জেএমআইয়ের উৎপাদিত কেএন৯৫ মাস্কের যাত্রা শুরু

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী বিশ্বমানের কেএন নায়েন্টি ফাইভ মাস্ক নিয়ে বাজারে এলো দেশে চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদন খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং। সোমবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই মাস্ক বাজারজাতের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)-এর সভাপতি প্রফেসর ইকবাল আর্সলান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেএন৯৫ মাস্কের কথা এতদিন শোনা গেলেও, এখন বিশ্বমানের কেএন নায়েন্টিফাইভ মাস্ক আমাদের হাতের নাগালে। কেএন৯৫ মাস্ক বাজারে আনার মাধ্যমে দেশে একটি ইতিহাস তৈরি করেছে জেএমআই। এজন্য জেএমআই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রাজ্জাকের দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা মেনে করোনা প্রতিরোধ করায় ভাইরাস মোকাবিলায় এখন বিশ্বে শীর্ষ স্থানে থেকে অনন্য নজির স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। চীনের উহানে যখন প্রথম কোভিড মহামারি শুরু হয়, তখন সেখানে সুরক্ষা সামগ্রী দিয়ে সহায়তা দেয়ায় জে এম আই গ্র“পকে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাচিপের সভাপতি ইকবাল আর্সলান বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরুতে প্রস্তুতি অপর্যাপ্ত ছিল। তবে, সেসময় জেএমআইকে পাশে পেয়েছি আমরা। শুরুতে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ৪ লাখ করোনা শনাক্তের জন্য লালা সংগ্রহের কাঠি (সোয়াব স্টিক) সরবরাহ করে জেএমআই। তিনি বলেন, শতভাগ কেএন৯৫ মাস্ক এতদিন আমদানি নির্ভর ছিল, এখন জনগণের সেবায় তা সাশ্রয়ী মূল্যে দিচ্ছে জেএমআই। প্রতিষ্ঠানটির উদ্যমী ও দৃঢ় মনোবলের কারনে এটি সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন স্বাচিপ সভাপতি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন জেএমআই গ্রুপের চেয়ারম্যান জাবেদ ইকবাল পাঠান। তিনি বলেন, করোনাকালে জেএমআই গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ডিএনএ সল্যুশনের ল্যাবের আরটিপিসিআর মেশিনে প্রায় ১০ হাজার পুলিশ সদস্যের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। আবার সরবরাহ করা হয়েছে কোভিড চিকিৎসার ঔষধপত্র। এই ল্যাবে করোনার জিনম সিকোয়েন্স করছেন বেশ কয়েকজন গবেষক ও শিক্ষক, যারা ইতোমধ্যে ভাইরাসের গতিপ্রকৃতির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চিহ্নিত করতে পেরেছেন।

জেএমআই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রাজ্জাক বলেন, মাস্কটিতে থাকছে পাঁচ স্তরের সুরক্ষা। এর মধ্যে তিন স্তরে থাকছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ফিল্টার পেপার। পরীক্ষামূলক উৎপাদন শেষে দেশ-বিদেশের পরীক্ষাগারে মাস্কের মান ও যোগ্যতা পরীক্ষা করা হয়েছে। আবদুর রাজ্জাক আরও বলেন, ১০০ টাকায় প্রতিটি মাস্ক বিক্রি করবে জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড। গত বছরের এপ্রিলের পর দেশে যখন কোভিড রোগীর শনাক্ত এবং মৃত্যুর হার বাড়তে শুরু করেছিল, তখন আন্তর্জাতিক মানের ফেস মাস্কসহ নানা সরঞ্জাম তৈরি করে আমরা সরকারকে সহায়তা দেই। যা ওই দুঃসময়ে দেশের অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দেয়া সম্ভব ছিলোনা।

করোনা প্রতিরোধী এন নায়েন্টিফাইভ, কেএন নায়েন্টিফাইভ কিংবা এফএফপিটুর মতো মাস্ক উৎপাদন হয় যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, দক্ষিণ-কোরিয়া ও ইউরোপের কিছু দেশে। বাংলাদেশে এসব মাস্ক উৎপাদনের কোনো মানদন্ড না থাকায় চীনের নীতিমালা মেনে দেশে কেএন নায়েন্টিফাইভ মানের মাস্ক উৎপাদন করেছে জেএমআই। প্রায় এক বছর গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে নতুন এই পণ্যটি তৈরি করেছে তারা।

জেএমআই গ্রুপ দীর্ঘ ২১ বছর চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদন ব্যবসায় যুক্ত। কেএন৯৫ মাস্ক তৈরিতে তাদের সাথে যৌথ বিনিয়োগে আছে চীনা পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লিজ ফ্যাশন। দিনে প্রায় ৪০ হাজার পিস মাস্ক উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে জেএমআইয়ের। যে ধরনের মাস্ক দিয়ে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষুদ্র জীবাণু প্রতিরোধ করা যায়, সেটাই হলো এন৯৫ মাস্ক। মূলত ভাইরাস নিয়ে কাজ করেন, এমন ব্যক্তিরা এই মাস্ক পরে থাকেন। বিশ্বে খুবই স্বল্প পরিচিতি থাকা এই পণ্য করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে রাতারাতি চলে এসেছে মানুষের মুখে মুখে।

স্টকমার্কেটবিডি

 

ব্লক মার্কেটে ১৯ কোটি টাকার লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার ব্লক মার্কেটে মোট ৩১ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৬০ লাখ ৯৭ হাজার ৪২৬টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সোমবার ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে এসএস স্টিল লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটি ৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

রবি ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

ব্রাক ব্যাংক ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে-অ্যাক্টিভ ফাইন, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন, বিডি ফিন্যান্স, বেক্সিমকো, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, সিএপিএম আইবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, ডিবিএইচ, ডরিন পাওয়ার, জিবিবি পাওয়ার, গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, গ্রীণডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড, খুলনা প্রিন্টিং, মোজাফফর হোসাইন স্পিনিং, এমটিবি, ন্যাশনাল ফিড মিল, ন্যাশনাল হাউজিং ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, ফার্মা এইডস, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এসকে ট্রিমস, সোনালী আঁশ, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, স্কয়ার ফার্মা, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ও ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বাংলাদেশ চুক্তি অনুযায়ী ঠিক সময়ে টিকা পাবে: বেক্সিমকো ফার্মা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ঠিক সময়েই কোভিড-১৯–এর টিকা পাবে বলে জানিয়েছে সেরামের বাংলাদেশি অংশীদার বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।

প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজা আজ দুপুরে বলেন, বাংলাদেশ সরকার, বেক্সিমকো ও সেরাম ইনস্টিটিউটের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে, স্থানীয় অনুমোদনের পর (বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন) সেরাম ইনস্টিটিউট এক মাসের মধ্যেই প্রথম ধাপের টিকা সরবরাহ করবে।

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকা ভারতে উৎপাদন করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকা সেরাম তৈরি করবে ‘কোভিশিল্ড’ নামে। ওই টিকা কেনার জন্য সরকার গত ১৩ ডিসেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি করে। ওই চুক্তি অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে শুরু করে পরবর্তী ছয় মাসে ৫০ লাখ করে মোট তিন কোটি টিকা পাওয়ার কথা বাংলাদেশের।

ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) গতকাল রোববার সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের দেয়।

ভারতের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের টিকা প্রাপ্তিতে সহায়তা করবে মনে করা হচ্ছিল। সূত্র : প্রথম আলো

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বাড়ছে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

করোনার তাণ্ডব বাড়তে থাকলে গত বছর বাড়তে থাকে স্বর্ণের বিনিয়োগ। মন্দা অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যেই স্বর্ণের দাম বাড়ার রেকর্ড ভাঙে কয়েক দফা। এ বছরের শুরুতেও দাম বাড়ার আভাস মিলছে স্বর্ণের বাজারদরের প্রতিমুহূর্তের হাল-নাগাদ তথ্য তুলে ধরা সংস্থা গ্লোডপ্রাইসের তথ্যে। এখন বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ফলে বিনিয়োগের অন্যতম নিরাপদ মাধ্যম এই স্বর্ণের দাম বাড়ছে।

গ্লোডপ্রাইসের তথ্য অনুযায়ী, ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা থাকলেও গত ১ জানুয়ারি কোনো উত্থান হয়নি স্বর্ণের বাজারের। তবে, এরপর দুদিন বন্ধের পর আবার লেনদেন শুরু হয় আজ।
আজ লেনদেনের চিত্রে দেখা যাচ্ছে, আগের দিনের সর্বশেষ দামের তুলনায় প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৩০.০৭ ডলার। আর ১ আউন্স স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯২৫ ডলার (বাংলাদেশ সময় দুপুর)।

গত ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ১ মাসের ব্যবধানে ১ আউন্স স্বর্ণের দাম গড়ে বেড়েছে ২৯.১৭ ডলার। আর ৬ মাসের ব্যবধানে বাড়ে ১০৭.৫৩ ডলার। ১ বছরে এই বেড়েছে ৩৬৯.১৬ ডলার।

এখন আন্তর্জাতিক বাজারে রূপার দামও ঊর্ধ্বমুখী। একদিনের ব্যবধানে রূপার দাম বেড়েছে প্রায় ১ ডলার (দশমিক আট তিন)। প্রতি আউন্স রূপা হাতবদল হচ্ছে ২৭.১৪ ডলারে। প্রতি আউন্স রূপার দাম ১ মাসে বেড়েছে প্রায় ২ (১.৭৫) ডলার। ৬ মাসের ব্যবধানে ৮ ডলার আর ১ বছরে ধাতুটির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৮.২৪ ডলার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

পাঁচদিনের বিসিক মেলা চলছে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) উদ্যোগে পাঁচদিনব্যাপী মেলা চলছে। মেলাটি শুরু হয়েছে গতকাল ৩ জানুয়ারি। চলবে বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) পর্যন্ত।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিসিক উদ্যোক্তাদের সহযোগিতায় এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বিসিক ভবনে এ মেলায় প্রায় ৬১ জন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পোদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করবেন।

মেলার সব স্টলে হস্ত ও কুটিরশিল্পজাত বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী স্থান পাবে। পাশাপাশি বিসিক থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের পসরা থাকবে।

মেলা প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উম্মুক্ত থাকবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

১ম বারের মতো ৩০ হাজার ডলার ছাড়ালো বিটকয়েনের বাজার

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বড় বিনিয়োগকারীদের ব্যবসায়ে বিনিয়োগ ও লভ্যাংশের কারণে গত বছরেই প্রায় চারগুণ বেড়েছে বিটকয়েনের বাজারমূল্য।

প্রথমবারের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের বাজারমূল্য ৩০ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। প্রথমবারের মতো বাজারমূল্য ২০ হাজার মার্কিন পেরোনোর কয়েক সপ্তাহ পরই ৩০ হাজার ডলার পেরোনোর নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে বিটকয়েন।

বড় বিনিয়োগকারীদের ব্যবসায়ে বিনিয়োগ ও লভ্যাংশের কারণে গত বছরেই প্রায় চারগুণ বেড়েছে বিটকয়েনের বাজারমূল্য।

অনেক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মার্কিন ডলারে দরপতনের সাথে সাথে আরও বেড়ে যেতে পারে বিটকয়েনের মূল্য।

মহামারির শুরুর দিকে গত মার্চে ডলারে দর বাড়লেও পরবর্তী মাসগুলোতে ক্রমাগত ডলারের দরপতন হয়েছে। ২০১৭ সালের পর থেকে ২০২০ সালে শেষে এসে ডলারের সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে।

মার্কিন ডলার ও পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মতো একই পদ্ধতিতেই বিটকয়েনের বিনিময় হয়। সম্প্রতি অনলাইন লেনদেনের জনপ্রিয় মাধ্যম পে-পাল সরাসরি পে-পাল অ্যাকাউন্তের মাধ্যমেই এ ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে লেনদেন করা যাবে এমন ঘোষণা দেয়।

তবে বিটকয়েনের মান সবসময়ই পরিবর্তনশীল।

ইতোপূর্বে ২০১৭ সালেও বিটকয়েনের বাজারমূল্য ২০ হাজার ডলার অতিক্রম করার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায়, তবে এর কিছুদিনের মধ্যেই এর দরপতন হয়ে বাজারমূল্য দাঁড়ায় মাত্র সাড়ে ৩ হাজার ডলার।

গত বছর নভেম্বরে ১৯ হাজার ডলার বাজারমূল্য হওয়ার পরপরই আবার দরপতন হয়।

গত অক্টোবরেই লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে বিটকয়েন ব্যবহারের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেন ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি। লেনদেনের মাধ্যম হিসবে বিটকয়েন ব্যবহার সম্পর্কে তিনি চিন্তিত জানিয়ে বিনিয়োগকারীদের এর অস্থিতিশীল বাজারদর সম্পর্কে সতর্ক করেন। সূত্র: বিবিসি

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো লিমিটেড

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ সোমবার লেনদেনের শীর্ষ স্থান দখল করেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। কোম্পানিটির মোট ২৫৩ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সোমবার কোম্পানিটি মোট ৪ কোটি ৩ লাখ ৬৮ হাজার শেয়ার হাতবদল করেছে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা লিমিটেড। কোম্পানিটির ১ কোটি ৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৫৭টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২০৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

লংকাবাংলা ফিন্যান্স তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কোম্পানিটির ৩ কোটি ৪২ লাখ ৪১ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১২৪ কোটি ২ লাখ টাকা।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- লাফার্জহোলসিম, আইএফআইসি, পাওয়ার গ্রীড, স্কয়ার ফার্মা, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, ন্যাশনাল ব্যাংক ও বিডি ফিন্যান্স লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে প্রণোদনার ঋণ বিতরণের সময় বাড়ল

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে, প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ বিতরণের সময় আরও তিন মাস বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৩১ মার্চের মধ্যে তহবিলের পুরো অর্থ বিতরণ করতে হবে ব্যাংকগুলোকে। রবিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের জন্য প্রধানমন্ত্রী ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেন। নানা জটিলতায় এই প্যাকেজের সুবিধা পায়নি উদ্যোক্তারা। এজন্য ঋণ বিতরণের সময় তিন মাস বাড়ানো হলো। আগামী ১৭ জানুয়ারির মধ্যে বিতরণ নিশ্চিত করতে কর্মপরিকল্পনা জানাতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই প্যাকেজের আওতায় সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে।

অক্টোবর পর্যন্ত এই প্যাকেজ থেকে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে বিভিন্ন ব্যাংক। বিতরণের এই হার ৪০ শতাংশেরও কম।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলগুলো আধুনিকায়ন করে চালুর আহ্বান

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশ ও বিশ্বব্যাপী পাটের চাহিদা পূরণে রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলগুলো আধুনিকায়ন করে চালুর আহ্বান জানিয়েছেন পাট-সুতা ও বস্ত্র কল শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক সহিদুল্লাহ চৌধুরী।

আজ সোমবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান তিনি।

সহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘পাটপণ্য রপ্তানির সুযোগ হাতছাড়া হলে, তা হবে দেশের অর্থনীতি জন্য আত্মঘাতী। কারণ এটা দেশের শিল্প ও কর্মসংস্থানের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।’ তিনি বলেন, ‘দেশ ও বিশ্বব্যাপী পাটের চাহিদা পূরণে রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলগুলো আধুনিকায়ন করে চালুর আহ্বান জানাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল আহসান। এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মছিউদ্দৌলা, রুহিন হোসেন প্রিন্স, আসলাম খান, আবুল কালাম আজাদ, মো. আনোয়ার হোসেন, কিশোর রায় প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী পাটজাত পণ্যের বিপুল চাহিদার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ এবং ভারত পাট ও পাটপণ্য উৎপাদনকারী প্রধানতম দুটি দেশ। ভারতের নিজস্ব চাহিদা পূরণ করে রপ্তানি করার মতো সামর্থ্য নেই। তাই এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বাংলাদেশের জন্য দ্রুত বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। অথচ পাটশিল্প নিয়ে পূর্বাপর ভাবনা চিন্তা, গবেষণা, সার্ভে না করে রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বন্ধ পাটকল শ্রমিকদের দুর্দশা তুলে ধরে মিল চালু ও পাওন পরিশোধ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, পাটপণ্য রপ্তানির সুযোগ গ্রহণ করলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। যা দেশের শিল্প ও অর্থনীতিতে নতুন গতি সঞ্চার করবে। এজন্য ও রপ্তানির পণ্য তৈরি করতে আগ্রাসী নীতি গ্রহণ করতে হবে। সরকার এবিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়। একইসঙ্গে আধুনিকায়ন করে পাটকল চালুর সুপারিশ করায় পাটকলবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পাটকল চালুর জন্য চীনের সরকার কর্তৃক প্রস্তাবিত এমওইউ’র ভিত্তিতে পাটকল আধুনিকায়ন অথবা শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) প্রস্তাবিত এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল আধুনিকায়ন ও চালুর আহ্বান জানানো হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

  1. বেক্সিমকো লিমিটেড
  2. বেক্সিমকো ফার্মা
  3. লংকা বাংলা ফাইন্যান্স
  4. লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ
  5. আইএফআইসি ব্যাংক
  6. পাওয়ার গ্রিড
  7. স্কয়ার ফার্মা
  8. বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল
  9. ন্যাশনাল ব্যাংক
  10. বিডি ফাইন্যান্স লিমিটেড।