মনুস্ফল পেপারের উদ্দ্যোক্তার শেয়ার বিক্রির ঘোষণা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কাগজ ও প্রণোদনা খাতের প্রতিষ্ঠান মনুস্ফল পেপার মেনুফেকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের একজন উদ্দ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিন নামে কোম্পানিটির এই উদ্দ্যোক্তা পরিচালক ১৮,৬৮৪টি শেয়ার বিক্রয় করবেন। তার হাতে কোম্পানিটির মোট ২০ লাখ ৫৮ হাজার ৬৮৪টি শেয়ার রয়েছে।

আগামী ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে ডিএসইতে পাবলিক মার্কেটে এই উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার বিক্রয় করা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপ ইয়ার্ডের মালপত্র জব্দ করলেন আদালত

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের মালপত্র জব্দ করেছেন আদালত। এক পাওনাদারের দায়ের করা মামলার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতের ক্রোক কর্মকর্তা মোহাম্মদ কবির এ মালপত্র জব্দ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদ কবির গণমাধ্যমকে বলেন, ওয়েস্টার্ন মেরিনের কাছে পাওনা ৭০ লাখ টাকার বিপরীতে দায়ের করা মামলার রায় পান স্থানীয় বাসিন্দা হাজি ছাবের আহাম্মদ। গত ৭ এপ্রিল আদালতের দেয়া রায়ে ওয়েস্টার্ন মেরিনের মালপত্র জব্দের আদেশ দেয়া হয়। ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির ইয়ার্ড থেকে ১৪-১৫ ধরনের যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়। সেসব যন্ত্রপাতির আনুমানিক মূল্য ৭০ লাখ টাকা। আদালতের তথ্যমতে, ২০২০ সালে এ পাওনা আদায়ে মামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দা হাজি ছাবের আহাম্মদ।

ছাবের আহাম্মদ বলেন, ওয়েস্টার্ন মেরিন আমার জমিতে শিপইয়ার্ড নির্মাণ করলেও নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করছে না। ভাড়া দিয়ে আমার জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছিলাম। ভাড়া আদায়ে আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালত মালপত্র জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন। এরই মধ্যে আমরা ইয়ার্ডের বেশকিছু জমি দখলে নিলেও কোম্পানিটি ভাড়া পরিশোধ করে বাকি জমি বুঝিয়ে দিচ্ছে না।

ছাবের আহাম্মদ ছাড়াও ইয়ার্ড মালিকদের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা করেছেন ভূমি মালিক আবুল বশর আবু। চুক্তি অনুযায়ী ভাড়া পরিশোধ না করায় তাদের বিরুদ্ধে এ উচ্ছেদ মামলা করা হয়। চট্টগ্রামের প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের মামলা নম্বর ১৫১/২০২০।

২ হাজার কোটি টাকার বেশি দেনার ভারে জর্জরিত দেশের বৃহত্তম জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড। ২০১৪ সালে কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।কোম্পানিটির ৫৩ শতাংশ শেয়াররের মালিক সাধারণ বিনিয়োগকারী।

কোম্পানিটি ২০২০ সাল পর্যন্ত শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদান করলেও পরবরর্তীতে আর কোনো লভ্যাংশ প্রদান করেনি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

এসিআই ফর্মূলেশনের নতুন সাবসিডিয়ারি কোম্পানি

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এসিআই ফর্মূলেশন লিমিটেডের পরিচালনা বোর্ড সিঙ্গাপুরে একটি নতুন সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, কোম্পানিটির নতুন এই সাবসিডিয়ারি কোম্পানির নাম এসিআই এগ্রো কেম লিমিটেড। যার ৯০ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করবে এসিআই ফর্মূলেশন লিমিটেড।

নতুন এই সাবসিডিয়ারি কোম্পানি এসিআই এগ্রো কেম লিমিটেডের অথোরাইজড মূলধন ধরা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ধরা হয়েছে ২ কোটি টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এ

বিডি পেইন্টসের লেনদেন শুরু মঙ্গলবার

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত বিডি পেইন্টস লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন শুরু হবে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন দেশের উভয় শেয়ারবাজারের এসএমই ফ্লাটফর্মে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে এ কোম্পানির লেনদেন।

‘এন’ ক্যাটাগরির আওতায় লেনদেন শুরু করা কোম্পানিটির ট্রেডিং কোড- “BDPAINTS” এবং ডিএসইতে কোম্পানি কোড নাম্বার- ৬৮০০৩ নির্ধারণ করা হয়েছে।

সম্প্রতি কোম্পানিটি কিউআইও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। ইতোমধ্যে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের নিজ নিজ বিও হিসাবে জমা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

শেয়ারবাজারে সরকারি বন্ড লেনদেনের বাধা কাটল

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে সরকারি সিকিউরিটিজ তালিকাভুক্ত থাকলেও বিভিন্ন জটিলতার কারণে এতদিন এগুলোর লেনদেন বন্ধ ছিল। এরই মধ্যে মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বেশকিছু সরকারি সিকিউরিটিজের। এ অবস্থায় শেয়ারবাজারে বন্ডের লেনদেনের মাধ্যমে একটি কার্যকর বন্ড মার্কেট গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ লক্ষ্যে গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক, দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে বিএসইসি। এর মাধ্যমে শেয়ারবাজারে সরকারি সিকিউরিটিজ লেনদেনে দীর্ঘদিনের বাধা কাটল।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়।

এমওইউ স্বাক্ষরের ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা স্টক ব্রোকারের মাধ্যমে বিওআইডি ব্যবহার করে সরকারি সিকিউরিটিজ কেনাবেচা করতে পারবেন। শেয়ারবাজারে লেনদেনকৃত সরকারি সিকিউরিটিজের অভিহিত মূল্য হবে ১০০ কোটি টাকা। মার্কেট লট নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা স্টক এক্সচেঞ্জের প্লাটফর্মে ন্যূনতম ১ লাখ টাকার সরকারি সিকিউরিটিজ লেনদেন করতে পারবেন। বিনিয়োগকারীরা ইল্ড কিংবা দর উল্লেখ করে সরকারি সিকিউরিটিজ কেনাবেচা করতে পারবেন।

বিক্রেতা বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে পুঞ্জীভূত সুদ বা মুনাফা পাবেন। অন্যদিকে ক্রেতা বা বন্ডহোল্ডারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কুপন ডেটে কুপনের অর্থ বিইএফটিএনের মাধ্যমে জমা হবে। এতে ক্রেতা-বিক্রেতার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেডিং প্লাটফর্মে সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেনের কারণে বিভিন্ন মেয়াদের বন্ডের ইল্ড কার্ব পাওয়া যাবে। এ ইল্ড কার্বের ভিত্তিতে অন্যান্য বন্ডে কুপন বা সুদহার কিংবা লভ্যাংশ নির্ধারণ করা সহজ হবে। পাশাপাশি ইল্ড কার্বের ভিত্তিতে বিভিন্ন মেয়াদের বন্ডের ভবিষ্যৎ সুদহার বা লভ্যাংশ প্রাক্কলন করাও সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, শেয়ারবাজার ও মুদ্রাবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সম্মিলিতভাবে কাজ করলে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও প্রবৃদ্ধির আরো উন্নতি হবে। আজকের এ যৌথ পদক্ষেপ দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার একত্রে কাজ করার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

সরকারি সিকিউরিটিজের সেকেন্ডারি লেনদেন স্টক এক্সচেঞ্জের প্লাটফর্মে করার মাধ্যমে দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে উঠবে ও শেয়ারবাজারের বাজার মূলধন অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। একটি গতিশীল বন্ড মার্কেট গড়ে উঠলে ব্যাংকঋণের ওপর নির্ভরতা কমে আসার পাশাপাশি খেলাপি ঋণের পরিমাণও কমবে। বর্তমানে জিডিপির অনুপাতে বাজার মূলধন ১৬ শতাংশকে দ্বিগুণ করা সম্ভব হবে। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসি ভবিষ্যতেও একসঙ্গে সমন্বয় ও পরস্পর সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করে যাবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বলেন, বর্তমানে সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। তবে এ এমওইউ স্বাক্ষরের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে সরকারি সিকিউরিটিজের সেকেন্ডারি লেনদেনের সুযোগ তৈরি হবে। এতে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/