বন্দরনগরীতে ৩ দিনব্যাপী শেয়ারবাজার মেলা ১ ফেব্রুয়ারি

CSE-Final-Logoস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বন্দরনগরীতে আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী শেয়ারবাজার মেলার প্রচারণার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।

চট্টগ্রামের টাইগার পাস সড়কে ‘পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগ মেলা’র লোগো খোলা আকাশে বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রচার শুরু করেন কর্মকর্তারা।

ষষ্ঠবারের মতো আয়োজিত এ মেলা শুরু হবে ১ ফেব্রুয়ারি। নগরীর জিইসি কনভেনশন হলে আয়োজিত মেলা চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। যা সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

আয়োজকরা বলছেন, শেয়ারবাজার সম্পর্কে মানুষকে জানাতে এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

এতে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট স্টক ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংকার্স, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত হয়নি এমন কোম্পানিসহ সব ধরনের স্টেক হোল্ডারা অংশ নেবে।

এবছর মেলায় ১০০টি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও সাধারণ স্টল থাকবে এবারের মেলায়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ/এসটি

আকুর লেনদেনে ইউরো : যোগ হলো জাপানি ইয়েন

bbস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশসহ পার্শ্ববর্তী ৯টি দেশের অলিখিত বাণিজ্য জোট এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মধ্যকার লেনদেনসংক্রান্ত দেনা পরিশোধের ক্ষেত্রে বিদেশি মুদ্রা হিসেবে ইউরোর ব্যবহার ফের চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

পাশাপাশি জাপানি ইয়েনেও আকুর দেনা পরিশোধে ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছে সংস্থাটি। ফলে এখন থেকে আকুর দেনা পরিশোধে ইউএস ডলার, ইউরো এবং জাপানি ইয়েন এই তিনটি বিদেশি মুদ্রা ছাড় করতে পারবে এডি ব্যাংকগুলো।

গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এসংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করে বিদেশি মুদ্রায় লেনদেনে নিয়োজিত এডি ব্যাংকগুলোকে পাঠানো হয়। বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন নীতিমালা ২০০৯-এর ৩ অধ্যায়ের ২ অনুচ্ছেদের আলোকে ২০১৬ সালের ২৭ জুলাই এডি ব্যাংকগুলোকে আকুর দেনা পরিশোধের ক্ষেত্রে ইউরোর ব্যবহার-পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পর থেকে শুধু ইউএস ডলারে আকুর দেনা পরিশোধ করে আসছে এডি ব্যাংকগুলো।

গতকালের সার্কুলারে আকুর দেনা পরিশোধের ক্ষেত্রে ইউরোর ব্যবহার পুনঃপ্রবর্তনের পাশাপাশি জাপানি ইয়েনের ব্যবহার চালু হওয়ায় আকুর দেনা পরিশোধে তিনটি মুদ্রা চালু থাকল।

এশিয়া অঞ্চলের ৯টি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা বৈদেশিক লেনদেন নিষ্পন্ন জোট আকু।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ/এসটি

উন্নয়নশীল কাতারে দুই ঝুঁকি, সামাল দিতে টাস্কফোর্স

BDFস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার পর বাংলাদেশকে বড় আকারে দুই ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে হবে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। ঢাকায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন এ অভিমত দিয়ে বলেছেন, প্রথমত, স্বল্পোন্নত দেশ হওয়ায় বাংলাদেশ বহির্বিশ্ব থেকে এখন যতটা সহজ শর্তে ঋণ পায়, উন্নয়নশীল দেশ হয়ে গেলে সেটি পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। দ্বিতীয়ত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডার বাজারে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা বা জিএসপি পাওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি হবে।

বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের (বিডিএফ) বৈঠকে বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন ড. জাহিদ হোসেন। বিডিএফের দুই দিনব্যাপী বৈঠক শেষ হয়েছে গতকাল।

রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে গতকালের বৈঠকে গবেষণা প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ড. জাহিদ হোসেন।

প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, জাপান, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশ অফিশিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স (ওডিএ) হিসেবে যেসব ঋণ পায়, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেলে সেসব ঋণের শর্ত কঠিন হয়ে যাবে। স্বল্পোন্নত দেশ হওয়ায় বাংলাদেশ এখন রপ্তানিতে বিশেষ ভর্তুকি দিয়ে থাকে, যা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডাব্লিউটিও) আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হয়ে গেলে রপ্তানিতে বিশেষ ভর্তুকি দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। স্বল্পোন্নত দেশ হওয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশ উন্নত বিশ্ব থেকে অনুদান পেয়ে থাকে। উন্নয়নশীল দেশ হয়ে গেলে সেই অর্থায়নও বন্ধ হবে। এলডিসিভুক্ত হওয়ায় জাতিসংঘকে কম চাঁদা দিতে হয় বাংলাদেশকে। উন্নয়নশীল দেশ হলে চাঁদার হার দ্বিগুণ হবে। এ ছাড়া জাতিসংঘের বিভিন্ন সভায় অংশ নিতে সরকারি প্রতিনিধিদল বিনা পয়সায় যাওয়ার যে সুযোগ পেয়ে থাকে, সেটিও বন্ধ হবে।

দুই দিনব্যাপী বিডিএফ বৈঠকে উন্নয়ন সহযোগীদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলা হয়। সেগুলোর মধ্যে ছিল—আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, প্রশাসনিক দক্ষতা বাড়ানো, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করাসংক্রান্ত। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের পাশাপাশি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের কম বরাদ্দ নিয়েও প্রশ্ন আছে উন্নয়ন সহযোগীদের। জিডিপির অনুপাতে রাজস্ব আদায়ের হার, নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ উন্নয়ন সহযোগীদের। ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি এসডিজি বাস্তবায়নে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব আদায়ের হার বাড়ানোর পরামর্শ দেন।

বিডিএফ বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এলডিসি থেকে উত্তরণে ঝুঁকির বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আযম বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণে আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছি। ইতিমধ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে বাংলাদেশ কোথায় কোথায় সমস্যায় পড়বে, সেসব বিষয়ে কাজ করছে টাস্কফোর্স।’

সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিডিএফ বৈঠকে উপস্থিত উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে সম্মত হয়েছেন, তবে এ জন্য সরকারকে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

প্রবন্ধে ড. জাহিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হোক—এটা সবার চাওয়া। কিন্তু এলডিসি থেকে বের হলে কী ধরনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে, তার কোনো উদাহরণ ও অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের সামনে নেই। শুধু অনুমান করতে পারি।’

১৯৯১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত এই সময়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়া পাঁচটি দেশের উদাহরণ দিয়ে ড. জাহিদ বলেন, ‘বতসোয়ানা, মালদ্বীপ, সামোয়া, গিনি ও কেপ ভাদ্রে—এই পাঁচটি দেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে গেছে। এসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করলে ভুল হবে। কারণ পাঁচটি দেশের জনসংখ্যা বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম—দুই কোটি থেকে তিন কোটি। আমাদের শুধু ঢাকা শহরেই দুই কোটি মানুষের বসবাস।’

এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে বাংলাদেশ কী কী সুবিধা পাবে সে বিষয়ে ড. জাহিদের মত, আত্মবিশ্বাস বাড়বে দেশের। সম্মান বাড়বে। ভিয়েতনামের মতো অনেক দেশের সঙ্গে এফটিএ করতে পারবে। জিএসপি প্লাস সুবিধাও পেতে পারে।

আর ড. জাহিদ হোসেন এলডিসি থেকে উত্তরণের পর প্রভাব মোকাবেলায় তিনটি পরামর্শ দেন। সেগুলো হলো—জনসংখ্যার বোনাসকালকে কাজে লাগানো। ৬৫ শতাংশ কর্মক্ষম মানুষকে দক্ষ করতে তুলতে হবে। কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে উদ্ভাবনী ও পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়াতে হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ/এসটি