স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক:
বিদায়ী সপ্তাহে (২৫ থেকে ২৯ এপ্রিল) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ০.২৩ পয়েন্ট কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৭.১৪ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৬.৯১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.২৩ পয়েন্ট বা ১.৩৪ শতাংশ কমেছে।
সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.১৬ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৫.৪০ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ২২.৯২ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৮.৭৫ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ২১.৮৭ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২৩.৯১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৫৩.৬২ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ১২.৫৮ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১১.১৬ শতাংশ, চামড়া খাতের (-) ১৩.৮২ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩৫.৮৬ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৩৮.০১ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৫১.৩৩ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৬৩.৯৬ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১১.০৮ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৬.২১ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ৩০.১১ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৪৮.২৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/
স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :
সপ্তাহের ব্যাবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৬০২ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে লাফার্জহোলসিম বিডি। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৫৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকার।
বেক্সিমকো ফার্মাসিটিউক্যাল লিমিটেড তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কোম্পানিটির লেনদেন হয়েছে ২৫৫ কোটি ৩ লাখ টাকার।
এই তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- বিএটিবিসির ১৬২ কোটি ৩১ লাখ, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের ১৪০ কোটি ৯০ লাখ, ন্যাশনাল ফীড মিলের ১২২ কোটি ৭৩ লাখ, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্টের ১১৫ কোটি ৯ লাখ, রবি আজিয়াটার ১১০ কোটি ১৯ লাখ, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানির ৭৮ কোটি ৯ লাখ ও অগ্রণী ইন্সুরেন্স কোম্পানির ৭৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা
স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :
সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন আগের সপ্তাহের চেয়ে ২,৩৯৬ কোটি টাকা বেড়েছে। এসময় গত সপ্তাহের তুলনায় সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে মোট ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৩২২ কোটি ১৯ লাখ টাকার। যা আগের সপ্তাহের ৫ দিনে হয়েছিল ৪ হাজার ২৫৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ২৪.৯৪ শতাংশ বেড়েছে।
ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে গড় লেনদেন ১০৬৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ২৪.৯৪ শতাংশ বেড়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৮৫১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার উপরে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৪.৫৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৭৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ২৩.৩৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১১০ পয়েন্টে। আর শরিয়াহ সূচক ১২.৪৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৪৯ পয়েন্টে।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৭৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৬২টির, কমেছে ১৪৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টির শেয়ার ও ইউনিটের দর। আর ৫টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।
গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধন ২,৩৯৬ কোটি টাকা বা ০.৫১ শতাংশ বেড়েছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা
স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :
সরকারের পাশাপাশি শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মালিকদেরও শ্রমজীবী মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
শনিবার (০১ মে) মহান মে দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) এক বাণীতে এ আহ্বান জানান তিনি।
এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক নির্বিশেষ, মুজিব বর্ষে গড়ব দেশ’।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি। শ্রমিক-মালিক পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক শ্রমক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা রক্ষা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
তিনি বলেন, শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশের শিল্প ও বাণিজ্যে অগ্রগতি সাধিত হবে, দেশ এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধির দিকে – মহান মে দিবসে এ প্রত্যাশা করছি।
মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে শ্রমিক ও মালিকের উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিবেদিত হওয়ার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
আবদুল হামিদ বলেন, করোনা সংক্রমণ জনিত মহামারিতে বিশ্ব আজ বিপর্যস্ত। বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়াল থাবা আঘাত হেনেছে। ফলে গভীর সংকটে পড়েছে শিল্প-প্রতিষ্ঠানসহ দেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ।
এ পরিস্থিতিতে সরকার জনগণের পাশে থেকে ত্রাণ কাজ পরিচালনাসহ সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে সরকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তাই কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যোগ করেন রাষ্ট্রপতি।
শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি ছিলেন শ্রমজীবী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু।
আবদুল হামিদ বলেন, স্বাধীনতার অব্যবহিত পর ১৯৭২ সালে জাতির পিতার উদ্যোগ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে এবং আইএলও’র ছয়টি কোর কনভেনশনসহ ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করে। এটি শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের অধিকার রক্ষায় এক অনন্য মাইলফলক।
বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যকে উদ্বৃত করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত, একদিকে, শোষক আর অন্যদিকে, শোষিত-আমি শোষিতের পক্ষে। ” তিনি রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণে শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে সবাইকে দলমত নির্বিশেষে একাত্ম হতে হবে। এ অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে শ্রমিক-মালিক সমপ্রীতি দেশের উন্নয়নের পথকে তরান্বিত করবে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/
স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :
বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস মহান ‘মে দিবস’ আজ শনবিার (০১ মে)। বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন হিসেবেই মে দিবস পরিচিত।
১৮৮৬ সালের এ দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ওইদিন তাদের আত্মদানের মধ্য দিয়ে শ্রমিক শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেদিন থেকে মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা আর শ্রমিকদের শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটার স্বপ্ন দেখারও দিন এটি।
এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘মালিক-শ্রমিক নির্বিশেষ, মুজিববর্ষে গড়ব দেশ’। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারি স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে এ বছর মে দিবসের সব আনুষ্ঠানিকতা বাতিল করা হয়েছে। তবে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা শ্রমজীবী মানুষসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে গিয়ে কয়েকজন শ্রমিককে জীবন দিতে হয় সেদিন শিকাগোর হে মার্কেটে। এরপর থেকে দিনটি ‘মে দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো দিবসটি বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি।
মহান মে দিবস শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের চরম আত্মত্যাগে ন্যায্য অধিকার আদায়ের এক অবিস্মরণীয় দিন। বৈশ্বিক এ মহামারির মধ্যে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক মালিকরা প্রয়োজনে কারখানা খোলা রাখবেন। তবে তারা অবশ্যই কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করবেন; এটাই প্রত্যাশা সবার।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/