ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারে বাংলাদেশ ব্যাংকের না, বিজ্ঞপ্তি জারি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক জনস্বার্থে একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করে। বাংলাদেশ ব্যাংক একে স্পষ্টিকরণ বিজ্ঞপ্তি বলেও উল্লেখ করে।

এর আগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) লেখা এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রিপ্টোকারেন্সির সংরক্ষণ, লেনদেন অপরাধ নয় বলে মন্তব্য করেছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং ইন্টারনেট থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায় যে ক্রিপ্টোকারেন্সি, যেমন বিটকয়েন, ইথেরিয়াম, রিপল ও লাইটকয়েন বিভিন্ন জায়গায় লেনদেন হচ্ছে। এসব ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা কোনো দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ ইস্যু করে না। ফলে এ মুদ্রার বিপরীতে কোনো আর্থিক দাবি স্বীকৃত নয়। এসব মুদ্রায় লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্য কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনুমোদন করে না। সে কারণে এর ব্যবহার বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭; সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ সমর্থন করে না। অনলাইনে নামবিহীন বা ছদ্মনামধারী প্রতিসঙ্গীর সঙ্গে লেনদেনে অনিচ্ছাকৃতভাবে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধবিষয়ক আইন লঙ্ঘন হতে পারে।

মূলতঃ অনলাইন ভিত্তিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভাচুর্য়াল মুদ্রায় অর্থমূল্য পরিশোধ ও নিষ্পত্তি সংঘটিত হয় এবং এটি কোন কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ/পেমেন্ট সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ কতৃর্পক্ষ কর্তৃক স্বীকৃত না হওয়ায় গ্রাহকগণ ভার্চুয়াল মুদ্রার সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন। এমতাবস্থায় সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে বিটকয়েনের ন্যায় ভাচুর্য়াল মুদ্রায় লেনদেন বা এসব লেনদেনে সহায়তা প্রদান ও এর প্রচার হতে বিরত থাকার জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

’বিদায়ী বছর ২ লাখ ৫৯ হাজার ৯০০ কোটি টাকা কর আদায়’

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেষ পর্যন্ত বিদায়ী অর্থবছরে (২০২০-২১) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক-কর আদায়ে প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হয়েছে। শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং আয়কর—এই বিভাগে সব মিলিয়ে প্রায় ২ লাখ ৫৯ হাজার ৯০০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। বিদায়ী বছরে এনবিআরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা। আর মূল লক্ষ্য ছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।

এনবিআরে রাজস্ব আদায় পর্যালোচনা সভায় গত বৃহস্পতিবার বিদায়ী অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের চিত্র তুলে ধরা হয়। অনলাইনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। বিদায়ী অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৯ শতাংশ।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, বিদায়ী বছরে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে ভ্যাট খাত থেকে। এই খাত থেকে ৯৭ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) সবচেয়ে বেশি ৪৯ হাজার ২৫১ কোটি টাকা ভ্যাট আদায় করেছে। ভ্যাটের পর আয়কর থেকে আদায় হয়েছে প্রায় ৮৫ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। আয়করের এলটিইউ সর্বোচ্চ ২৪ হাজার কোটি টাকার বেশি আদায় করেছে। আদায় হওয়া রাজস্বের বাকি প্রায় ৭৭ হাজার কোটি টাকা শুল্ক খাত থেকে এসেছে।

বৈঠকে আগামী রাজস্ব আদায়ে উৎসে কর কাটার চেয়ে তদারকিভিত্তিক রাজস্ব আদায়ে মনোযোগী হওয়ার নির্দেশ দেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। শুল্ক-কর ফাঁকি ঠেকাতে আরও বেশি কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

এনবিআরের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে কয়েকটি ভ্যাট কমিশনারেটের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য বাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। এই তালিকায় আপাতত আছে ঢাকা পূর্ব, ঢাকা পশ্চিম, সিলেট ও রংপুর।

বৈঠকে আলোচনা হয়, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ সিলেট অঞ্চলে এখন শিল্পকারখানা বেশি হচ্ছে। বিদায়ী অর্থবছরে সিলেট অঞ্চল থেকে ভ্যাট প্রবৃদ্ধি সাড়ে ১৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বৈঠকে। এ ছাড়া বৈঠকে ঢাকা পশ্চিম ও পূর্ব এবং রংপুর ভ্যাট কমিশনারেটের রাজস্ব লক্ষ্য বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

মুদ্রানীতি সম্প্রসারণমূলক, সংকুলানমুখী ও গতানুগতিক: ডিসিসিআই

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ ব্যাংক অদ্য ২৯ জুলাই ২০২১ তারিখে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) মনে করে কোভিড আক্রান্ত অর্থনীতির এ সময়ে ঘোষিত মুদ্রানীতিটি কম-বেশি সম্প্রসারণমূলক, সংকুলানমুখী তবে গতানুগতিক ধারার। সামগ্রিক অর্থনীতিতে কোভিডের নেতিবাচক প্রভাব থেকে বের হয়ে আসার প্রতি এবারের মুদ্রানীতিটি বিশেষ নজর দিয়েছে।

২০২২ সাল নাগাদ সরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩২.৬% এবং বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ ধরা হয়েছে ১৪.৮% যা কিছুটা আশাবাদী। কোভিডের কারনে আশানুরুপ বিনিয়োগ হচ্ছেনা বিধায় ঋণ প্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কষ্টসাধ্য হয়ে দাড়াতে পারে। যদিনা সামগ্রিক অর্থনীতি এবং বেসরকারি খাত ঘুরে দাড়াতে না পারে ঋণ প্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত নাও হতে পারে।

গত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের পেছনে ব্যয় করার জন্য ১.২৮ট্রিলিয়ন টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। আর এই অর্থ যোগান দিতে সরকারকে ব্যাংক ঋণের উপর নির্ভরশীল হতে পারে আর তাতে করে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাঁধাগ্রস্থ হতে পারে। ২০২১ অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ ছিল ৮.৪%। বিনিয়োগ না হওয়া, দূর্বল অর্থনীতি, কোভিডে ক্ষতিগ্রস্থ অর্থনীতি, বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনে ধস বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কম হওয়ার অন্যতম কারণ। প্রায় ৯০ শতাংশ সিএমএসএমই স্বল্প সক্ষমতায় পরিচালিত হচ্ছে এবং নতুন বিনিয়োগেও তেমন আগ্রহী নয়।

শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিনিয়োগের রিটার্ণ অথবা সঞ্চয়পত্র, পোষ্টাল সেভিংস এবং পেনশনার সেভিংস সার্টিফিকেট প্রভৃতির ক্ষেত্রে প্রদেয় সুদের হার যৌক্তিক হারে ব্যাংকিং ইনস্ট্রুমেন্ট যেমন এফডিআরের ন্যায় ব্যাংক প্রদত্ত সুদের হারের সাথে বা বন্ডের রিটার্নের সাথে সংগতি রেখে কিছুটা কমানো যেতে পারে। তবে এ বিষয়ক কোন নির্দেশনা মুদ্রানীতিতে প্রতীয়মান হয়নি।

সিএমএসএমই খাত কে পুনঃজ্জীবিত করতে আর্থিক প্রণোদনা সহ অনেক ধরণের নীতি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু ঘোষিত মুদ্রানীতিতে প্রদত্ত সুবিধাদি কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তেমন দিক-নির্দেশনা বা রোডম্যাপ প্রদান করা হয়নি।

মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হারের বিষয়টি তেমন উদ্বেগজনক নয়, তবে অনেকক্ষেত্রে টাকার মানের এ হার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তারের কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ঘোষিত মুদ্রানীতিটি কিছুটা গতানুগতিক ও ধারাবাহিক এবং এ নীতিতে বেসরকারীখাত কে উজ্জীবিত করতে উদ্ভাবনী কোন পদক্ষেপ লক্ষ করা যায়না। যদিও, সুনিদিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যকার সমন্বয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ হতে তাদের কার্যক্রমের নজরদারী এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

সকল রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খুলছে রবিবার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই তৈরি পোশাকসহ সব রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা আগামী রবিবার খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে রপ্তানিকারকেরা হাফ ছেড়ে বাঁচলেন। যদিও চলমান বিধিনিষেধে শ্রমিকেরা দূর দূরান্ত থেকে কিভাবে কর্মস্থলে ফিরবেন তার কোনো নির্দেশনা নেই।

রবিবার সকাল ছয়টা থেকে পোশাকসহ সব রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানাকে বিধিনিষেধের আওতামুক্ত ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গতকাল শুক্রবার বিকেলে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল ব্যবসায়ী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে যত দ্রুত সম্ভব শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার অনুরোজ জানান। তার একদিন পরই রপ্তানিমুখী সব শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিল সরকার।

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে চলতি বছরের এপ্রিলে সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করলেও রপ্তানিমুখী পোশাকসহ অন্যান্য শিল্প কারখানা উৎপাদন চালানোর সুযোগ পায়। সর্বশেষ গত ২৮ জুন শুরু হওয়া সীমিত ও পরে ১ থেকে ১৪ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধেও পোশাকসহ অন্যান্য শিল্প কারখানা চালু ছিল। তবে ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ১৪ দিনের কঠোরতম বিধিনিষেধে সব ধরণের শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকবে সেই প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে সরকারের সঙ্গে দেন দরবারের নামেন পোশাক ও বস্ত্র খাতের পাঁচ সংগঠনের নেতারা। মন্ত্রীপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দেন তারা। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো কিছুই কাজে আসেনি। সরকার নমনীয় হয়নি। ফলে চামড়া, ওষুধ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প ছাড়া অধিকাংশ শিল্পকারখানা বন্ধ ছিল।

চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক সভায় হয়। তাতে সিদ্ধান্ত হয়, চলমান বিধিনিষেধে শিল্প কারখানা খোলার জন্য ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে অনুরোধ থাকলেও তা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। তার মানে ৫ আগস্ট পর্যন্ত পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা বন্ধই থাকছে। তবে শেষ পর্যন্ত ছাড় পেল রপ্তানিমুখী সব শিল্পকারখানা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

সর্বশেষ সপ্তাহে পিই বেড়েছে ২ শতাংশ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে (২৫-২৯ জুলাই) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ২ শতাংশ বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৮.৮১ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষেও ১৯.২০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.৩৯ পয়েন্ট বা ২.০৭ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৪৮ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ২৬.৭২ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৩৭.৯৪ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৯.০৭ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৪.৪২ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২৪.৩৮ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২২.৫১ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ১৯.১০ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১১.৪৭ শতাংশ, চামড়া খাতের ২৭৯.৯৫ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২০.২৫ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৫০.৬২ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ১০৯.৯৪ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৪৪.৯৪ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৪.৫২ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ২৪.৯৭ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ১৮২.৩৯ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩৭.০৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে সাইফ; ২য় বেক্সিমকাে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২৫০ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২২৩ কোটি ৬১ লাখ টাকার।

জিপিএইচ ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেড তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কোম্পানিটির লেনদেন হয়েছে ১৮২ কোটি ৪৯ লাখ টাকার।

এই তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- বিএটিবিসির ১৭০ কোটি ৮৮ লাখ, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের ১৬৩ কোটি ৫৬ লাখ, ফুয়াং সিরামিকসের ১৫৫ কোটি ৩৮ লাখ, এ্যাক্টিভ ফাইনের ১১৫ কোটি ৮৪ লাখ, বিডি ফাইন্যান্সের ৯৩ কোটি ৭৫ লাখ, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ৮৬ কোটি ৯৯ লাখ ও আইএফআইসি ব্যাংকের ৮৬ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

ডিএসইতে বাজার মূলধন বেড়েছে ৯১৩৩ কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন আগের সপ্তাহের চেয়ে ৯ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা বেড়েছে। এসময় সেখানে সবগুলো সূচকই বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে মোট ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ৭ হাজার ১২৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকার। যা আগের সপ্তাহের ৪ দিনে হয়েছিল ৬ হাজার ৪০৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ৬.৩০ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে গড় লেনদেন ১ হাজার ৪২৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকার হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬৭৬ কোটি ৬২ লাখ টাকার উপরে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে প্রতিদিনের গড় লেনদেন ১৪.৯৬ শতাংশ কমেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৭.৯০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৪২৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৫২.৯৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩২৭ পয়েন্টে। আর শরিয়াহ সূচক ৪১.৬৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪০১ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৯৯টির, কমেছে ১৬৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টির শেয়ার ও ইউনিটের দর। আর ৪টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ২৫ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৪ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধন ৯১৩৩ কোটি টাকা বা ১.৭৪ শতাংশ বেড়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

সাউথ বাংলা ব্যাংকের আইপিও’র শেয়ার বণ্টন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) শেয়ার বণ্টন করা হয়েছে। এতে ১০ হাজার টাকার আবেদনের বিপরীতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৬০টি, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগারীরা ৭৬টি এবং প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা ১০৮টি করে শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর নিকুঞ্জে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান কার্যালয়ে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এসবিএসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস. এম. আমজাদ হোসেন, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোসলেহ উদ্দীন আহমেদ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভুঁইয়া, চিফ অপারেটিং অফিসার এম. সাইফুর রহমান মজুমদার, এসবিএসি ব্যাংকের কোম্পানি সেক্রেটারি মোঃ মোকাদ্দেস আলী, ডিএসই’র লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ম্যানেজার মোঃ রবিউল ইসলাম , আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের স্বপ্না রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির অপেক্ষায় থাকা চতুর্থ প্রজন্মের দ্বিতীয় ব্যাংক হিসেবে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) আবেদনে ব্যাপক সাড়া পড়ে। আইপিওতে ব্যাংকটি অভিহিত মূল্য তথা ১০ টাকা দামে ১০ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করবে। আর এর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে ব্যাংকটি। এর বিপরীতে ১ হাজার ৩৯১ কোটি ৪৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকার আবেদন জমা পড়েছে। সে হিসেবে চাহিদার ১৩ দশমিক ৯১ গুণ আবেদন জমা পড়ে। শেয়ারবাজার থেকে ব্যাংকটি অর্থ উত্তোলন করে সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয় এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে ব্যাংকটি।

অনুষ্ঠানে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভুঁইয়া বলেন, দেশের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে শেয়ারবাজার। এসবিএসি ব্যাংকের আইপিও’র চাহিদার চেয়ে ১৪ গুণ আবেদন জমা পড়া, তাই প্রমাণ করে। তিনি শেয়ারবাজারের প্রতি মানুষের এই আগ্রহকে যথাযথ সম্মান ও এর মর্যাদা রক্ষার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে এসবিএসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ বলেন, আমরা সর্বপ্রথম বিনিয়োগকারীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছেন। সাউথ বাংলা ব্যাংকের প্রতি বিনিয়োগকারীরা যে আস্থা দেখিয়েছেন তাতে আমাদের জবাবদিহিতা আরও বেড়ে গেছে। আমাদের ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এর যথাযথ প্রতিদান দিতে বদ্ধপরিকর। তিনি শেয়ারবাজারে আসার প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, ইস্যু ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান। ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস. এম. আমজাদ হোসেনও ব্যাংকের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থার প্রতিদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

উল্লেখ্য, সাউথ বাংলা ব্যাংকের ৮৩টি শাখা, ১২টি উপশাখা, ইসলামী ব্যাংকিং উইন্ডো, অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সাধারণ ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে আসছে। পাশাপাশি ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড, ডিজিটাল ব্যাংকিং, মোবাইল অ্যাপ ‘বাংলাপে’র মাধ্যমে টাকা স্থানান্তর, বিল পরিশোধ, চেকবিহীন টাকা উত্তোলন, বিকাশে টাকা প্রেরণসহ সবধরনের কেনাকাটা করা যায়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ইসলামী ব্যাংকের ২য় প্রান্তিকের বোর্ড সভা আজ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের দ্বিতীয় প্রান্তিকের বোর্ড সভা আজ ৩১ জুলাই আহবান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আজ শনিবার বেলা ১২টায় রাজধানী মতিঝিলস্থ ব্যাংকটির নিজেদের প্রধান ভবনে এ বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) আইন-২০১৫ এর ১৬/১ অনুযায়ী, এ বোর্ড সভায় গত ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২১ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করবে ব্যাংকটির পরিচালনা বোর্ড।

সভাশেষে ব্যাংকটির দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস ও ন্যাভ শেয়ারহোল্ডারদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি