স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :
ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফাইজার ইনকরপোরেশন আশা করছে, চলতি বছর তাদের কোভিড-১৯ এর টিকা এবং ভাইরাস প্রতিরোধক পিলের বিক্রি ৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে; তবে তাতে সন্তুষ্ট নন বিনিয়োগকারীরা।
রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার ফাইজারের আর্থিক হিসাবের এই পূর্বাভাস আসার পর ওয়াল স্ট্রিটে এ কোম্পানির শেয়ারের দর ৩ শতাংশ পড়ে যায়।
ফাইজারের প্রধান নির্বাহী আলবার্ট বোরলা বলেন, মুখে খাওয়ার কোভিড পিল- প্যাক্সলোভিডের চূড়ান্ত বিক্রির পরিমাণ হয়ত তাদের পূর্বাভাসের চেয়ে ‘অনেক বেশি’ হতে পারে, যেহেতু এখনকার পূর্বাভাসটি করা হয়েছে যেসব চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পর্যায়ে রয়েছে, সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে।
ফাইজার আশা করছে ২০২২ সালে তাদের কোভিড চিকিৎসা পণ্যের বিক্রি দাঁড়াবে ২ হাজার ২০০ কোটি ডলারে। তবে ওয়াল স্ট্রিটের বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা ছিল, এই অংক হবে ২ হাজার ২৮৮ কোটি ডলার।
বাজার বিশ্লেষকদের সঙ্গে একটি কনফারেন্স কলে ফাইজারের প্রধান নির্বাহী বলেন, “এ বছর আমরা ১২ কোটি চিকিৎসা পণ্য উৎপাদনের প্রস্তুতি নিয়েছি, কোভিড পণ্য তার একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র।”
ওষুধ কোম্পানিটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্যাক্সলোভিড পিলের ২ কোটি ডোজ বিক্রি করছে প্রতি কোর্স ৫৩০ ডলার দরে। বোরলা জানিয়েছেন, অর্ডারের আকারের কারণেই বিশেষ এই দর নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, বেশিরভাগ ধনী দেশের জন্য তাদের এই কোর্সের দাম প্রতিদ্বন্দ্বী ওষুধ কোম্পানি মেরক অ্যান্ড কোম্পানির মুখে খাওয়ার পিল মোলনুপিরাভিরের আশেপাশেই থাকবে, যুক্তরাষ্ট্র যেটার প্রতি কোর্সের দাম ৭০০ ডলারের আশেপাশে দিচ্ছে।
ফাইজারের প্রধান নির্বাহী বলেন, প্যাক্সলোভিড নিয়ে তারা ১০০টির বেশি দেশের সঙ্গে আলোচনায় আছেন, এবং প্রয়োজনে ১২ কোটির বেশি কোর্স সরবরাহ করার সক্ষমতা তাদের রয়েছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ