখ্যাত এবং তিনি দেশব্যাপী অনেক দাতব্য কার্যক্রম এবং একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মহিলা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইনার হুইলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত রয়েছেন।

উল্লেখ্য, সিটিজেন ব্যাংক পিএলসি, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ থেকে তফসিলি ব্যাংক হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

৬ কোম্পানির এজিএম রবিবার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৬টি কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, আগামীকাল রবিবার দুলামিয়া কটনের এজিএম বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে, বাংলাদেশ অটোকার্সের বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্ম, ওয়াইম্যাক্স ইলেক্ট্রোডের বেলা ৯টা ৩০ মিনিটে ডিজিটাল প্লাটফর্মে, ,শাশা ডেনিমসের ১০টা ৩০ মিনিটে ডিজিটাল প্লাটফর্মে, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বেলা ১১ টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে এবং ভিএফএস থ্রেড ডাইং লিমিটেডের এজিএম বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

পেঁয়াজ-ভোজ্যতেলের সাথে চালের দামও বাড়ছে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চালের দাম আরও বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বাড়ল চার থেকে পাঁচ টাকা। আর দুই সপ্তাহে চালের দাম আট টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মিল মালিকরা দাবি করছেন, ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় চালের দাম বাড়ছে। চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানির পরামর্শ দিয়েছেন পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। এদিকে, বাজারে চালের পাশাপাশি পেঁয়াজ ও ভোজ্যতেলের দামও ঊর্ধ্বমুখী। এতে চাপে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

ব্যবসায়ীরা জানান, এখন আমন মৌসুমে মিলগুলো ধানের দাম বৃদ্ধির কথা বলে টানা চালের দাম বাড়িয়ে যাচ্ছেন। কিছু মিল সঠিকভাবে চাল সরবরাহ না করে পাইকারদের জানাচ্ছেন, তারা ধান পাচ্ছেন না। এসব কারণে বাজারে চালের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। চালের এই দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের উচিত শিগগিরই মিল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা সমাধান করা। প্রয়োজনে বেসরকারি খাতে চাল আমদানির সুযোগ দেওয়া। চালের দাম নিয়ন্ত্রণে এসব পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে বর্তমানে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৬ টাকায়, এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ৫৮ থেকে ৬২ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৫৪ থেকে ৬০ টাকা। এখন বাজারে ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে মাঝারি মানের চাল, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৫২ টাকা এবং দুই সপ্তাহ আগে ৪৮ থেকে ৫০ ছিল। আর মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা ছিল, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৪২ থেকে ৪৫ টাকা।

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে মিনিকেট ও নাজিরশাইল বা সরু চালের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আর মোটা বা স্বর্ণা ও চায়না ইরি চালের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ।

মিরপুর-১ বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে চালের দাম বাড়ছে। আগের সপ্তাহের চেয়ে গত সপ্তাহে অনেক বেশি বেড়েছে। বড় বড় মিলের ব্র্যান্ডের চালের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য কোম্পানিও চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।

এদিকে, সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজের দাম আবারও কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে। দেশি নতুন ৫০ থেকে ৫৫ টাকা ও পুরাতন পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪০ টাকা। নতুন দরে ভোজ্যতেল বাজারে ছেড়েছে কোম্পানিগুলো। আগের সপ্তাহের চেয়ে লিটারে পাঁচ টাকা বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। এখন প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকায়। আর খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ১০৫ টাকা। পাম সুপার তেলের লিটার ৯৫ থেকে ৯৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ডিমের দাম কমলেও এখন আবার হালিতে দুই টাকা বেড়েছে। আগে ফার্মের ডিমের হালি ২৮ থেকে ৩০ টাকা ছিল, এখন তা ৩০ থেকে ৩২ টাকা। কেজিতে পাঁচ টাকা কমেছে আলুর দাম। এখন প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আগের সপ্তাহের মতো কম দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

কেডিএস পরিচালকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ সংসদীয় কমিটিতে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

কেডিএস গ্রুপ কর্তৃপক্ষ তাদের কোম্পানির সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছে। বর্তমানে ওই কর্মকর্তা জেলে আছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। সংসদীয় কমিটি অভিযোগটি খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে যাচ্ছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০০৭ সালে কেডিএস গ্রুপ মনির হোসেন খানকে কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ করে। নিয়োগের পর তিনি কৌশলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এজন্য বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে ২৬টি মামলা করেছে কেডিএস গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান কেওয়াই স্টিল মিলস কোম্পানি। ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ২২২ থেকে ২৩৪ ধারা অনুসারে মামলাগুলো করা হয়েছে। তবে মামলা হলেও এখনও টাকা ফেরত পাচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটি। এজন্য সংসদীয় কমিটির সাহায্য চাওয়া হয়।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মনির হোসেন খান ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে কোম্পানির মালিকদের সব সময় সাফল্যের কথা বলতেন। অপরদিকে ৩০০ কোটি টাকা দায় থেকে হাজার কোটি টাকায় নিয়ে গেছেন। অসঙ্গতি টের পাওয়ায় তাকে ২০১৮ সালে বরখাস্ত করা হয়। ওই সময় তিনি অঙ্গীকার করে জানান, কোম্পানি যখন তাকে ডাকবে, তিনি তখন এসে হিসাব-নিকাশ বুঝিয়ে দেবেন। কিন্তু বারবার ডাকা সত্ত্বেও তিনি আসেননি। এরপর তিনি সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সরিয়ে ফেলেন।

জানা যায়, মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে এইচআর কয়েল আমদানিতে দুর্নীতি ও বন্ধুদের নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ। অথচ তার ভ্রমণের সঙ্গে কোম্পানির কোনো ব্যবসা ছিল না। তার সব ভ্রমণ টিকিটের বিপক্ষে হাতের লেখা চেক আছে। এ ছাড়াও তিনি তার নিজস্ব ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিকে দিয়ে মূল্য পরিশোধ করিয়েছেন। ক্রেডিট কার্ড স্টেটমেন্ট থেকে দেখা যায়, বড় বড় শপিং মল থেকে তিনি তার স্ত্রীর জন্য শাড়ি, গহনা, কসমেটিক ইত্যাদি কিনেছেন। মনির হোসেন খানের দুটি পাসপোর্ট রয়েছে। একটি বাংলাদেশি এবং একটি আমেরিকান, যা আমেরিকান ইমিগ্রেশন আইনের পরিপন্থী। কারণ আমেরিকান ও বাংলাদেশের মধ্যে ডুয়েল সিটিজেনশিপের চুক্তি নেই। মনির হোসেন খান চাকরিরত থাকাবস্থায় গোপন চুক্তির মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল প্লাটসের মূল্য প্রতি টনে ৪০ থেকে ৫০ ডলার বেশি দেখিয়ে অনেক অবৈধ কমিশন নিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এইচআর কয়েলের বাজারে মূল্য ধারণ করে যুক্তরাজ্যের প্লাটস নামের একটি সংগঠন।

কেওয়াই স্টিলের সিইও জাবির হোসেন অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, মনির হোসেন খান আমেরিকায় আইএনজে ভেঞ্চারের নামে অ্যাপার্টমেন্ট, মিয়ামিতে ভিলা ও জমি কিনেছেন। এমনকি হোটেল ব্যবসায় বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এমন চিঠিও আমাদের কাছে আছে। সেখানে ফ্ল্যাট-জমি কেনার নথিপত্রে তিনি বলেছেন আমেরিকায় তার আয়ের কোনো উৎস নেই। মেরিনার্স ট্রান্সপোর্ট লি. নামে যে প্রতিষ্ঠান তার বাবা-ভাই মিলে করেছেন, সেটাকে কেওয়াই স্টিলের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান দাবি করে এর মাধ্যমে পণ্য পরিবহন করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে চিঠিও দিয়েছেন। সংসদীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান জানান, কেডিএস গ্রুপের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমরা পেয়েছি। কমিটির আগামী বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা করা হবে। এরপর বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য প্রয়োজনে সাব-কমিটি গঠন করা হবে। সূত্র : যুগান্তর

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

বিদ্যুৎ খাতে অটোমেশন দ্রুত করতে হবে : নসরুল হামিদ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, গ্রাহক সেবা নির্বিঘ্ন করতে বিদ্যুৎ খাতে অটোমেশন দ্রুত করতে হবে। স্মার্ট মিটার গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন ও সাশ্রয়ী করবে। সহজে ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তি প্রচলন ও সংযোজন করা উচিত।

শনিবার বাংলাদেশ পাওয়ার ইকুইপমেন্ট ম্যানুফেকচারিং কোম্পানী লিঃ (বিপিইএমসি)- এর স্মার্ট প্রিপেইড মিটার উৎপাদন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অনলাইনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রস্তুতকৃত মিটারের গুণগত মান ঠিক রেখে প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। মিটার প্রস্তুত করার সাথে সাথে অন্যান্য ইলেকট্রিক বা ইলেকট্রনিক্স গেজেট ও যন্ত্রাদি প্রস্তুতের প্রতিও দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে, গ্রাহকরা যেন চাহিদামতো বিক্রয়োত্তর সেবা পায়।

বাংলাদেশ পাওয়ার ইকুইপমেন্ট ম্যানুফেকচারিং কোম্পানী লিঃ (বিপিইএমসি), রুরাল পাওয়ার কোম্পানী লিঃ (৫১%), শেনজেন স্টার ইনস্টুমেন্ট কম্পানি লিমিটেড(৪৯%)- এই দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গঠিত সরকার নিয়ন্ত্রিত জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানী। গত বছরের ১৯ আগস্ট জেভিএ, এওএ, এমওএ কেবিনেটে অনুমোদন হয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রিপেইড মিটার এ্যাসেম্বলিং প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে মিটার প্রস্তুত করবে। বাৎসরিক উৎপাদন ক্ষমতা ক) ১ শিফট বিবেচনায় ১৩ লাখ, খ) ২ শিফট বিবেচনায় ২৬ লাখ এবং গ) ৩ শিফট বিবেচনায় ৩৯ লাখ।বাংলাদেশে প্রায় ৪ কোটি গ্রাহক। ২০২১ সালের মধ্যে ৬৬,৫৬,০৩০ টি প্রিপেইড/স্মার্ট মিটার স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত ৩৭ লাখ মিটার স্থাপন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পাওয়ার ইকুইপমেন্ট ম্যানুফেকচারিং কোম্পানী লিঃ (বিপিইএমসি)-এর পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান মে.জে. মঈন উদ্দিন (অব.)এর সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান, পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন, আরপিসিএল (রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ আব্দুস সবুর ও শেনজেন স্টারের মহা-ব্যবস্থাপক ফেলিক্স লাও সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

 

 

 

সৌদিকে অর্থ ফেরত দিল পাকিস্তান; ঝুঁকেছে চীনের দিকে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

সৌদি আরবকে পাকিস্তান ঋণের ১০০ কোটি ডলার ফেরত দিয়েছে। রিয়াদের কাছ থেকে ইসলামাবাদ ৩৩০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল; তার মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে ১০০ কোটি ডলার ফেরত দিল। এর আগে গত জুলাই মাসে দেশটি প্রথম ধাপে সৌদি আরবকে আরও ১০০ কোটি ডলার ফেরত দেয়।

সৌদি আরবকে বাকি অর্থ পরিশোধ করার জন্য চীনের সহযোগিতা চেয়েছে ইসলামাবাদ। চীন থেকে বাণিজ্যিক ঋণ নিতে চায় পাকিস্তান। চীন যদি পাকিস্তানকে এ ধরনের ঋণ দেয় তাহলে সেই অর্থ দিয়ে সৌদি আরবের বাকি ঋণ পরিশোধ করবে ইসলামাবাদ। আগামী মাসের মধ্যে পাকিস্তানকে সৌদি আরবের এ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন হচ্ছে পাকিস্তানের অর্থ সহায়তাকারী সবচেয়ে বড় মিত্র দেশ।

অন্যদিকে, সৌদি আরবের সঙ্গে পাকিস্তানের ঐতিহাসিকভাবে দীর্ঘদিনের সামরিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল এবং রিয়াদ কখনও পাকিস্তানকে ঋণের অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেনি। কিন্তু চলতি বছরের প্রথম দিকে সৌদি আরব তার নীতি পরিবর্তন করে এবং ঋণের ৩৩০ কোটি ডলার ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মুসলমানদের ওপর দিল্লির নীপিড়নের বিরুদ্ধে সৌদি আরব নিন্দা না করায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি রিয়াদের সমালোচনা করেছিলেন। এরপরই সৌদি আরব পাকিস্তানের প্রতি রুষ্ট হয়। পরিস্থিতি শান্ত করতে পাকিস্তান তার সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে সৌদি সফরে পাঠায় কিন্তু সে প্রচেষ্টা সফল হয়নি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

ডিএসইতে পিই রেশিও বেড়েছে ২.২৬%

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

সমাপ্ত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। আগের সপ্তাহের চেয়ে পিই রেশিও বেড়েছে দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা ২.২৬ শতাংশ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৪ দশমিক ০৪ পয়েন্টে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৩ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট।

খাতভিত্তিক হিসেবে পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৮.৩ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ২৩.৬ পয়েন্টে, সিরামিক খাতে ৯২.২ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১৮ দশমিক ৩ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ২২.৯ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতে ২০.২ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ১০.২ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ২০ দশমিক ৬ পয়েন্টে, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ২২ দশমিক ৬ পয়েন্টে, পাট খাতে পিই রেশিও এক হাজার ৩৩৮.৫ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ৬১.১ পয়েন্টে, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ২.২ পয়েন্ট, পেপার ‍ও প্রিন্টিং খাতে ৫৬ দশমিক ৯ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১৫.৭ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ১৩.৬ পয়েন্টে, ট্যানারী খাতের ৪৯.৩ পয়েন্টে, টেলিকমিনেকেশন খাতে ১৩.২ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ২১.২ পয়েন্টে এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৩৬ দশমিক ৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

কালো টাকা সাদা করলে ব্যাংক পরিচালক নয়

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

যারা কালো টাকা সাদা করবেন তাদের ব্যাংকের পরিচালক মনোনীত করার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপের প্রস্তাব করেছেন অংশীজনরা। একই সঙ্গে তারা ব্যাংকিং, ব্যবসা বাণিজ্য, অর্থনীতি বিষয়ে অভিজ্ঞ ও যোগ্য ব্যক্তিদের পরিচালক নিয়োগে পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর সুপারিশ করেন।

এ ছাড়াও জাল জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের যাতে ব্যাংকের পরিচালক পদে নিয়োগ দেয়া না হয় সে বিষয়েও জোর দিয়েছেন। ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনের বিষয়ে মত দিতে গিয়ে অংশীজনরা এসব সুপারিশ করেন।

ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশাধনের একটি খসড়া বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের মতামত নেয়ার জন্য গত ১০ ফেব্রুয়ারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। ইতোমধ্যে শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মত দিয়েছে। এগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো হলে তারা সব একত্র করে একটি প্রতিবেদন বানিয়েছেন। ওই প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এতে দেখা যায়, আইনটি সংশোধনের ওপর অনেকে আকর্ষণীয় মত দিয়েছেন। তারা বলেছেন, ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সেটা পূরণের মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করতে প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করলে সুফল পাওয়া যাবে।

বর্তমানে প্রচলিত করের পাশাপাশি অতিরিক্ত ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করলে ব্যাংকের পরিচালক হতে কোনো বাধা নেই। অংশীজনরা বলেছেন, কালো টাকা সাদা করলে তাকে আর পরিচালক হওয়ার সুযোগ দেয়া যাবে না। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা সাদা করে ব্যাংকের পরিচালক হলে তিনি এখানেও দুর্নীতি করতে পারেন।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকের টাকার ৯২ শতাংশই আমানতকারীদের। বাকি ৮ শতাংশ পরিচালকদের। ৯২ শতাংশ অর্থের নিরাপত্তা দিতে কঠোর আইন ও এর প্রয়োগ দরকার। বর্তমানে এতে অনেক শিথিলতা রয়েছে। যে সুযোগে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে জাল জালিয়াতি হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ব্যাংকের পর্ষদ পেশাদার, অভিজ্ঞ ও সৎ হলে ওই ব্যাংক ভালো চলে। এমন নজির এখনো আছে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বাণিজ্যিক ব্যাংকের পর্ষদ গঠনে সতর্ক হতে হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পারিবারিক সূত্র, আত্মীয়তা বা কোনো কর্মীর যোগ্যতা না থাকলে ব্যাংকের পরিচালক নিয়োগ করা যাবে না। বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে এ ধরনের পরিচালক রয়েছে। বর্তমানে পরিচালক হতে হলে ব্যাংক, ব্যবসা বাণিজ্য বা অর্থনীতি, সামাজিক কল্যাণ যেকোনো একটি বিষয়ে কমপক্ষে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। এতে রাজনীতিবিদরাও ব্যাংকের পরিচালক হতে পারছেন। অংশীজনরা পরিচালক হওয়ার যোগ্যতা থেকে সামাজিক কল্যাণের বিষয়টি তুলে দিতে সুপারিশ করেছেন। তাহলে ব্যাংকসংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতা না থাকলে পরিচালক হওয়া যাবে না। পরিচালক নিয়োগ করার ক্ষেত্রে এমডিদের মতো তাদেরও পরীক্ষা নেয়ার বিধান করার সুপারিশ করা হয়েছে।

ব্যাংক পরিচালনায় পরিচালকদের নিয়োগ, পারফরম্যান্স, এথিকস, কমপ্লায়েন্স মূল্যায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে একটি কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। তাহলে পরিচালকদের জবাবদিহিতা বাড়বে।

বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালকদের অপসারণ করতে পারে। সরকারি ব্যাংকের পরিচালকদের অপসারণ করতে পারে না। এসব ব্যাংকের পরিচালকদের অপসারণ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থ মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করতে পারে। মতামতে সরকারি ব্যাংকের পরিচালকদের অপসারণের ক্ষমতা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। ফলে ব্যাংকিং খাতে আইনের প্রয়োগ সমানভাবে হবে এবং সুশাসনের পথ সুগম হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ রফতানিকারক সমিতির সভাপতি ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালক আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা আমরাও চাই। পর্ষদে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আসুক সেটাই আমরা চাই। পেশাদারিত্বের সঙ্গে ব্যাংক পরিচালিত হোক সেটাই আমাদের কামনা। একটি ব্যাংক গড়ে তুলতে আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়। সে বিষয়টিও যেন বিবেচনায় নেয়া হয়। এতে বলা হয়, কোনো ধরনের জাল জালিয়াতিতে জড়িত থাকলে ওই ব্যক্তি ব্যাংকের এমডি বা পরিচালক হতে পারবেন না। এ ধরনের অভিযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক প্রমাণিত হলেই তাকে বাদ দেয়া হবে। বর্তমানে জাল জালিয়াতিতে জড়িত থেকেও অনেকে পরিচালক ও এমডি হয়েছেন।

কোনো ব্যাংকে ২০ জনের বেশি পরিচালক থাকতে পারবে না। বাড়াতে হবে স্বতন্ত্র পরিচালকের সংখ্যা। প্রতি পাঁচজনে একজন করে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে। কমপক্ষে দুইজন স্বতন্ত্র পরিচালক থাকতে হবে। পাশাপাশি থাকবে আমানতকারীদের মধ্য থেকে পরিচালক। এগুলো নিয়োগ হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে।

বর্তমানে দুই বা তিনজন স্বতন্ত্র পরিচালক থাকে। এদের নিয়োগে বাছাই করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পর্ষদ। ফলে তাদের পছন্দের ব্যক্তিরাই এসব পদে বসেন। যে কারণে তারা আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারেন না।

তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করে, পর্ষদের সর্বোচ্চ ২০ জন পরিচালক থাকতে পারবেন, এর মধ্যে ১১ জন হবেন স্বতন্ত্র ও আমানতকারীদের মধ্য থেকে। তাহলে পর্ষদে ভারসাম্য বজায় থাকবে। বর্তমানে উদ্যোক্তা পরিচালকের সংখ্যা বেশি হওয়ায় তারা এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাংকিং ব্যবসাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছেন।

পরিচালকদের নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন এ মর্মে ঘোষণা দিতে হবে। কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে পর্ষদে কোনো পরিবার এককভাবে ৫ শতাংশ বেশি ভোটাধিকার দিতে পারবে না। বর্তমানে তারা ১০ শতাংশ দিতে পারে।

ব্যাংক পরিচালনার নীতি প্রণয়নে পর্ষদ গঠনেও নতুন বিধান সংযোজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। ব্যাংকিং, ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ, চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট এসব বহুবিদ পেশার লোকজনের সমন্বয়ে পর্ষদ গঠন করতে হবে। এর মধ্যে ব্যাংক পরিচালকদের অর্ধেকের বেশি ব্যাংকিং, হিসাববিজ্ঞান, ফাইন্যান্স, অর্থনীতি, কৃষি ও গ্রামীণ অর্র্থনীতি, ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প, আইসিটি এবং অন্যান্য এক বা একাধিক বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পেশাদার জ্ঞান ও বাস্তবসম্মত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আগে এ ব্যাপারে কোনো নীতিমালা ছিল না। ফলে পর্ষদে সব পেশার পরিচালক থাকতেন না। সূত্র : যুগান্তর

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে জেএমআই সিরিঞ্জ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক শেয়ার দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছে জেএমআই সিরিঞ্জ লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্যমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানির দর বেড়েছে ২৩.০১ শতাংশ। শেয়ারটি সর্বমোট ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ১১ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ৮ কোটি ৩৭ লাখ ২ হাজার টাকা।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড দর বেড়েছে ২১.৯২ শতাংশ। শেয়ারটি সর্বমোট ৯ কোটি ৯০ লাখ ৬২ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ২ কোটি ৪৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং দর বেড়েছে ১৮.৬৬ শতাংশ। শেয়ারটি সর্বমোট ৭২ কোটি ৮৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ১৮ কোটি ২১ লাখ ৪২ হাজার টাকা।

তালিকার অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে– এস.এস স্টিল ১৬.৭৮ শতাংশ, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ ১৬.০৮ শতাংশ, সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড ১৪.৬৩ শতাংশ, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ ১২.৫০ শতাংশ, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস ১১.৭২ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ১০.৫৭ শতাংশ এবং এমআই সিমেন্ট ফ্যাক্টরি লিমিটেডের দর ১০.৫০ শতাংশ দর বেড়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/