সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো লিমিটেড

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের ব্যাবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষস্থান দখল করেছে বেক্সিমকো লিমিটেড লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৯৩৪ কোটি ৪৪ লাখ ২৮হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটি কোম্পানিটির ১০ কোটি ৭৫ লাখ ৯৭ হাজার ৮১৮টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস। কোম্পানিটির ২ কোটি ৮২ লাখ ৪৮ হাজার ৪১৫ টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৫৬৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

রবি আজিয়াটা লিমিটেড তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কোম্পানিটির ৭ কোটি ৯৬ লাখ ৪৭ হাজার ৫৮০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৪৩৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৩৭৪ কোটি, সামিট পাওয়ারের ১৯৭ কোটি, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালসের ১৯৩ কোটি, এনার্জি প্যাক পাওয়রের ১৮৪ কোটি, বিএটিবিসির ১৭৭ কোটি, ইউনাইটেড পাওয়ারের ৯৭ কোটি ও সিটি ব্যাংকের ৯৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ

অ্যাপলের রেকর্ড মুনাফা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বড় দিন উপলক্ষে মোবাইল, ল্যাপটপ বিক্রিতে রেকর্ড গড়েছে জায়ান্ট কোম্পানি অ্যাপল। ২০২০ এর শেষ তিন মাসেই ১১১ বিলিয়ন ডলারের বিক্রি করেছে। যা তার আগের বছরের চেয়ে ২১ শতাংশ বেশি।

করোনা মহামারি যেন আরও আশীর্বাদ হয়ে এসেছে অ্যাপলের জন্য। মহামারির এ সময় ঘরমুখী মানুষের অন্যতম সঙ্গী মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ। আগ্রহ বেড়েছে নতুন নতুন প্রযুক্তি পণ্যের প্রতি। অনলাইনভিত্তিক কেনাকাটাও অনেক বেড়েছে। ঘরবন্দি মানুষের এ আগ্রহ অ্যাপলকে সুযোগ করে দিয়েছে।

সারাবিশ্বে অ্যাপলের ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন সচল ডিভাইস আছে। এরমধ্যে ১ বিলিয়ন আইফোন। অ্যাপল তার নতুন মডেলের আইফোন-১২ দিয়ে বাজার বাজিমাত করেছে। রেকর্ড সংখ্যক ক্রেতা তাদের পুরানো মোবাইলটি পরিবর্তন করে আরও উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয়ের আইফোন-১২ বেছে নিয়েছে। অ্যাপল পণ্যের চাহিদা চীন, হংকং, তাইওয়ানে বেড়েছে ৫৭ শতাংশ, ইউরোপে ১৭ শতাংশ আর আমেরিকায় বেড়েছে ১১ শতাংশ।

অ্যাপেলের চিফ ফাইনান্সিয়াল অফিসার লুকা মায়েস্ট্রি বলেন, অ্যাপল পণ্য সারা বিশ্বেই ভালো করছে। গেলো বছর আমাদের বেশ ভালো কেটেছে। এখন আমরা মার্চ পর্যন্ত বছরের শুরুর চতুর্থাংশের লক্ষ্যের দিকে তাকিয়ে আছি।

বিশ্লেষক ড্যান ইভস অ্যাপলের পুরানো ফোনের পাশাপাশি নতুন ফোনের প্রযুক্তির সমন্বয় আর বিক্রির সাফল্য আখ্যা দিয়েছেন ‘সুপার সাইকেল’ হিসাবে।

অ্যাপল জানায়, শেষ তিন মাসে তাদের ২৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার লাভ হয়েছে। যা আগের বছরের চেয়ে ২৯ শতাংশ বেশি।

শুধু আইফোন নয়, অন্য মোবাইল কোম্পানি, মাইক্রসফট, ফেসবুক, হোয়ার্টসঅ্যাপেরও মুনাফা বেড়েছে। করোনায় অনলাইন কেনাকাটা বাড়ার ফলে ৩০ শতাংশ বেশি লাভ হয়েছে ফেসবুকের। হোয়ার্টস অ্যাপ, ইনস্ট্রাগ্রামের ব্যবহার বেড়েছে ২০১৯ সালের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ

২১ দিনের রেমিট্যান্স সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চলতি বছরের প্রথম ২১ দিনে দেশে ১৪৫ কোটি ৮৭ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা বাংলাদেশের প্রায় ১২ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)। মাসের শেষে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ অবশ্য আগের মাসের মতো ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম ২১ দিনে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে ৪১ কোটি ডলার এসেছে। এরপর ডাচ্–বাংলা ব্যাংক ১৭ কোটি, অগ্রণী ব্যাংক ১৫ কোটি ও সোনালী ব্যাংক ৯ কোটি ডলার এনেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যেখানে ১৪৫ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় আসে, সেখানে মার্চে তা কমে ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলারে নামে। তা ২০১৯ সালের একই মাসে ছিল ১৪৫ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। করোনাভাইরাস প্রকট আকার ধারণ করায় এপ্রিলে প্রবাসী আয় আরও কমে হয় ১০৮ কোটি ডলার। তবে এরপরই প্রবাসী আয় বাড়তে থাকে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিরও নতুন নতুন রেকর্ড হতে শুরু করে।

মে মাসে রেমিট্যান্স আসে ১৫০ কোটি ডলার, যা জুনে বেড়ে দাঁড়ায় ১৮৩ কোটি ডলার। আর ঈদের আগের মাস জুলাইয়ে এক লাফে প্রবাসী আয় ২৬০ কোটি ডলারে ওঠে। কোনো একক মাস হিসেবে এই আয় এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এরপরে আগস্টে ১৯৬ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে ২১৫ কোটি ডলার, অক্টোবরে ২১০ কোটি ডলার, নভেম্বরে ২০৭ কোটি ডলার ও ডিসেম্বরে ২০৫ কোটি ডলার আসে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ

ওয়ালটন ফ্রিজ: ২০২১ হবে বাম্পার সেলস ইয়ার

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

করোনাভাইরাস মহামারির দুর্যোগ কাটিয়ে দেশের ফ্রিজ বাজারে এসেছে স্বাভাবিক গতি। সেইসঙ্গে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন ফ্রিজের চাহিদা ও বিক্রিও করোনা পূর্ববর্তী স্বাভাবিক ধারায় ফিরে এসে। যার প্রেক্ষিতে ফ্রিজ বিক্রিতে ওয়ালটন টার্গেট নিয়েছে- ২০২১ হবে বাম্পার সেলস ইয়ার বা বর্ষ।

অর্থাৎ, ২০২১ এ বিগত যেকোনো বছরের চেয়ে বেশি পরিমাণ ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্য নিয়ে সকল প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা নিয়েছে দেশের এই ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট।

সূত্রমতে, বিগত বছরগুলোর মধ্যে ওয়ালটনের সবচেয়ে বেশি ফ্রিজ বিক্রি হয়েছিল ২০১৯ এ। সেবছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সময়ে ২০ লাখেরও বেশি ফ্রিজ বিক্রি হয়েছিল ওয়ালটনের। ২০২১ সালে তার ওই বিক্রিকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার টার্গেট নিয়েছেন তারা।

টার্গেট পূরণে গবেষণা ও উন্নয়ন (আরএনডি), ডিজাইন, উৎপাদন, মান নিয়ন্ত্রণ বা কিউসি, বিপণন, ব্র্যান্ডিং ও সেলস সকল বিভাগে নেয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও কর্মপরিকল্পনা। যার অংশ হিসেবে ওয়ালটন পতাজা ও সেলস আউটলেটগুলোতে সর্বোচ্চ সংখ্যক ডিজাইন ও মডেলের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার। বছরজুড়ে বাজারে ছাড়বে বৈচিত্র্যময় ডিজাইন, কালার, ও ফিচারের নতুন নতুন মডেলের ফ্রিজ। সম্ভাবনাময় ব্ল্যাঙ্ক পয়েন্টে চালু করছে নতুন প্লাজা ও সেলস আউটলেট। এদিকে সারা দেশে চলছে ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ৯। এর আওতায় এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেড় শতাধিক ক্রেতা ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ফ্রি পেয়েছেন আরেকটি নতুন ফ্রিজ। এছাড়া হাজার হাজার ক্রেতা পেয়েছেন আকর্ষণীয় অঙ্কের ক্যাশ ভাউচার।

ওয়ালটনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইভা রিজওয়ানা নিলু বলেন, করোনায় গত বছর দেশের সকল ব্র্যান্ডেরই ফ্রিজ বিক্রি কম হয়েছে। ২০২০ সালে ওয়ালটনের প্রায় ১৪ লাখ ফ্রিজ বিক্রি হলেও মার্কেট শেয়ার ছিলো ৭০ শতাংশের বেশি। যা নিঃসন্দেহে সন্তোষজনক। এরইমধ্যে করোনার দুর্যোগ কাটিয়ে ওয়ালটন ফ্রিজের চাহিদা ও বিক্রিতে স্বাভাবিক গতি ফিরে এসেছে। যার প্রেক্ষিতে চলতি বছর ২০১৯ সালের চেয়ে বেশি ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নিয়েছি।

ওয়ালটনের আরেক ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এমদাদুল হক সরকার বলেন, ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট পূরণে বিপণন কৌশল ও ব্যাপক ব্র্যান্ডিং এর প্রতি বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে। সেজন্য ২০২১ সালকে ‘ব্র্যান্ডিং ইয়ার’ বা বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে ২ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে চলছে ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ৯। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ ক্রয়ে প্রতি ঘন্টায় ফ্রি ফ্রিজসহ কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে।

ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দেশের সর্বত্র প্রতিমাসে ওয়ালটন ফ্রিজের ব্যাপক ব্র্র্যান্ডিং করা হচ্ছে। সার্বিক প্রস্তুতি বিবেচনায় চলতি বছরে ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট পূরণে ওয়ালটন সফল হবে বলে তিনি আশাবাদী।

ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম বলেন, ওয়ালটন ফ্রিজ বিক্রিতে ২০২১ সাল হবে বাম্পার সেলস ইয়ার। সেলক্ষে প্রয়োজনীয় সব পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

ওয়ালটন ফ্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইও প্রকৌশলী আনিসুর রহমান মলিতক বলেন, এ বছর ফ্রিজের ডিজাইন, কালার, মডেল ও ফিচারে বৈচিত্র্য আনার উপর অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটন ফ্রিজে সংযোজন করা হচ্ছে স্মার্ট ফিচার। ডিজাইনেও থাকবে বৈচিত্র্যতা। এরইমধ্যে সাইড বাই সাইড ডোরের কয়েকটি বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের কয়েকটি নতুন মডেল। এ বছর অত্যাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ সাইড বাই সাইড ডোরের স্মার্ট ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হবে। বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটনই এই মডেলের ফ্রিজ উৎপাদন করছে।

ওয়ালটন ফ্রিজের সিইও আরো বলেন, গ্রাহকদের উচ্চ গুণগতমানের পণ্যের পাশাপাশি সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সুবিধাও প্রদানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জন করাকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে ওয়ালটন। সেজন্য ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্টের সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। আইএসও সনদপ্রাপ্ত ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে বিস্তৃত ৭৬টি সার্ভিস সেন্টারের থেকে গ্রাহকদের দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও ফ্রিজের চিফ অপারেটিং অফিসার ইউসুফ আলী জানান, ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট বিবেচনায় আরএনডি, ডিজাইন, উৎপাদন লাইন, কিউসি উৎপাদন প্রক্রিয়ার সর্বত্র ব্যাপক বিভাগ সর্বত্র সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাঁচামালের পর্যাপ্ত মজদু নিশ্চিত করা হয়েছে। আমেরিকা, জার্মানি, জাপানের মতো উন্নত বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মেশিনারিজ দিয়ে ফ্রিজের আনুষঙ্গিক যন্ত্র্যাংশ ও ফ্রিজ উৎপাদন করা হচ্ছে। কারখানায় বর্তমানে প্রতিদিন সাড়ে সাত হাজার ফ্রিজ উৎপাদন করা হচ্ছে। ফ্রেব্রুয়ারি মাস থেকেই দৈনিক উৎপাদন ১০ হাজার ইউনিট পর্যন্ত বাড়ানো হবে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশের সেরা রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ডের মর্যাদাস্বরূপ ওয়ালটন ফ্রিজ সাতবার ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে। এছাড়া ওয়ালটন ‘সুপার ব্র্যান্ড ২০২০’ খেতাব পাওয়ার পাশাপাশি ২০২১ সালের জন্য ‘সুপারব্র্যান্ড’ এর সম্মাণনা পেয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ

হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দিনাজপুরের হাকিমপুরে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

বন্দরের কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল আজিজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, হাকিমপুর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে শনিবার এখানে সাধারণ ছুটি থাকায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। একারণে দুই দেশের মধ্যে সকাল থেকে এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

রবিবার থেকে বন্দরের সকল কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ

ঢাকায় আরও একটি সফটওয়্যার পার্ক হচ্ছে : পলক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ভবিষ্যত প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দিতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা অতি প্রয়োজন। তাই তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট নামে একটি বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকায় আরও একটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। শুক্রবার আইইবি সদর দফতরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন ঢাকা কেন্দ্র ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে তিনদিনের মেন্টর ডেভলপমেন্ট ক্যাম্প ‘ইউনিবেটর’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ আবদুস সবুর, প্রকৌশলীদের শীর্ষ সংগঠন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন (আইইবি) প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী নুরুল হুদা, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা আইইবির ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোল্লা মোহাম্মদ আবুল হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা নতুন একটি প্রকল্প নিয়েছি প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ যেটা প্রাইম নামে অল্পদিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থাপন করতে পারব। এ প্রকল্পে আমাদের যে জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক আছে, তার পাশে নতুন একটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্টার ফর ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রি রেভোলিউশন স্থাপন করা হবে, যেখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, বিগ ডেটা এ্যানালাইটিকস, ব্লকচেইন, রোবটিকস-এসব বিষয়ে গবেষণা হবে। মেন্টর ডেভলপমেন্ট ক্যাম্প উদ্যেগ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০ জন মেন্টর নিজ উদ্যেগে এগিয়ে এসেছেন এ অনুষ্ঠানে। ইউনিবেটর ক্যাম্পের মাধ্যমে সুপ্ত প্রতিভাগুলো সামনে নিয়ে আসতে চাই। আমাদের তরুণদের মেধার কোন ঘাটতি নেই, তাদের শুধু সঠিক প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা করা প্রয়োজন। সে কাজটি করার জন্য ইউনিবেটর প্রশিক্ষণ উদ্যোগ কাজ করবে।

জুনায়েদ আহমেদ বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে ভবিষ্যত প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরির নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু পার হয়ে (মাদারীপুরের শিবচরে) হাতের ডান ৭০ একর জায়গায় শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি (সিফট) স্থাপন করা হবে। অর্থাৎ পুরো বিশ্বের যে প্যারাডাইমে সিফট হতে যাচ্ছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নেতৃত্ব দিতে এ ইনস্টিটিউট তৈরি করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

পলক বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে অনেক কিছুই নতুন হচ্ছে, আবার বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, সেজন্য নতুন যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে হবে। নতুন পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে না পারলে টিকে থাকা কঠিন হবে। হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ৩৯টি হাইটেক পার্ক তৈরি প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যার পাঁচটির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এছাড়া ২০১৫ সালে জনতা পার্ক শুরু করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের যাতে সনদমুখী না হয়ে কর্মমুখী শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হয় সেজন্য ২০১৬ সালে ৬৪ জেলায় শেখ কামাল ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়। তিনি বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পাস করার পর যারা কর্মজীবনে প্রবেশ করতে চায়, তারা যেন একটি ৬ মাসের কোর্স করিয়ে বা ১২ মাসের একটি ডিপ্লোমা কোর্স করে কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে, ফ্রিল্যান্সার বা আউটসোসিং করতে পারে, ঢাকামুখী বা বিদেশমুখী না হয়, সেই লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ৮টি শেখ কামাল ‘আইটি ট্রেইনিং এ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার’ নির্মাণ কাজ শেষ হবে, বাকিগুলো আগামী ৫ বছরের মধ্যে নির্মাণ করা হবে। ২০৪১ সাল নাগাদ এসব ট্রেইনিং সেন্টার থেকে ১০ লাখের বেশি তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং ৫ লাখের বেশি কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, ২০২১ সালে মধ্যে বুয়েট ও চুয়েটে বিজনেস ইনকিউবেটর সেন্টার স্থাপন করা হবে। আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের ভেতরে উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছা লক্ষ্য করি, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না অনেক সময়। তাদের স্বপ্ন বাস্তবে রূপদান করতে তাদের সহযোগিতা করতে এ ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ