৯ মাসে বাংলাদেশ বাণিজ্য ঘাটতি ২ লাখ কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

রপ্তানির তুলনায় আমদানি বৃদ্ধি, বিশ্ববাজারে জ্বালানিসহ সব ধরনের পণ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) প্রথম ৯ মাসে দেশে বাণিজ্য ঘাটতি ২ হাজার ৪৯০ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ২ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকার ওপরে।

অর্থনীতিবিদেরা বলেন, পণ্য আমদানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার কারণে বাণিজ্য ঘাটতি অনেকটা বেড়ে গেছে। তবে দেশের অর্থনীতি স্বাভাবিক রাখতে আমদানি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তা না হলে সংকটে পড়বে অর্থনীতি।

করোনা মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর থেকেই আমদানিতে জোয়ার বইছে। আর এতে আমদানি-রপ্তানির মধ্যে ব্যবধান বা বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েই চলেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক রবিবার বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে ৬ হাজার ১৫২ কোটি ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরের এই ৯ মাসে ৪ হাজার ২৭৬ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছিল।

অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৩ হাজার ৬৬১ কোটি ডলার আয় করেছেন রপ্তানিকারকেরা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩২ দশমিক ৯২ শতাংশ বেশি। এই হিসাবে অর্থবছরের ৯ মাসে পণ্য বাণিজ্যে সার্বিক ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৯০ কোটি ডলার।

এদিকে জুলাই-মার্চ সময়ে ১ হাজার ৫৩০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে ১৮ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।

করোনার পর দেশে সব ধরনের পণ্যের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল। সর্বশেষ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পণ্য সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় আরও চড়ছে দাম।

গত বছরের এপ্রিলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম ছিল ৬০ ডলার। রোববার সেই তেল ১১২ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুতে এর দর ১৩৯ ডলারে উঠে গিয়েছিল। এতে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। সূত্র : প্রথম আলো

স্টকমার্কেটবিডি/

১০০ টাকা প্রাইজবন্ডের ড্র অনুষ্ঠিত

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

১০০ টাকা মূল্যমানের বাংলাদেশ প্রাইজবন্ডের ১০৭তম ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার প্রথম পুরস্কার জিতেছে প্রত্যেক সিরিজের ০১৯০০৭৬ নম্বর। আর দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী নম্বর ০৯০৬৮০০।

রবিবার ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলনক‌ক্ষে এই ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

একক সাধারণ পদ্ধতিতে (অর্থাৎ প্রতিটি সিরিজের জন্য একই নম্বর) এই ড্র পরিচালিত হয় এবং বর্তমানে প্রচলনযোগ্য ১০০ টাকা মূল্যমানের ৬৮টি সিরিজ যথা-কক, কখ, কগ, কঘ, কঙ, কচ, কছ, কজ, কঝ, কঞ, কট, কঠ, কড, কঢ, কথ, কদ, কন, কপ, কফ, কব, কম, কল, কশ, কষ, কস, কহ, খক, খখ, খগ, খঘ, খঙ, খচ, খছ, খজ, খঝ, খঞ, খট, খঠ, খড, খঢ, খথ, খদ, খন, খপ, খফ, খব, খম, খল, খশ, খষ, খস, খহ, গক, গখ, গগ, গঘ, গঙ, গচ, গছ, গজ, গঝ, গঞ, গট, গঠ, গড, গঢ, গথ এবং গদ এই ড্রয়ের আওতাভুক্ত।

৬ লাখ টাকার প্রথম পুরস্কারের নম্বর ০১৯০০৭৬। ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার দ্বিতীয় পুরস্কারের নম্বর ০৯০৬৮০০।

১ লাখ টাকা করে দুটি তৃতীয় পুরস্কারের নম্বর ০৯৩৭৪৭৯ ও ০৯৮৭৯০৫।

প্রতিটি ৫০ হাজার টাকা করে দুটি চতুর্থ পুরস্কারের নম্বর ০৫৯৬২৭৩ ও ০৬১০৯৩৪।

প্রতিটি ১০ হাজার টাকা করে মোট ৪০টি পঞ্চম পুরস্কারের নম্বর: ০০০১৭৫২, ০০৬৬৭৪১, ০০৭২৫৩৮, ০১০৭৭৭৩, ০১১২০৯২, ০১৫১৩১৮, ০২২২১৭১, ০২৬৪৯৬৩, ০২৯৩৪০৭, ০৩১৬৫৯৭, ০৩২৯৬০৭, ০৩৪০১৯৮, ০৩৪৫৯২১, ০৩৫৫৯৪০, ০৩৭৯৬৩০, ০৪০৫৬৫৪, ০৪৩৬৩২৪, ০৪৫৮৪৩২, ০৪৭১৭০৭, ০৪৮৫২৮২, ০৪৮৯৮৮৮, ০৫১০৮১৬, ০৫১১১৭২, ০৫৪১৮৯৫, ০৫৪২৮৪০, ০৫৬৫০৭৫, ০৫৬৬৪২১, ০৫৬৭৯১৮, ০৫৭০৫৬০, ০৬২৬৬৯৪, ০৬৬৩৮১৪, ০৭০০৪৬০, ০৭৪১৪৫৩, ০৯০১৪৫৯, ০৯১০৬৭৩, ০৯৫৩৩৯৬, ০৯৬৩৫২৯, ০৯৭৭৪৩৪, ০৯৮০৬৩৯, ০৯৮১৬৯৩।

//এইচ