এজিএমে পরিচালকদের ভাতা-সুবিধা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত

egm-agm-smbdনিজস্ব প্রতিবেদক :

কোম্পানির পরিচালকদের পারিশ্রমিকসহ অন্যান্য সুবিধা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্বালানি খাতের দুই রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি ও ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস ব্লেন্ডার্স লিমিটেড। শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য আসন্ন বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব উপস্থাপন করবে উভয় কোম্পানি।

স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানির সংঘ স্মারক ও সংঘবিধি সংশোধন করে পরিচালকদের পারিশ্রমিক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উভয় কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ, যা আসন্ন এজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনক্রমে বাস্তবায়নযোগ্য।

পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড: আগের বছরের ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্যও ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে জ্বালানি তেল বিপণন কোম্পানিটি। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বোট ক্লাবে এজিএম আহ্বান করেছে কোম্পানি। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ ডিসেম্বর। ওই সভাতেই পরিচালকদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।

নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ৩০ জুন ২০১৫ সমাপ্ত হিসাব বছরে পদ্মা অয়েলের শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১৯ টাকা ৮৩ পয়সা। শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৩ টাকা ৮৫ পয়সা।

১৯৭৬ সালে তালিকাভুক্ত পদ্মা অয়েলের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৯৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস ব্লেন্ডার্স: ২০১৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে এ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। এর বার্ষিক ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৩৯ পয়সা।

লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডা অনুমোদনের জন্য আগামী ১৬ জানুয়ারি চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদে এজিএম করবে কোম্পানিটি। সেখানে পরিচালকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে।

এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে লোকসানে পড়েছে ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ২০ পয়সা লোকসান দেখিয়েছে, যেখানে আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ৫২ পয়সা।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) আওতাধীন প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭৬ সালে শেয়ারবাজারে আসে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এলকে

শেষ হলো ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো

expo-prize-700নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বাড়াতে আয়োজিত ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো শেষ হলো। রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে এ মেলাটি শুরু হয় গত ১০ ডিসেম্বর। তিন দিন ব্যাপী মেলাটিকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ মেলার উদ্বোধন করেন।

মেলার আয়োজক অনলাইন নিউজ পোর্টাল অর্থসূচকের সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, শেয়ারবাজার নিয়ে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা দূর করতে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাজারকে কাজে লাগানো মেলার মূল উদ্দেশ্য।

জিয়াউর রহমান বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ে যথেষ্ট বিভ্রান্তিও আছে। কেউ কেউ মনে করে, দেশের অর্থনীতিতে পুঁজিবাজার কোনো অবদান রাখে না। পুঁজিবাজার সম্পর্কে ভালো জানা না থাকাতেই এমন ভুল ভাবনার জন্ম হয়। সঠিক তথ্য উপস্থাপন করে এই ভুল ধারণা ভেঙে দেয়ার লক্ষ্যে, পুঁজিবাজারের ব্র্যান্ডিং এবং সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোর আয়োজন করা হচ্ছে।

এক্সপোর দর্শনার্থীদের জন্য র‌্যাফেল ড্রর আয়োজন করা হয়। এতে প্রতিদিনই ঢাকা-কুয়ালালামপুর-ঢাকা, ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটের বিমান টিকিট (প্রতিদিন উভয় রুটে একটি করে), ল্যাপটপ (প্রতিদিন ১টি), স্মার্টফোনসহ (প্রতিদিন ৫টি করে) আকর্ষণীয় অনেক পুরস্কার ছিল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এলকে

 

ঝিলবাংলা সুগার মিলের এজিএম সম্পন্ন

zeal sugar mill-smbdস্টকমার্কেট ডেস্ক :

রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল ঝিলবাংলা সুগার মিলস লিমিটেড গতকাল ১২ ডিসেম্বর বেলা ৩টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সম্পন্ন করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য এজেন্ডা অনুমোদনে জামালপুর শিল্পকলা একাডেমিতে এই সভা করে কোম্পানিটি। ৩০ জুন ২০১৫ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলটির পরিচালনা পর্ষদ

নিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত বছরে ৩৪ কোটি ১৩ লাখ টাকার নিট লোকসান রয়েছে ঝিল বাংলা সুগার মিলসের। শেয়ারপ্রতি বার্ষিক লোকসান ৫৬ টাকা ৮৯ পয়সা।

সর্বশেষ প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রান্তিকেকোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ১২ টাকা ৭৬ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১১ টাকা ৯৫ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর এ কোম্পানির পুঞ্জীভূত লোকসান দাঁড়িয়েছে ২১৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

২০০৫ ও ২০০৬ হিসাব বছর ছাড়া গত ১৫ বছরে কোনো মুনাফা দেখাতে পারেনি ঝিলবাংলা সুগার মিলস। এ সময়ের মধ্যে কোনো লভ্যাংশও পাননি এর শেয়ারহোল্ডাররা। অব্যাহত লোকসানের জেরে এখন কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ৩৪৬ টাকা ৫৬ পয়সা।

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে আসে ১৯৮৮ সালে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এলকে

সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ২.২১% কম

peনিজস্ব প্রতিবেদক :

দেশের বৃহৎ শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের ব্যবধানে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে ২.২১ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বর্তমানে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৪.৯৯ পয়েন্টে, যা গত সপ্তাহের শুরুতে ছিল ১৫.৩৩ পয়েন্ট। অর্থাৎ পিই রেশিও কমেছে ০.৩৪ পয়েন্ট বা ২.২১ শতাংশ।

বর্তমানে খাত ভিত্তিক পিই’র হিসাবে ব্যাংকিং খাতের পিই অবস্থান করছে ৭.৭৯ পয়েন্টে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ২২.১৭, প্রকৌশল খাতের ১৯.৯৯, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২৯.৭১, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের ১১.৫২, পাট খাতের ১৪০.৫১, বস্ত্র খাতের ১১.০৯, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২৩.০৩, পেপার ও প্রকাশনা খাতের ৩৬.২৬, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ১৬.২১, সেবা ও আবাসন খাতের ২১.৭৮, সিমেন্ট খাতের ৩১.০৭, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ২৭.০০, চামড়া খাতের ২৮.৫৯, সিরামিকস খাতের ২৮.৬৬, বীমা খাতের ১৮.৮৬, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৮.৩৭ ও বিবিধ খাতের ২৮.৬৬ পয়েন্ট।

উল্লেখ্য, এখানে খাতভিত্তিক পিই হিসাব করা হয়েছে ‘জেড’ ক্যাটাগরি, ওটিসি শেয়ার এবং যে সব শেয়ার দীর্ঘদিন লেনদেন হয় না সেগুলোর হিসাব বাদ দিয়ে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এলকে

ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৩.৫৬%

low indexনিজস্ব প্রতিবেদক :

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমেছে ১৩.৫৬ শতাংশ। এ সপ্তাহে কমেছে প্রতিদিনের গড় লেনদেনও। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ৬ হতে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২,৫০৮ কোটি ৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। যা আগের সপ্তাহে এ লেনদেন হয়েছিল ২,১৬৭ কোটি ৯৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকার শেয়ার। এ হিসাবে আগের সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন কমেছে ১৩.৫৬ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছে ৪৩৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আর আগের সপ্তাহে গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছিল ৫০১ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার।

গত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭ দশমিক ২১ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এলকে