উন্নয়নশীল দেশে ঘাটতি বাজেট হবেই : পরিকল্পনামন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

মহামারিকালে নতুন অর্থবছরের জন্য রেকর্ড ঘাটতি রেখে বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মোট বাজেটের মধ্যে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা তিনি রাজস্ব খাত থেকে যোগান দেয়ার পরিকল্পনা সাজিয়েছেন, যা বাস্তবায়ন করা হবে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

তবে উন্নয়নশীল দেশে ঘাটতি বাজেট হতেই পারে, এটি নতুন নয়, বলে মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

শুক্রবার (৪ জুন) দুপুরে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘ঘাটতি বাজেট নতুন নয়, আমরা উন্নয়নশীল দেশ, ঘাটতি বাজেট হবে। তবে সংশয় আছে ঘাটতির পরিমাণ নিয়ে। তবে আমি কনফিডেন্ট, অর্থমন্ত্রী এটিকে মোকাবিলা করতে পারবেন। আমরা একটি অনুমানের জগতে আছি। সেটাকে নিয়ে তর্ক করে কোনো লাভ হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘অর্থের জোগান দেয়া অন্যতম একটি বিষয়। যারা বাইরে থেকে আমাদের ধার দেবে, তাদের বাজার বেশ ভালো। বিদেশ থেকে যারা ধার দেয় তাদের কথাবার্তা ও আচরণে সেটি আমরা দেখেছি। আমাদের রেকর্ডও ভালো। আমরা সে ধরনের গ্রাহক নই। কোনো সময় আমরা এগুলো মিস করিনি। আমরা সবকিছু পজিটিভলি করেছি বলেই পজিটিভলি গ্রোথ ধরে রাখতে পেরেছি। মাথাপিছু আয় করোনার মধ্যেও আমাদের ২৩০০ ডলারের কাছাকাছি।’

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ জুন) করোনা মহামারির প্রকোপের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদে তৃতীয়বারের মতো বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। করোনাকে অগ্রাধিকার দিয়ে মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষায় ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন তিনি।

এবারের বাজেটে প্রাধিকার পেয়েছে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। ‘জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’ শিরোনামের এবারের বাজেটটি করা হয়েছে সরকারের অতীতের অর্জন এবং বর্তমান পরিস্থিতির সমন্বয়ে। বাজেটে সঙ্গত কারণেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য খাতে।

পাশাপাশি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজসমূহের বাস্তবায়ন, কৃষিখাত, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনাকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। অর্থবছরের পুরো সময় জুড়েই থাকবে সরকারের নানা ধরনের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, বাড়ানো হবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে অর্থ নিলেও প্রভাব পড়বে না

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি রাখা হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা যা জিডিপির ৬.২ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে সরকার ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেবে। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেবে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা।

তবে ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে ৭৬ হাজার কোটি টাকা নেয়া হলেও এর প্রভাব ব্যাংক খাতে পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

তিনি বলেন, ‘ব্যাংক খাতে অতিরিক্ত তারল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ কোটি টাকার বেশি। গত এক বছরের ব্যবধানে অতিরিক্ত তারল্য বেড়েছে ৯২ দশমিক ৪২ শতাংশ। বিশাল এই তারল্যের একটি বড় অংশ বিলবন্ডে বিনিয়োগ হলেও এখনও ৪০ হাজার কোটি টাকার তারল্য রয়েছে।’

শুক্রবার (৪ জুন) বাজেটোত্তর অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান প্রমুখ।

এর আগে বৃহস্পতিবার তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ঘাটতি মেটাতে স্থানীয় ব্যাংক ব্যবস্থার পরিবর্তে যথাসম্ভব কম সুদে বৈদেশিক উৎস হতে অর্থায়নের প্রচেষ্টা নেয়ার অনুরোধ জানাই।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ব্যাংক খাতে অতিরিক্ত তারল্য দাঁড়িয়েছে ২ লাখ কোটি টাকার বেশি। বিশাল এই তারল্যের একটি বড় অংশ বিলবন্ডে বিনিয়োগ হলেও এখনও অনেক টাকা ব্যাংকগুলোতে অলস পড়ে আছে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে আমানত বেড়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ২০২ কোটি টাকা।

আগের ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে আমানত বেড়েছিল ৭৩ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময়ে আমানত বৃদ্ধি পেয়েছিল ৪০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা। করোনার মধ্যেই আমানত বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

কেনাকাটা শেখাতে স্বাস্থ্যখাতের পিডিদের দেয়া হবে প্রশিক্ষণ : অর্থসচিব

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

স্বাস্থ্যখাতের কেনাকাটায় অনিয়ম রোধ ও বাজেটের বরাদ্দ টাকা খরচের ক্ষেত্রে কাঠামোগত পরিবর্তন প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব বলছেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কেনাকাটার সঙ্গে জড়িত প্রকল্প পরিচালকদের (পিডি) ক্রাশ প্রোগ্রাম নিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

শুক্রবার (৪ জুন) দুপুরে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘গত অর্থবছরের তুলনায় নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে ১৩ দশমিক ৩ শতাংশের বেশি। এক বছরে আমরা যে পরিমাণ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে পারবো তার চেয়েও বেশি টাকা বাজেটে রাখা হয়েছে। ১৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। যদি প্রয়োজন হয়, অন্যখাত থেকেও টাকা আনা যাবে।’

অর্থসচিব বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতের ব্যয়ের একটা অংশ অব্যবহৃত থাকে। স্বাস্থ্যখাতে ব্যয়ের সঙ্গে যারা জড়িত- সেখানে একটা সমস্যা আছে।
যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য জিনিসের ডিমান্ড এবং সাপ্লাইয়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে। নতুন অর্থবছরে এ দুটো নিয়ে আমরা কাজ করবো। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।’

আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে যে কেনাকাটা হয় সেটা অনেকটা সাপ্লাইয়ের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে হয়, আমরা সেটা ডিমান্ড সাইডে নেয়ার চেষ্টা করছি। এখন থেকে অ্যাসেসমেন্ট করা হবে, এই মূহূর্তে সারা দেশে যত সরকারি হাসপাতাল আছে সেখানে স্বাস্থ্য সেবার জন্য যেসব যন্ত্রপাতি দরকার, সেগুলোর কী অবস্থা এবং গ্যাপ কোথায় আছে; আমরা যদি সেটা বের করতে পারি তাহলে ডিমান্ড সাইড থেকে কেনাকাটার চাহিদা বের করতে পারবো।’

অর্থসচিব আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতের সম্পর্কিত যে প্রকল্পগুলো আছে। এ প্রকল্পে যারা পরিচালক হিসাবে আছেন তাদের প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ও ক্রয়ের ব্যাপারে অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে। আগামী অর্থবছরে একটা ক্রাশ প্রোগ্রাম নিয়ে তাদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। যেন প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় বিশেষ করে কেনাকাটায় তারা ভালো করত পারেন। এই দুটো বিষয় আগামী অর্থবছরের শুরুতেই অ্যাড্রেস করবো। যাতে তাদের (স্বাস্থ্যখাতের) জন্য যে বরাদ্দ তারা যেন তা খরচ করতে পারেন।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রমুখ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

উন্নয়ন সমন্বয়ের বাজেট প্রতিক্রিয়া

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার আরও সাহসী হতে পারত বলে মনে করে বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়। বাজেট–পরবর্তী এক প্রতিক্রিয়ায় আজ শনিবার এক ওয়েবিনারে সংস্থাটি বলেছে, করোনার সময়ে প্রত্যাশা ছিল এই খাতে মোট বাজেটের অন্তত ৭ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হবে।

কিন্তু দেখা যাচ্ছে আসছে বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বাজেটের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ রাখা হচ্ছে। মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর (এমএফএস) করপোরেট কর বাড়ানোরও সমালোচনা করেছে উন্নয়ন সমন্বয়।
বিজ্ঞাপন

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত বৃহস্পতিবার সংসদে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন। সেটির ওপর আজ বাজেট–পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে উন্নয়ন সমন্বয়। কেমন হলো বাজেট ২০২১-২২ শিরোনামে ওয়েবিনার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়নের সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান।

আতিউর রহমান বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার এমএফএসের ওপর করপোরেট কর ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, যেটি এখন আছে ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ। এটি বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মোবাইল ব্যাংকিং সেবার ওপর করপোরেট কর বাড়ানোর প্রস্তাব সময়োপযোগী নয়। অনেকে বলেন, এই কর তো কোম্পানিগুলো দেবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো দিন শেষে এটা গ্রাহকের ঘাড়েই চাপাবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর কর বাড়ানো যৌক্তিক নয় বলে মনে করে উন্নয়ন সমন্বয়।
বিজ্ঞাপন

আতিউর রহমান বলেন, টাকা নয়, টিকাই এখন প্রধান বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত। প্রবৃদ্ধি, ঘাটতি অর্থায়ন এগুলোর চেয়ে বেশি নজর দেওয়া উচিত কীভাবে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষকে দ্রুত টিকা দেওয়া যায়। টিকা পেলেই মানুষ স্বস্তি পাবে। ব্যবসায়ীরা আস্থা পাবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ডিএসইতে পিই রেশিও বেড়েছে ১.৩২ শতাংশ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক:

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১.৩২ শতাংশ বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৮.২৪ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৮.৪৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.২৪ পয়েন্ট বা ১.৩২ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৮.০১ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ২০.২০ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৩০.৯৬ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৯.১৫ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৪.৯১ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২৬.৪৪ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৫৮.২৮ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ২০.০৯ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১১.৮৭ শতাংশ, চামড়া খাতের ৭৮.৫৩ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ১৪.৭০ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৪২.৭৭ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৫১.৪৮ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৮১.৭০ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১১.৫২ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৯.৪১ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৬.৬৮ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৪ ১.৫১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

ফনিক্স ইন্স্যুরেন্সের ১৫% লভ্যাংশ ঘোষণা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান ফনিক্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা বোর্ড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ অর্থবছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে বিমাটি।

এ সময়ে বিমাটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.৩৩ টাকা। একই সময়ে শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩৯.১০ টাকা।

বিমাটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ আগষ্ট। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ জুন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

সাপ্তাহিক দর কমার শীর্ষে ফার্স্ট ফাইন্যান্স

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর কমার শীর্ষে রয়েছে ফার্স্ট ফাইন্যান্স লিমিটেড। গত সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর কমেছে ১৫.৫৮ শতাংশ। ডিএসইর সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্র থেকে জানা যায়, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির মোট ১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়। যা গড়ে প্রতিদিন ২৮ লাখ টাকা ছিল।

দর কমার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেড। গত সপ্তাহে শেয়ারটির দর কমেছে ১৪.৬৩ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটি মোট ৪ কোটি ৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়। যা গড়ে প্রতিদিন ৮০ লাখ টাকা ছিল।

ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। গত সপ্তাহে শেয়ারটির দর কমেছে ১৩.৭৭ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটি মোট ৩৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকা লেনদেন হয়। যা গড়ে প্রতিদিন ৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা ছিল।

এই তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজের ১৩.৪১ শতাংশ, এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১২.১৫ শতাংশ, এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১২.১২ শতাং, তাওফিকা ফুডস এন্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের ৯.৫২ শতাংশ, স্যোসাল ইসলামী ব্যাংকের ৯.৩৩ শতাংশ, ওয়াইম্যাক্স ইলেক্ট্রোডের ৮.৪৪ শতাংশ ও প্রাইম ব্যাংকের ৮.০৫ শতাংশ দর কমেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

সাপ্তাহিক দর বাড়ার শীর্ষে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর বাড়ার শীর্ষে রয়েছে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৩৯.৫৮ শতাংশ বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

ডিএসই সূত্রে জানা যায়, উক্ত সপ্তাহে শেয়ারটির ১০১ কোটি ৯৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়। যা গড়ে প্রতিদিন ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা ছিল।

দর বাড়ার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড। গত সপ্তাহে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৩৭.৪৬ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির ১৯৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়। যা গড়ে প্রতিদিন ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ছিল।

কাট্টালি টেক্সটাইল দর বাড়ার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সপ্তাহে শেয়ারটির দর বেড়েছে ২৯.৭১ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটি ৯৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ছিল।

এই তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ফারইস্ট নিটিং এন্ড ডাইংয়ের ২৫.২৩ শতাংশ, প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ২৩.৩১ শতাংশ, গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ২৩.১৩ শতাংশ, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ২৩.১০ শতাংশ, রূপালী ইন্স্যুরেন্সের ২২.৯৮ শতাংশ প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২২.৫৫ শতাংশ ও স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ২১.২২ শতাংশ দর বেড়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো লিমিটেড

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের ব্যাবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৫৬৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪৪ কোটি ৯ লাখ টাকার।

ইফাদ অটোস লিমিটেড তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কোম্পানিটির লেনদেন হয়েছে ২৩৩ কোটি ১২ লাখ টাকার।

এই তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ২০৩ কোটি ৬ লাখ, ডাচ বাংলা ব্যাংকের ১৯৭ কোটি, নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্সের ১৯৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকার, এবি ব্যাংকের ১৯২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার, কনফিডেন্স সিমেন্টের ১৭২ কোটি ৯৫ লাখ টাকার, লাফার্জহোলসিমের ১৬৭ কোটি ২ লাখ টাকার ও গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ১৬৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

৫ দিনে ডিএসইতে বাজার মূলধন বেড়েছে ৬,২০৪ কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন আগের সপ্তাহের চেয়ে ৬,২০৪ কোটি টাকা বেড়েছে। এসময় গত সপ্তাহের তুলনায় সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে মোট ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ১০ হাজার ২৫৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকার। যা আগের সপ্তাহের ৪ দিনে হয়েছিল ৭ হাজার ৬৮৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ৩৩.৫১ শতাংশ বেড়েছে।

ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে গড় লেনদেন ২ হাজার ৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকার হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ৬.৮১ শতাংশ বেড়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯২০ কোটি ৯৪ লাখ টাকার উপরে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৭.৬১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৫৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ১৩.৮৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২০৩ পয়েন্টে। আর শরিয়াহ সূচক ৮.১৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৯৩ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৭৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৯২টির, কমেছে ১৩০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টির শেয়ার ও ইউনিটের দর। আর ৪টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ২ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৮ হাজার ৯৪৭ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধন ৬,২০৪ কোটি টাকা বা ১.২৩ শতাংশ বেড়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা